আমলারা সমস্যা তৈরি করছে, অভিযোগ পরিকল্পনা উপদেষ্টার
Published: 18th, October 2025 GMT
সরকারকে না জানিয়ে পেছনে থেকে আমলারা নানা সমস্যা তৈরি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
নোয়াখালী ও কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে দুটি জেলার বাসিন্দাদের আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে আজ শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পর্যটন করপোরেশনে ‘বৈশ্বিক ও অন্যান্য কারণে সৃষ্ট অর্থায়ন–সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর বর্তমান অবস্থা ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে এ অভিযোগ তোলেন তিনি। মতবিনিময় সভার আয়োজন করে গণসাক্ষরতা অভিযান। সভায় প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। সভাপতিত্ব করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার কিছু না বলার আগেই আমলারা নিজেদের মতো অনেক কিছু করে ফেলতে চাযন। এগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য নতুন নতুন সমস্যা তৈরি করছে।’
কুমিল্লা ও নোয়াখালী বিভাগের দাবির পেছনে প্রশাসনে নতুন নতুন পদ সৃষ্টির অভিসন্ধি রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকারকে না জানিয়ে আমলারা এ নিয়ে কমিটিও করে ফেলেছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
নতুন কোনো বিভাগ সৃষ্টির পরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই জানিয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো, ঘুষ কমানো, ভালো সেবার নিশ্চয়তা। কুমিল্লা নতুন বিভাগ হবে, নাকি নোয়াখালী নতুন বিভাগ হবে, সেটি মানুষের জীবনের সাথে সম্পর্কিত নয়। এমনকি গণতান্ত্রিক উত্তরণে সরকারের যে সংস্কার কর্মসূচি, তার সঙ্গেও সম্পর্কিত নয়।’
অন্তর্বর্তী সরকারের ‘শেষ সময়ে’ এসে দাবিদাওয়ার আন্দোলন বেড়ে যাওয়ার দিকটি দেখিয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘এখন শেষ সময় বলে না অনেকে বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে আসছেন। তাঁদের মধ্যে একটা ধারণা হয়েছে যে অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাস আছে, এই শেষ সময় যত দূর পারো দাবি তুলতে হবে।’
‘আপাতত আন্দোলনের সবগুলো জায়গা অকুপাইড হয়ে আছে, আগে থেকে বুকিং না দিলে যারা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তাঁরা জায়গা পাবে না,’ রসিকতাচ্ছলে বলেন তিনি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট সরক র র আমল র
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে ভূখণ্ড নিয়ে ‘কোনো আপস’ হয়নি: রুশ কর্মকর্তা
যুদ্ধের ইতি টানতে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ‘কোনো আপস’ হয়নি। মস্কোয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর এক রুশ কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও প্রেসিডেন্টের জামাতা জ্যারেড কুশনার মঙ্গলবার ক্রেমলিনে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে মারাত্মক যুদ্ধের অবসান ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতার অংশ হিসেবে তাঁরা এ বৈঠক করেন। এ বৈঠক প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে এবং মধ্যরাতের পর শেষ হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ক্রেমলিনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা কোনো আপসে পৌঁছাতে পারিনি। তবে মার্কিন কিছু প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা এগোতে পারে।’
উশাকভ মঙ্গলবারের আলোচনাকে ‘খুবই ইতিবাচক ও গঠনমূলক’ উল্লেখ করলেও তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ওয়াশিংটন ও মস্কো— উভয় পক্ষের সামনে এখনো অনেক কাজ বাকি।’
মার্কিন প্রতিনিধিদল একটি শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে রাশিয়ার রাজধানীতে গিয়েছিল। সেখানে আগের ফাঁস হওয়া ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনার খসড়ার হালনাগাদ সংস্করণ নিয়ে আলোচনা হয়। ফাঁস হওয়া ‘খসড়াটি রাশিয়ার পক্ষে গেছে’— ইউক্রেন ও দেশটির মিত্রদের এমন কঠোর সমালোচনার মুখে ওয়াশিংটন এতে পরিবর্তন আনে।
কিয়েভ ও ইউরোপের পাল্টা প্রস্তাবটিরও নিন্দা করেছে ক্রেমলিন। পুতিন বারবার বলে আসছেন, এটি তাঁর দেশের কাছে ‘অগ্রহণযোগ্য’।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মস্কো, রাশিয়া; ২ ডিসেম্বর, ২০২৫।