যত দ্রুত সম্ভব বিমানবন্দর চালু হবে: উপদেষ্টা
Published: 18th, October 2025 GMT
কার্গো ভিলেজের আগুন নিভিয়ে যত দ্রুত সম্ভব হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যত দ্রুত পারি বিমানবন্দর (এয়ারপোর্ট) চালু করব। কারণ, আপনারা জানেন, এয়ারপোর্টে এই মুহূর্তে বিমান ওঠানামা বন্ধ আছে। আমরা চেষ্টা করছি যে যত দ্রুত পারি, আজকে রাতের মধ্যে ফ্লাইট ওপেন করব।’
আজ শনিবার সন্ধ্যার পর অগ্নিকাণ্ডস্থল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে আগুন লাগে। আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট।
আগুন লাগার পরপরই দেশের প্রধান এই বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন ফ্লাইট পাঠিয়ে দেওয়া হয় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরে।
আগুন ‘নিয়ন্ত্রণে’ এলেও তা পুরোপুরি নেভেনি জানিয়ে শেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘এখনো যথেষ্ট পরিমাণ আগুন রয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা দেখছি। আগুন নেভাতে গিয়ে কয়েকজন আনসার সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
এখন বিমানবন্দর চালু করাটাই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা পুনরায় যত দ্রুত সম্ভব, এয়ারপোর্টকে চালু করব। কারণ, আপনারা জানেন, এয়ারপোর্টের ফ্লাইট এই মুহূর্তে বন্ধ আছে। আমাদের ইমিডিয়েট লক্ষ্য হচ্ছে অপারেশনকে কত দ্রুত আমরা চালু করতে পারি। বিমানবন্দরের চলমান কার্যক্রমকে কীভাবে আমরা চলমান রাখব, সে ব্যাপারে পদ্ধতিগতভাবে সবাই এখনই বসছি, বসে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।’
আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে আগুন লাগলেও রপ্তানি কার্গো কমপ্লেক্স নিরাপদ রয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।
আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে তদন্তের কথা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘যখন ইনভেস্টিগেশন করব, আপনাদের তথ্য আমলে নেব। আমাদের কাছে জরুরি হচ্ছে এয়ারপোর্ট চালু করা। এয়ারপোর্টের স্বাভাবিক কার্যক্রম যত দ্রুত পারা যায়, চালু করা। ক্ষতি নিরূপণ করা এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ের একটা কমিটি তৈরি করে তদন্ত করা।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে ভূখণ্ড নিয়ে ‘কোনো আপস’ হয়নি: রুশ কর্মকর্তা
যুদ্ধের ইতি টানতে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ‘কোনো আপস’ হয়নি। মস্কোয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর এক রুশ কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও প্রেসিডেন্টের জামাতা জ্যারেড কুশনার মঙ্গলবার ক্রেমলিনে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে মারাত্মক যুদ্ধের অবসান ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতার অংশ হিসেবে তাঁরা এ বৈঠক করেন। এ বৈঠক প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে এবং মধ্যরাতের পর শেষ হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ক্রেমলিনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা কোনো আপসে পৌঁছাতে পারিনি। তবে মার্কিন কিছু প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা এগোতে পারে।’
উশাকভ মঙ্গলবারের আলোচনাকে ‘খুবই ইতিবাচক ও গঠনমূলক’ উল্লেখ করলেও তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ওয়াশিংটন ও মস্কো— উভয় পক্ষের সামনে এখনো অনেক কাজ বাকি।’
মার্কিন প্রতিনিধিদল একটি শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে রাশিয়ার রাজধানীতে গিয়েছিল। সেখানে আগের ফাঁস হওয়া ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনার খসড়ার হালনাগাদ সংস্করণ নিয়ে আলোচনা হয়। ফাঁস হওয়া ‘খসড়াটি রাশিয়ার পক্ষে গেছে’— ইউক্রেন ও দেশটির মিত্রদের এমন কঠোর সমালোচনার মুখে ওয়াশিংটন এতে পরিবর্তন আনে।
কিয়েভ ও ইউরোপের পাল্টা প্রস্তাবটিরও নিন্দা করেছে ক্রেমলিন। পুতিন বারবার বলে আসছেন, এটি তাঁর দেশের কাছে ‘অগ্রহণযোগ্য’।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মস্কো, রাশিয়া; ২ ডিসেম্বর, ২০২৫।