চট্টগ্রাম জেলার দক্ষিণের পাঁচটি আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত দুটিতে প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। যে তিনটি আসনে ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে প্রতিদিনই দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে চলছে বিক্ষোভ। মূলত মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরাই এসব বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এরই মধ্যে একটি আসনে দলীয় মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণাও দিয়েছেন বিএনপির এক নেতা।

দক্ষিণের যে দুটি আসনে বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা করেনি, জোট গঠন হলে এসব আসন এলডিপিকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে এমন আলোচনা রয়েছে। এদিকে চট্টগ্রাম দক্ষিণের পাঁচটি আসনেই দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করে আট মাস ধরে প্রচারণা চালিয়ে আসছে জামায়াতে ইসলামী। এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও মাঠে রয়েছেন।

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া)

এই আসনে বিএনপির প্রার্থী দলের দক্ষিণ জেলা শাখার সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক। ২০১৮ সালেও দল থেকে তিনি মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এই আসনে দল থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুদ্দীন সালাম, নগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহ ও সাবেক সংসদ সদস্য গাজী শাহজাহান।

পটিয়ায় প্রার্থী পরিবর্তন চেয়ে সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্যাডে চিঠি দেন ইদ্রিস মিয়াসহ চার নেতা। এ বিষয়ে ইদ্রিস মিয়া বলেন, বিতর্কিত শিল্পগোষ্ঠী এস আলমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এনামের। এ কারণে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাই তাঁরা প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবি করেছেন। তবে দল যাঁকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে, তাঁরা তাঁর পক্ষে কাজ করবেন।

প্রতিদ্বন্দ্বী দলের প্রার্থীদের পাশাপাশি দলের একটি অংশকেও মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তবে তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীরা ধানের শীষকে বেছে নিচ্ছেন।এনামুল হক, বিএনপির প্রার্থী, চট্টগ্রাম-১২

জানতে চাইলে এনামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী দলের প্রার্থীদের পাশাপাশি দলের একটি অংশকেও মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তবে তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীরা ধানের শীষকে বেছে নিচ্ছেন।’ এস আলমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানান তিনি।

পটিয়া আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন জামায়াত–সমর্থিত ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) সহসভাপতি ফরিদুল আলম। এনসিপি থেকে দক্ষিণ জেলা যুগ্ম সমন্বয়কারী সাজ্জাদ হোসেন ও শ্রমিক শক্তির ফারুক হোসেন রয়েছেন। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বেলাল নুর আজিজ এবং হেফাজতে ইসলাম ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী নির্বাচনকে সামনে রেখে জনসংযোগ করছেন।

চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী)

সাবেক সংসদ সদস্য সরোয়ার জামাল নিজামকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি, তবে এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাস, সদস্যসচিব হেলাল উদ্দিন, কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এস এম মামুন মিয়া ও দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দীন চৌধুরী। সরোয়ার জামালকে প্রার্থী ঘোষণা করার প্রতিবাদে তাঁদের অনুসারীরা প্রায়ই বিক্ষোভ করে আসছেন। ১৩ নভেম্বর আনোয়ারার চাতুরী চৌমুহনী এলাকায় বিক্ষুব্ধ বিএনপির কর্মীরা সড়ক অবরোধ করে মশালমিছিল করেন। কাফনের কাপড় পরে তাঁরা ওই মিছিলে অংশ নেন। গতকাল রাতেও প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে কর্ণফুলী উপজেলায় বিক্ষোভ হয়েছে।

জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সরওয়ার জামাল নিজাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘যোগ্য মনে করে দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। তারা কেন বিরোধিতা করছে জানি না।’

জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন দলের দক্ষিণ জেলার সেক্রেটারি মাহমুদুল হাসান। ইসলামী আন্দোলন থেকে দক্ষিণ জেলার ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক এরফানুল হক এবং এনসিপি থেকে কেন্দ্রীয় সদস্য জুবায়ের আলম মাঠে রয়েছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির সঙ্গে জোট হলে চট্টগ্রাম-১৪ আসনটি এলডিপির জন্য ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.

) অলি আহমদ অথবা তাঁর ছেলে ওমর ফারুক নির্বাচন করবেন। ওমর ফারুক এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য।

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া আংশিক)

এই আসনে বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা করেনি। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন, ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক মহসিন জিল্লুর করিম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মিজানুল হক চৌধুরী ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির সঙ্গে জোট হলে চট্টগ্রাম-১৪ আসনটি এলডিপির জন্য ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ অথবা তাঁর ছেলে ওমর ফারুক নির্বাচন করবেন। ওমর ফারুক এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য। জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এলডিপির সঙ্গে বিএনপির কথাবার্তা চলছে। শেষ পর্যন্ত কী হয়, দেখা যাক।’ এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বাবা (অলি আহমদ) আর নির্বাচন করবেন না ঠিক করেছেন, তবে এলাকার লোকজন চাচ্ছেন তিনি নির্বাচন করুক। এই অবস্থায় কী হয়, সেটি এখনো ঠিক বলা যাচ্ছে না।’

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন চিকিৎসক শাহাদাৎ হোসেন। এনসিপি থেকে দক্ষিণ জেলার প্রধান সমন্বয়কারী হাসান আলী ও ইসলামী আন্দোলন থেকে পূর্ব জেলার সাবেক সভাপতি আবদুল হামিদ মাঠে রয়েছেন।

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া)

এই আসনেও বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা করেনি। দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. মহিউদ্দিন, সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জামাল হোসেন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান মনোনয়নপ্রত্যাশী। এলডিপি নেতা অলি আহমদ এই আসনে অতীতে সংসদ সদস্য ছিলেন। এবার জোট হলে বিএনপি এই আসনও এলডিপির জন্য ছেড়ে দিতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী এই আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি এর আগে ওই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। জানতে চাইলে শাহজাহান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের হাতে ১৭ বছর জিম্মি ছিল সাতকানিয়া-লোহাগাড়াবাসী। এবার দাঁড়িপাল্লায় সিল মেরে জিম্মিদশা থেকে মুক্তি চান তাঁরা।’

এনসিপি থেকে দলের লোহাগাড়া উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী তৌহিদুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন থেকে শ্রমিক আন্দোলন চট্টগ্রাম নগরের সভাপতি শরিফুল আলম মাঠে রয়েছেন।

আওয়ামী লীগের হাতে ১৭ বছর জিম্মি ছিল সাতকানিয়া–লোহাগাড়াবাসী। এবার দাঁড়িপাল্লায় সিল মেরে জিম্মিদশা থেকে মুক্তি চান তাঁরা।শাহজাহান চৌধুরী, জামায়াতের প্রার্থী, চট্টগ্রাম-১৫।

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী)

দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরীকে দল থেকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি ওই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে। দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লিয়াকত আলী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ইফতেখার মহসিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কামরুল ইসলাম হোসাইনী এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তাঁদের অনুসারীরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আসছেন।

দলীয় মনোনয়ন না দিলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এই আসন থেকে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি নেতা লেয়াকত আলী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘দলের দুঃসময়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছিলাম। তাঁরা চাচ্ছেন আমি প্রার্থী হই। তাই দলের নীতিনির্ধারকেরা আমাকে প্রার্থী দিলে ভালো, না হলে স্বতন্ত্র নির্বাচন করব।’

বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘দল থেকে আমাকে প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও লেয়াকত আলী ভোটারদের বিভ্রান্ত করছেন। দলের নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁর সঙ্গে দেখা করেও কাজ হয়নি।’

বাঁশখালীতে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে কাজ করছেন দক্ষিণ জেলা জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জহিরুল ইসলাম। এনসিপি থেকে কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব মীর আরশাদুল হক, এলডিপির প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা কফিল উদ্দিন এবং ইসলামী আন্দোলন থেকে দক্ষিণ জেলার উপদেষ্টা ফরিদ আহমেদ আনসারি মাঠে রয়েছেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এক প্রার্থীর একাধিক মনোনয়ন এবং জোটের জন্য কিছু আসন ফাঁকা রাখার কারণে সব আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা হয়নি। দলের নীতিনির্ধারকেরা একটু সময় নিচ্ছেন।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসল ম র প র র থ ব এনপ র স ব ক দল য় প র র থ প রথম আল ক স বতন ত র ছ ত রদল র ব এনপ র প ব এনপ র ক ওমর ফ র ক শ হজ হ ন ল ইসল ম এলড প র এই আসন র জন য দল থ ক র কর ম উদ দ ন দল র স করব ন উপজ ল এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

হংকংয়ে অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৮

হংকংয়ের উত্তরাঞ্চলীয় তাই পো এলাকায় অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে লাগা ভয়াবহ আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৮ এ পৌঁছেছে। শুক্রবার কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

ওয়াং ফুক কোর্ট নামে ওই অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে বুধবার অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ২০২১ সালের সরকারি আদমশুমারি অনুযায়ী, এই আবাসিক কমপ্লেক্সে প্রায় চার হাজার ৬০০ মানুষের জন্য এক হাজার ৯৮৪টি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। 

শুক্রবার সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১২৮ জন নিহত হয়েছে এবং ৭৯ জন আহত হয়েছে। ৮৯ জনের মৃতদেহ এখনো শনাক্ত করা যায়নি।

অগ্নিনির্বাপন বিভাগ জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে কিছু অ্যাপার্টমেন্ট এখনো আগুন জ্বলছে।আগুনে পুড়ে যাওয়া সাতটি টাওয়ারের মধ্যে দুটিতে বেশিরভাগ মৃতদেহ পাওয়া গেছে এবং বেশিরভাগ জীবিতদের অন্যান্য ব্লক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, আবাসিক কমপ্লেক্সের আটটি ভবনের একটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা আরো ছয়টি ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। ভবনের সংস্কার কাজের সঙ্গে যুক্ত তিনজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগেও তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

ভবনের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আগুন লাগার সময় ভবনের অ্যালার্ম বাজেনি।
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ