আইপিএল নিলাম মানেই ভাগ্যবদলের মঞ্চ। সেটা ছেলেদের হোক কিংবা মেয়েদের। গতকাল দিল্লিতে হয়ে গেল ২০২৬ মেয়েদের আইপিএলের নিলাম। এবারের নিলামে ৬৭ জন নারী ক্রিকেটার দল পেয়েছেন, যার মধ্যে ২৩ জন বিদেশি। মোট খরচ হয়েছে ৪০ কোটি ৮০ লাখ রুপি।

নিলাম শেষে কোটিপতি হয়েছেন ১১ নারী ক্রিকেটার। মানে ১১ জন নারী ক্রিকেটার ন্যূনতম ১ কোটি বা এর চেয়ে বেশি রুপিতে বিক্রি হয়েছেন। নিলামে সর্বোচ্চ ৩ কোটি ২০ লাখ রুপিতে দল পেয়েছেন ভারতীয় অলরাউন্ডার দীপ্তি শর্মা। তিনি খেলবেন ইউপি ওয়ারিয়র্সে। বেস প্রাইসে দিল্লি ক্যাপিটালস প্রথম বিড করলেও শেষ পর্যন্ত নিজের পুরোনো দলেই ফিরলেন তিনি। নিলামের ইতিহাসে এটি যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামের চুক্তি।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামি খেলোয়াড় নিউজিল্যান্ডের অ্যামেলিয়া কার। তাঁকে নিতে ৩ কোটি রুপি খরচ করেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, যা তাদের মোট খরচের ৫২ শতাংশ। শিখা পান্ডেকে ২ কোটি ৪০ লাখ রুপিতে দলে ভিড়িয়েছে ইউপি ওয়ারিয়র্স।

প্রথম আলো.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় দেড় হাজার অসহায় মানুষকে ‘মেহমানদারি’ 

খুলনায় একসঙ্গে দেড় হাজার মানুষকে দুপুরের খাবারের ‘মেহমানদারি’ করেছে ফুড ব্যাংকিং খুলনা কল্যাণ সংস্থা। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে জেলা স্টেডিয়াম মাঠে খাবারের আয়োজন করা হয়।

খুলনার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দাওয়াতে আসেন অসহায়, দরিদ্র ও এতিম শিশুরা। এই আয়োজনে অর্থায়ন করেছে অস্ট্রেলিয়া ট্রু ইউ ক্লাব।

আরো পড়ুন:

কুয়েটে শিক্ষার্থীকে অস্ত্রাঘাত, অপর শিক্ষার্থী বহিষ্কার

খুলনায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

রূপসা উপজেলার বাসিন্দা সুমন শারীরিক প্রতিবন্ধী। হুইলচেয়ারে খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে এসেছিলেন মেহমান হয়ে দাওয়াত খেতে। তিনি বলেন, “দুপুরের মেহমানদারি অনেক ভালো হয়েছে। আমি তাদের জন্য দোয়া করি, তারা যেন ভালো থাকে।”

খুলনা রেলস্টেশন বস্তি থেকে আসা আমেনা বেগম বলেন, “এই মেহমানদারি আমার কাছে অনেক সুন্দর লেগেছে। তাদের এই খাবারের অনেক স্বাদ হয়েছে।”

মারকাজুল উমুল মাদরাসার শিক্ষক মুফতি আব্দুল্লাহ বলেন, “মাদরাসার এতিম ও অসহায় ২১০ জন ছাত্র নিয়ে সেখানে যাই। এটা একটি মহৎ কাজ। আমাদের দেশের যারা ধনী ও বিত্তবান আছেন, তারা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে ভালো হয়।”

ট্রু ইউ ক্লাবের ভলানটিয়ার এস এম ইমরান হাসান বলেন, “আমরা খুলনা ফুড ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করে প্রোগ্রাম অর্গানাইজ করেছি। সবাইকে এক বেলা খাওয়াতে পেরে খুব ভালো লাগছে। খুলনা ফুড ব্যাংকিং যেহেতু প্রতিদিন খাবারের ব্যবস্থা করে, এজন্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের মাধ্যমে এই খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল।”

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ