মহেশখালীর গহিন পাহাড়ে বানানো হচ্ছিল আগ্নেয়াস্ত্র, আটক ১
Published: 28th, November 2025 GMT
কক্সবাজারের মহেশখালীর গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে দুটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি, আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ একজনকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার কেরুনতলী–সংলগ্ন পাহাড় থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম উল হক অভিযানের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কোস্টগার্ড জানায়, আটক ব্যক্তি অস্ত্র তৈরির কারিগর। গহিন পাহাড়ের আস্তানায় দীর্ঘদিন ধরে তিনি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করে আসছেন। অভিযানে ২টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ৮ রাউন্ড গুলি, ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি; ৪ রাউন্ড কার্তুজ, ৬ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজ এবং অস্ত্র তৈরির বেশকিছু সরঞ্জাম উদ্ধার হয়।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম উল হক বলেন, ‘জব্দ করা আলামত ও আটক ব্যক্তিকে মহেশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নির্মূলে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আগ ন য় স ত র র উন ড
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় দেড় হাজার অসহায় মানুষকে ‘মেহমানদারি’
খুলনায় একসঙ্গে দেড় হাজার মানুষকে দুপুরের খাবারের ‘মেহমানদারি’ করেছে ফুড ব্যাংকিং খুলনা কল্যাণ সংস্থা। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে জেলা স্টেডিয়াম মাঠে খাবারের আয়োজন করা হয়।
খুলনার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দাওয়াতে আসেন অসহায়, দরিদ্র ও এতিম শিশুরা। এই আয়োজনে অর্থায়ন করেছে অস্ট্রেলিয়া ট্রু ইউ ক্লাব।
আরো পড়ুন:
কুয়েটে শিক্ষার্থীকে অস্ত্রাঘাত, অপর শিক্ষার্থী বহিষ্কার
খুলনায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
রূপসা উপজেলার বাসিন্দা সুমন শারীরিক প্রতিবন্ধী। হুইলচেয়ারে খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে এসেছিলেন মেহমান হয়ে দাওয়াত খেতে। তিনি বলেন, “দুপুরের মেহমানদারি অনেক ভালো হয়েছে। আমি তাদের জন্য দোয়া করি, তারা যেন ভালো থাকে।”
খুলনা রেলস্টেশন বস্তি থেকে আসা আমেনা বেগম বলেন, “এই মেহমানদারি আমার কাছে অনেক সুন্দর লেগেছে। তাদের এই খাবারের অনেক স্বাদ হয়েছে।”
মারকাজুল উমুল মাদরাসার শিক্ষক মুফতি আব্দুল্লাহ বলেন, “মাদরাসার এতিম ও অসহায় ২১০ জন ছাত্র নিয়ে সেখানে যাই। এটা একটি মহৎ কাজ। আমাদের দেশের যারা ধনী ও বিত্তবান আছেন, তারা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে ভালো হয়।”
ট্রু ইউ ক্লাবের ভলানটিয়ার এস এম ইমরান হাসান বলেন, “আমরা খুলনা ফুড ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করে প্রোগ্রাম অর্গানাইজ করেছি। সবাইকে এক বেলা খাওয়াতে পেরে খুব ভালো লাগছে। খুলনা ফুড ব্যাংকিং যেহেতু প্রতিদিন খাবারের ব্যবস্থা করে, এজন্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের মাধ্যমে এই খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল।”
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ