নতুন বিজ্ঞাপন নিয়ে হাজির হতে যাচ্ছেন ঢালিউডের বর্তমান সময়ের অভিনেতা শরিফুল রাজ। তার বিপরীতে জুটি হিসেবে দেখা যাবে মডেল ও অভিনেত্রী সৈয়দা তৌহিদা হক তিথীকে। দীর্ঘদিন মডেলিং দুনিয়ার পরিচিত মুখ তিথী এবার নতুন রূপে রাজের সঙ্গে পর্দায় ফিরছেন। 

সম্প্রতি কক্সবাজারের বিভিন্ন মনোরম লোকেশনে তিন দিনব্যাপী বিজ্ঞাপনটির শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। শীতকালীন সৌন্দর্যবর্ধক পণ্যের এই বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ করেছেন ফাহাদ খান। বাজেট, পরিকল্পনা ও নির্মাণশৈলীতে বড় পরিসরের এই কাজ নিয়ে সমান রোমাঞ্চ ও প্রত্যাশা রয়েছে দুই শিল্পীরই। 

আরো পড়ুন:

চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন পরীমণি

গোপন বিয়ের ছবি প্রকাশ করলেন সামান্থা

শুটিং অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে শরিফুল রাজ বলেন, “বিজ্ঞাপনচিত্র হলেও এটি সিনেম্যাটিক ছোঁয়ায় নির্মিত হয়েছে। তিথী খুব প্রতিভাবান; ক্যামেরার সামনে তার উপস্থিতিও দুর্দান্ত। কাজটি করতে স্বচ্ছন্দ লেগেছে।” 

অন্যদিকে তিথীর কাছে এই কাজ বিশেষ এক অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, “রাজ ভাইয়ার সঙ্গে এটি আমার প্রথম কাজ। অনেকদিনের পরিচয় থাকলেও একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে কখনো দাঁড়ানো হয়নি। তিনি খুব সহযোগিতা করেছেন, তাই অভিজ্ঞতাটা দুর্দান্ত। টানা তিন দিন কক্সবাজারে শুটিং করেছি—সত্যিই স্মরণীয়। বিজ্ঞাপনটি নিয়ে আমি খুব আশাবাদী, কারণ কিছু কাজ থাকে যেগুলো নিজের কাছে আলাদা মনে হয়, এটি ঠিক তেমনই।” 

নির্মাতা জানিয়েছেন, চলতি মাসের শুরুতেই বিজ্ঞাপনচিত্রটি প্রচারে আসবে। 

এদিকে, শরিফুল রাজ এখন নতুন চলচ্চিত্র ও ওটিটির কয়েকটি প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। অন্যদিকে তিথীও সমান ব্যস্ততা নিয়ে কাজ করছেন মডেলিং ও অভিনয়ে।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

নভেম্বরে দেশে এসেছে ২৮৯ কোটি ডলার প্রবাসী আয়

বিদায়ী মাসে প্রবাসীরা ভালো আয় পাঠিয়েছে। সদ্য শেষ হওয়া নভেম্বর মাসে প্রবাসীরা ২৮৮ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলারের আয় পাঠিয়েছেন, যা গত বছর একই মাসে আসা ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলারের চেয়ে ৬৯ কোটি ডলার বেশি।

ফলে প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩১ দশমিক ৩৮ শতাংশে। সাধারণত একক মাসে এত উচ্চ প্রবৃদ্ধি দেখা যায় না, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং সামষ্টিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রবাসী আয়ের ঊর্ধ্বমুখী ধারা স্থানীয় টাকার মান স্থিতিশীল রাখা ও আমদানি ব্যয় মেটানোয় সহায়তা করাসহ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ভালো থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকে এখন বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ২৬ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ১ হাজার ৩০৩ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। নভেম্বরে মাসে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ছয় ব্যাংকের মাধ্যমে আয় এসেছে ৫৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার, কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২৯ কোটি ৫৯ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার ও বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫৯ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে মোট ৩ হাজার ৩৩ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। তার আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এসেছিল ২ হাজার ৩৯১ কোটি ডলারের প্রবাসী আয়। গত জুলাই-অক্টোবর সময়ে প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলার করে প্রবাসী আয় এসেছে। বিদায়ী মাসে তা তিন বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি এসে পৌঁছেছে।

গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে প্রবাসী আয়ে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে। তাতে গত মার্চে প্রবাসী আয়ে রেকর্ড হয়। ওই মাসে ৩২৯ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল, যা এখন পর্যন্ত একক কোনো মাসে দেশে আসা সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়। এরপর প্রবাসী আয় এক মাসে আর ৩০০ কোটি ডলার ছড়ায়নি। প্রবাসী আয় বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, অর্থ পাচার কমে আসায় অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা কমে গেছে। এ ছাড়া ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের বিনিময় হার স্থিতিশীল রয়েছে। এ জন্য বৈধ পথে আয় আসা বেড়েছে।

ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ভালো পরিমাণ প্রবাসী আয় আসায় পণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র খুলতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। সামনে রমজানের খাদ্যপণ্যের জন্য ব্যাংকগুলো এখন ঋণপত্র খুলছে। সংকট না থাকায় ডলারের দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। এ ছাড়া এখন যে কেউ চাইলে ঋণপত্র খুলতে পারছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ