বাংলাদেশ-সৌদির মধ্যে হজ চুক্তি, এজেন্সি কোটা এক হাজারই বহাল
Published: 12th, January 2025 GMT
সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ২০২৫ সালের হজ চুক্তি সই হয়েছে । রোববার সৌদির জেদ্দায় দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়। ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী তৌফিক বিন ফাওজান আল রাবিয়াহ এতে সই করেন।
অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশের সার্বিক হজ ব্যবস্থাপনার অগ্রগতি নিয়ে সৌদির মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন। এ সময় দেশি এজেন্সিগুলোর সর্বনিম্ন কোটা এক হাজার থেকে আরও কমানোর অনুরোধ করেন তিনি। তবে এতে রাজি হননি সৌদির হজ মন্ত্রী।
এর আগে গত অক্টোবরে সৌদির মন্ত্রীকে এজেন্সি প্রতি ন্যূনতম হজযাত্রীর কোটা দুই হাজার থেকে কমিয়ে ২৫০ জন করার অনুরোধ করেন ধর্ম উপদেষ্টা। এর প্রেক্ষিতে ২০২৫ সালের সংখ্যাটি এক হাজার করে সৌদি। তবে আগামী বছর এ কোটা আবারও দুই হাজার জনই হবে।
হজ এজেন্সির মালিকদের সংগঠন হাব জানিয়েছিল, কোটার সংখ্যা না কমালে সুষ্ঠুভাবে হজ কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব হবে না। গত ৯ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে হাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড.
এদিকে এজেন্সি কোটা ৫০০ বহাল রাখার দাবিতে রোববার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা করেন হজ এজেন্সির মালিকরা। এরপর প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৮ম ড্যাফোডিল ক্যাপ্টেন কাপ গলফ টুর্নামেন্টে দেশি প্রযুক্তি
দেশি প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও আত্মনির্ভরতার এক অনুপ্রেরণামূলক প্রতিচ্ছবি হয়ে ঢাকার কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের সবুজ মাঠে এবারের ‘৮ম ড্যাফোডিল ক্যাপ্টেন কাপ গলফ টুর্নামেন্ট ২০২৫’ আয়োজনটি ছিল ব্যতিক্রমী। সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টটি শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয় বরং বন্ধুত্ব, শৃঙ্খলা ও মানসিক প্রশান্তির এক মহামিলনমেলা।
খেলাধুলা ও সুস্থ জীবনধারার প্রসারে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসা ড্যাফোডিল গ্রুপ এ বছরও সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল গর্বিত অংশীদার। গত শুক্রবার (২৪ অক্টোবর ২০২৫), সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ও কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ড্যাফোডিল গ্রুপ ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান মো. সবুর খান এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট ও কেজিসি ভাইস প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক। এ ছাড়া দেশ-বিদেশের গলফার, সামরিক ও বেসামরিক অতিথিবৃন্দ এবং বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন।
তিন দিনব্যাপী এ আয়োজনে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন গলফ ক্লাবের প্রায় ৬৫২ জন গলফার। টুর্নামেন্ট শেষে কর্নেল মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চ্যাম্পিয়ন, কর্নেল মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম রানার আপ এবং মিসেস জিন সুক ইউন লেডিস উইনার হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
আরও পড়ুনহার্ভার্ডের গবেষণা বলছে, মূল্য হারাতে বসেছে ১০ ডিগ্রি২৮ অক্টোবর ২০২৫এই বছরের টুর্নামেন্টে ব্যবহৃত গলফ ছাতাটি ছিল সম্পূর্ণ দেশি উদ্যোগে তৈরি, যা বাংলাদেশের ব্যবসা ও উদ্যোগের জগতে এক নতুন অধ্যায়। এটি প্রমাণ করে বাংলাদেশেও স্পোর্টসের সামগ্রী দেশিভাবে তৈরি ও রপ্তানি করা সম্ভব। এ নিয়ে মো. সবুর খান বলেন, ‘এই ধরনের সব খেলার সামগ্রী আমাদের সাধারণত বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। তবে আমরা চাইলে খেলার সামগ্রীগুলোর ক্ষেত্রে আমদানিমুখী না হয়ে নিজেদের উদ্যোক্তাদের ব্যবহার করে বাইরের দেশে উল্টো রপ্তানি বাড়াতে পারি। এই ছাতার মান হয়তো প্রথমবারেই শতভাগ আন্তর্জাতিক নয়, কিন্তু এই সামান্য ছাতাই আমাদের সাহসের প্রতীক, দেশি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা।
বিজ্ঞপ্তি