ঢাকায় ভারতের ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ বছর এক দিন আগেই প্রজাতন্ত্র দিবস অনুষ্ঠানের আয়োজন করলো ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন। 

এ উপলক্ষে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল রেডিসনে এই অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “বর্তমান সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বহুমুখী গণতন্ত্রের জন্য একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। সরকার এ লক্ষ্যে কাজ করছে।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের সম্পর্ক বহুমুখী ও বিস্তৃত। আমরা একে অপরের সম্পর্ক সমতার ভিত্তিতে এগিয়ে নিতে চাই। আগামী দিনে পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা করি।”

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, “বাংলাদেশ ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। দুই দেশ সঙ্গীত, কলা, ইতিহাস, ভাষা, সংস্কৃতি ভাগাভাগি করে থাকে। আমাদের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের। ভারত একটি গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায়।” 

তিনি প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, কূটনীতিক, শিল্পী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।

১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারত শাসনের লক্ষ্যে ১৯৩৫ সালের ভারত সরকার আইনের পরিবর্তে ভারতীয় সংবিধান কার্যকর হওয়ার ঘটনাকে স্মরণ করে প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয়। এটি ভারতের একটি জাতীয় দিবস।

ঢাকা/হাসান/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মুশফিকের প্রেমকাহিনির মঞ্চে ম্যাথুসের বিদায়ী সুর

* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্টে বাংলাদেশের একটাই জয়। সেটি আবার শ্রীলঙ্কাতে। সেই জয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে বলে আপনার তা খুব ভালোমতোই মনে থাকার কথা।

* টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৬০০ ছাড়ানো একমাত্র স্কোরটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেটিও শ্রীলঙ্কাতে।

* টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হ্যাঁ, হ্যাঁ, সেটিও শ্রীলঙ্কাতেই।

শেষ দুটি আবার একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুটি একই টেস্টে। ২০১৩ সালে যে টেস্টে বাংলাদেশের ৬৩৮, সেটিতেই মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি। টানা ১২ টেস্টে হারার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ড্র-ও।

এই পুরোনো প্যাচাল খুব বেশি অপ্রাসঙ্গিক লাগবে না, যখন জানবেন ওই টেস্টটা হয়েছিল গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। পশ্চাৎপটে অতিকায় গল ফোর্টের পাথুরে কাঠামো আর দুই পাশে সাগর মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের একটি। ২০০৪ সালে সুনামিতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর পুনর্জন্ম নেওয়া গলের সেই মাঠেই আজ শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট। শুরু আসলে তিন ধরনের ক্রিকেটেই একে অন্যের নাড়ি-নক্ষত্র বুঝে নেওয়ার লড়াই। যাতে টেস্ট আছে, ওয়ানডে আছে, আছে টি-টোয়েন্টিও। দুই টেস্টের পর সাদা বলের সিরিজে তিনটি করে ম্যাচ।

আরও পড়ুনআমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিনতে হলে এই লেখাটা পড়তে হবে০২ জুন ২০২৫

দুই দল পরস্পরের খুব চেনা। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ২৬টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঘন ঘন দেখা হলে হৃদ্যতা যেমন হয়, তেমনি রেষারেষিও। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। গত কয়েক বছরে এই দুই দল মুখোমুখি হলেই মাঠে বা মাঠের বাইরে উত্তেজনার ফুলকি ছুটেছে। ‘টাইমড আউট’ হয়তো সেটির এক নম্বরে, এর বাইরেও নানা কিছু মিলে লঙ্কা-বাংলা এখন গনগনে এক দ্বৈরথের নাম।

গত চার বছর দুই দলের মধ্যে চতুর্থ টেস্ট সিরিজ। দুই দলের জন্যই রণকৌশল ঠিক করা তাই খুব সহজ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ দলের জন্য হয়তো তা থাকছে না শ্রীলঙ্কা দলে নতুনের সমারোহে। ১৮ জনের দলের এক–তৃতীয়াংশই এখনো টেস্ট খেলার অপেক্ষায়। বাংলাদেশ দলেও কিছু পরিবর্তন আছে, তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে নয়।

টেস্টের প্রস্তুতিতে গলে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল

সম্পর্কিত নিবন্ধ