নিটার ১৪তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন, নবীন শিক্ষার্থীদের সাংবাদিকতার আহ্বান
Published: 27th, January 2025 GMT
ঢাকার সাভারের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (নিটার) সাংবাদিক সমিতির (নিসাস) আয়োজনে ১৪তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া নিসাসের নতুন কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) উপজেলার নয়ারহাট এলাকায় ক্যাম্পাস অডিটোরিয়ামে ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই ওরিয়েন্টেশন হয়। এতে সাংবাদিকতায় আগ্রহী শতাধিক নবীন শিক্ষার্থী যোগ দেন।
নিটার পরিচালক অধ্যাপক ড.
আরো পড়ুন:
সাংবাদিক জোবদুল হক মারা গেছেন
সাংবাদিক তুরাব হত্যা মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা দস্তগীর বরখাস্ত
অনুষ্ঠানে নিসাস সভাপতি ফাহিম আলমের সভাপতিত্বে ও শামীমাতুস সাবাহ্ মুগ্ধর সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডির জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক নাজমুল হোসেন, একুশে টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম সাব্বির, গণবিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সানজিদা জান্নাত, নিসাস সাধারণ সম্পাদক মো. রুবায়েত রশীদ, দপ্তর সম্পাদক লাবিবা সালওয়া ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আশেকুল আলম রানা বলেন, “ক্যাম্পাসের প্রতিটি অংশীজনের বক্তব্য তুলে ধরতে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। তবে সাংবাদিকতায় অবশ্যই বস্তুনিষ্ঠতা ও সত্যতা যাচাই নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নিয়ে তথ্যবহুল খবর প্রচার করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকতায় আগ্রহের কথা জানিয়ে বক্তব্য দেন। ফারদিন আহমেদ সাজিদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, “বাবার জোরাজুরিতে খবর দেখতাম, পড়তাম। নিজেরও সাংবাদিকতা নিয়ে আগ্রহ ছিল। ক্যাম্পাসে আসার পর নিসাস আমাদের আহ্বান জানায়। আমি নিজে সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসকে তুলে ধরতে চাই।”
এছাড়া মাহমুদ আল আবছার শায়ের নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “সাংবাদিকরা যেভাবে চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করে, তথ্য রাখে ও প্রচার করে, সেটি আমাকে খুবই আলোড়িত করে। একইভাবে আমিও তথ্য প্রচার করতে সাংবাদিকতায় আগ্রহ প্রকাশ করি। সেজন্যই নিসাসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি।”
ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান শেষে নিসাসের চতুর্থ কার্যকরি পরিষদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন সদ্য সাবেক সভাপতি ফাহিম আলম। নতুন কমিটির সভাপতি হয়েছেন মো. রুবায়েত রশীদ, সহ-সভাপতি নবনীতা ঘোষ স্বপ্নীল, সাধারণ সম্পাদক লাবিবা সালওয়া ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মিঠুন দাস মিঠু, দপ্তর সম্পাদক সিফার হায়দার শিবিব, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক মোবাশ্বির রফিক, সহ-দপ্তর সম্পাদক উম্মে জান্নাত জেসি, সহ-সাংগাঠনিক সম্পাদক সাব্রিন ইমন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আরাফাত কাদির মাহিন, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শামীমাতুস সাবাহ্ মুগ্ধ, কোষাধ্যক্ষ নাফিস ইরাম।
এছাড়া কার্যকরি সদস্য হয়েছেন এম এম মোহতাসীম শাহরিয়ার, অপরাজিতা অর্পা, লতিফুর রহমান লিহাদ, আবিদা সুলতানা এশা এবং সাংগঠনিক সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন সামিহা জান্নাত, অঙ্কিতা পোদ্দার, আফরোজা আলম তানি, তাসমিয়া নওশিন দীপিতা।
ঢাকা/সাব্বির/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব দ কত য় ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
রুয়া নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এর আগে তাঁরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রুয়া অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মে পুনর্মিলনী এবং ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপিপন্থী সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুই পক্ষের নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি যুক্তি চলতে থাকে।
এদিকে গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ জারি করেন রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘সিলেকশন না ইলেকশন, ইলেকশন ইলেকশন’, ‘প্রশাসন জবাব দে, রুয়া কি তোর বাপের রে’, ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে চলবে না’, ‘অ্যাডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’, ‘সিন্ডিকেট না রুয়া, রুয়া রুয়া’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
এ সময় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদেরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। পরে জামায়াত ইসলামীর কয়েকজন নেতাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। বিকেল ছয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ মে রুয়া নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ সেই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। যারা রুয়া নির্বাচন দিতে পারে না, তারা রাকসু নির্বাচন কীভাবে বাস্তবায়ন করবে? ১০ মের নির্বাচন সেই একই তারিখে হতে হবে। এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’