তুরস্কের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক গোষ্ঠী কেওসি হোল্ডিংস বিশ্বব্যাপী তাদের কারখানাগুলোতে পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যে বাংলাদেশে একটি উৎপাদনকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই পরিকল্পনার কথা জানান কোম্পানিটির কর্মকর্তারা।

৬০ বিলিয়ন ডলারের এই তুর্কি কোম্পানির টেকসই ইউনিটের সভাপতি ফাতিহ কেমাল এবিচলিওগ্লুর নেতৃত্বে একটি ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

ফাতিহ জানান, কয়েক বছর আগে তার কোম্পানি সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড অধিগ্রহণের পর নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে একটি হোম অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদন কারখানা স্থাপন করেছে।

বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ‘‘আমরা আমাদের বিনিয়োগের দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছি। বাংলাদেশে ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।’’

অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে আরো তুর্কি বিনিয়োগকে স্বাগত জানান এবং বলেন, ‘‘বাংলাদেশ এখন ব্যবসার জন্য প্রস্তুত।’’

তুর্কি কোম্পানিটির প্রতিনিধিদলের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘‘বাংলাদেশে কারখানা স্থাপন করুন এবং এখান থেকে তুরস্ক, ইউরোপ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানি করুন।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘বাংলাদেশ হালাল পণ্যের উৎপাদনকেন্দ্র হতে পারে। এছাড়াও এটি সহজেই একটি অ্যাসেম্বলি বিনিয়োগকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।’’

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/হাসান/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

মুশফিকের প্রেমকাহিনির মঞ্চে ম্যাথুসের বিদায়ী সুর

* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্টে বাংলাদেশের একটাই জয়। সেটি আবার শ্রীলঙ্কাতে। সেই জয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে বলে আপনার তা খুব ভালোমতোই মনে থাকার কথা।

* টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৬০০ ছাড়ানো একমাত্র স্কোরটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেটিও শ্রীলঙ্কাতে।

* টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হ্যাঁ, হ্যাঁ, সেটিও শ্রীলঙ্কাতেই।

শেষ দুটি আবার একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুটি একই টেস্টে। ২০১৩ সালে যে টেস্টে বাংলাদেশের ৬৩৮, সেটিতেই মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি। টানা ১২ টেস্টে হারার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ড্র-ও।

এই পুরোনো প্যাচাল খুব বেশি অপ্রাসঙ্গিক লাগবে না, যখন জানবেন ওই টেস্টটা হয়েছিল গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। পশ্চাৎপটে অতিকায় গল ফোর্টের পাথুরে কাঠামো আর দুই পাশে সাগর মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের একটি। ২০০৪ সালে সুনামিতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর পুনর্জন্ম নেওয়া গলের সেই মাঠেই আজ শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট। শুরু আসলে তিন ধরনের ক্রিকেটেই একে অন্যের নাড়ি-নক্ষত্র বুঝে নেওয়ার লড়াই। যাতে টেস্ট আছে, ওয়ানডে আছে, আছে টি-টোয়েন্টিও। দুই টেস্টের পর সাদা বলের সিরিজে তিনটি করে ম্যাচ।

আরও পড়ুনআমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিনতে হলে এই লেখাটা পড়তে হবে০২ জুন ২০২৫

দুই দল পরস্পরের খুব চেনা। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ২৬টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঘন ঘন দেখা হলে হৃদ্যতা যেমন হয়, তেমনি রেষারেষিও। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। গত কয়েক বছরে এই দুই দল মুখোমুখি হলেই মাঠে বা মাঠের বাইরে উত্তেজনার ফুলকি ছুটেছে। ‘টাইমড আউট’ হয়তো সেটির এক নম্বরে, এর বাইরেও নানা কিছু মিলে লঙ্কা-বাংলা এখন গনগনে এক দ্বৈরথের নাম।

গত চার বছর দুই দলের মধ্যে চতুর্থ টেস্ট সিরিজ। দুই দলের জন্যই রণকৌশল ঠিক করা তাই খুব সহজ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ দলের জন্য হয়তো তা থাকছে না শ্রীলঙ্কা দলে নতুনের সমারোহে। ১৮ জনের দলের এক–তৃতীয়াংশই এখনো টেস্ট খেলার অপেক্ষায়। বাংলাদেশ দলেও কিছু পরিবর্তন আছে, তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে নয়।

টেস্টের প্রস্তুতিতে গলে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল

সম্পর্কিত নিবন্ধ