পঞ্চগড়ে চারদিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
Published: 1st, February 2025 GMT
পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা টানা চারদিন ধরে ৯ থেকে ১০ এর মধ্যেই ওঠানামা করছে। চারদিন ধরে বয়ে চলেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে গোটা এলাকা। সকাল ১০টা ১১টার পর সূর্যের দেখা গেলে স্বস্তি ফেরে জনজীবনে। বিকাল থেকে হালকা কুয়াশার সঙ্গে শুরু হয় তীব্র শীত।
শনিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।
আগের দিন শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ২৩ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রতিদিন ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। এতে দিনমজুর, পাথর শ্রমিক, বালু শ্রমিক, রিকশা ভ্যানচালক, কৃষি শ্রমিকসহ সকালে কাজে যোগ দেওয়া খেটে খাওয়া মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে দেখা যায়।
উপজেলা সদরের জগদলহাট এলাকার ইজিবাইক চালক জমিরুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন ধরেই খুব কুয়াশা আর বাতাস। এই বাতাসের জন্য খুব ঠান্ডা লাগছে। সকালে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। কোনও যাত্রী নেই, আমাদের আয় ইনকাম নেই। দুপুরের রোদ উঠলে কিছুটা ভালো লাগে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। এরপর ১০ এর নিচেই উঠানামা করছে রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। শনিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে তেতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স লস য় স ৯ দশম ক র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রী ও প্রেমিক মিলে হত্যা করে জহুরুলকে: পুলিশ
পরকীয়ার কারণে স্ত্রী শামীমা বেগম এবং তার প্রেমিক বিপুল হোসেন বগুড়ার বেকারি ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম (৪৫) কে হত্যা করে বলে জানিয়েছেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোস্তফা মঞ্জুর।
হত্যায় জড়িত শামীমা বেগম ও বিপুল হোসেনকে গ্রেপ্তার এবং হত্যার রহস্য উদঘাটনের পর বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে বিষযটি সাংবাদিকদের জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
আরো পড়ুন:
ভোররাতে মাছ ধরতে ডাকাডাকি, বের হতেই হত্যা
চালক মজিবলকে হত্যার পর অটোরিকশা ৯৫ হাজারে বিক্রি করা হয়: পুলিশ
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ভোরে বগুড়া সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নের হাজরাদীঘি তালুকপাড়ার ধানক্ষেত থেকে জহুরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাবা ও মার মধ্যে বিচ্ছেদের পর ছোটবেলা থেকে জহুরুল ওই এলাকায় তার মামার বাড়িতে বসবাস করতেন। পরে মামাত বোনের সঙ্গে জহুরুলের বিয়ে হয়। জহুরুলের মামা তার বাড়ির পাশে মেয়ের বাড়ি বানিয়ে দেন। সেখানে জহুরুল বসবাস করে আসছিলেন।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, ‘‘মোবাইল ফোনের কল রেকর্ডের সূত্র ধরে আমরা আসামিদের ধরতে সক্ষম হয়েছি। গ্রেপ্তারের পর তারা প্রাথমিকভাবে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন।’’
তিনি বলেন, ‘‘আসামিরা জানিয়েছেন, জহুরুলের সঙ্গে বিয়ের আগে থেকে শামীমার সঙ্গে বিপুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু শামীমার বাবা তাকে জহুরুলের সঙ্গে বিয়ে দেন। বিয়ের পর কিছু দিন তাদের মধ্যে সম্পর্ক না থাকলেও তারা পুরনো সম্পর্কে ফিরে আসে এবং অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে থাকে।’’
জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘‘কয়েক দিন আগে জহুরুল তার স্ত্রী শামীমাকে নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে যান। সেখানে গিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এতে শামীমা রাগান্বিত হয়ে প্রেমিক বিপুলকে দিয়ে জহুরুলকে হত্যার পর পরিকল্পনা করেন। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী গত সোমবার (৩ নভেম্বর) শামীমা ১৫টি ঘুমের ওষুধ গুড়ো করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে জহুরুলকে পান করান। জহুরুল ঘুমিয়ে পড়লে মোবাইল ফোনে বিপুলকে ডেকে নেন শামীমা। এরপর তারা দুইজন জহুরুলকে ঘুমন্ত অবস্থায় ধানক্ষেতে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেন।’’
আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
ঢাকা/এনাম/বকুল