মামুন মাহমুদ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হওয়ায় ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির আনন্দ মিছিল
Published: 3rd, February 2025 GMT
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে আহ্বায়ক করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৫ সদ্যের কমিটি ঘোষণা করায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে সিদ্ধিরগঞ্জের ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী নয়াপাড়া থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে কদমতলী কাশেমপাড়া, নাভানা সিটি, কদমতলী কলেজ পাড়া হয়ে কদমতলী পুলে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে নেতাকর্মীরা এলাকাবসী ও দোকানদার মাঝে মিস্টি বিতরন করেন।
সিদ্ধিরগঞ্জের ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দুলাল মিয়া ও মোহাম্মদ সোহেলের আয়োজনে উক্ত অনন্দ মিছিল ও মিস্টি বিতরন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন খোকন, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান প্রিন্স, যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম মিন্টু, মাজহারুল ইসলাম মালি, মানিক মাহমুদ, শাহ-আলম, জসিম উদ্দিন, দেলোয়ার, মোক্তার হোসেন, ছাত্রদল নেতা আরিফুর রহমান শাওন, সঞ্চয়, অভি, পাপ্পু, স্বপন, নয়ন, ৭নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান, শাহ-আলম ও আশ্রফউদ্দিনসহ আরো অনেকে।
এসময় নেতাকর্মীরা বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে আহ্বায়ক করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৫ সদ্যের কমিটি ঘোষণা করায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানায়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ ব এনপ র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।