সিলেটে রান্না করে বিক্রি হচ্ছিল পাখির মাংস, দুই রেস্তোরাঁকে জরিমানা
Published: 11th, February 2025 GMT
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুরে রান্না করা পাখির মাংস বিক্রি করায় দুটি রেস্তোরাঁর মালিককে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তারের নেতৃত্বে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে রান্না করা পাখির মাংসের পাশাপাশি রেফ্রিজারেটর ও পলিথিনে সংরক্ষিত জবাই করা নানা প্রজাতির অসংখ্য পাখিও জব্দ করা হয়। পাখির মাংস বিক্রি করায় অভিযানে তানভীর রেস্টুরেন্ট ও চুয়াডাঙ্গা রেস্টুরেন্টের মালিককে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই হরিপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁয় দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির পাখির মাংস বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এতে বন বিভাগের কর্মকর্তারা প্রসিকিউটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। দুটি রেস্তোরাঁর মালিককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ৯টি রেস্টুরেন্ট থেকে বিভিন্ন প্রজাতির জবাই করা ৭৩টি পাখি জব্দ করা হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তার বলেন, পাখি বিক্রি ও হত্যার অপরাধে দুই রেস্তোরাঁর মালিককে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া সব কটি রেস্তোরাঁকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও এমন অভিযান চলবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রুয়া নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এর আগে তাঁরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রুয়া অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মে পুনর্মিলনী এবং ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপিপন্থী সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুই পক্ষের নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি যুক্তি চলতে থাকে।
এদিকে গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ জারি করেন রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘সিলেকশন না ইলেকশন, ইলেকশন ইলেকশন’, ‘প্রশাসন জবাব দে, রুয়া কি তোর বাপের রে’, ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে চলবে না’, ‘অ্যাডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’, ‘সিন্ডিকেট না রুয়া, রুয়া রুয়া’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
এ সময় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদেরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। পরে জামায়াত ইসলামীর কয়েকজন নেতাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। বিকেল ছয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ মে রুয়া নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ সেই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। যারা রুয়া নির্বাচন দিতে পারে না, তারা রাকসু নির্বাচন কীভাবে বাস্তবায়ন করবে? ১০ মের নির্বাচন সেই একই তারিখে হতে হবে। এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’