Samakal:
2025-05-01@09:50:39 GMT

এবার কেমন দল হলো আবাহনীর?

Published: 11th, February 2025 GMT

এবার কেমন দল হলো আবাহনীর?

নতুন বছর নতুন মৌসুম নতুন ক্রিকেটার দিয়েই শুরু হচ্ছে আবাহনীর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) যাত্রা। গেল বছরের দল থেকে তিন জন ক্রিকেটারকে এবার দলে রেখেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। নতুন করে দলটির প্রধান কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার হান্নান সরকার। দায়িত্ব পেয়েই এগিয়ে চলেছেন দল গঠনে। 

তবে এক বছর আগেই যে দাপট ছিল আবাহনীর, সেটি এখন আর নেই।  রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে পাশার দান উল্টে গেছে। ইসমাইল হায়দার মল্লিকরা চাইলে জাতীয় দলের সব ক্রিকেটারকে খেলতে হতো দলটিতে। মল্লিকরা ক্ষমতা হারানোয় এবার আর সেটি হচ্ছে না। বিগত ১০ বছর ঢাকার ক্রিকেটে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ছিল এই ক্লাবটির কর্মকর্তাদের। ইচ্ছা হলে পুরো নিয়ম পাল্টে দিতেন তারা। একজন করে বিদেশি খেলার যে নিয়ম ছিল, গত মৌসুমে তাও বাতিল করে দেয় আবাহনী চাওয়ায়। 

আওয়ামী লীগের পতনে আবাহনী দুর্বল হলেও প্রিমিয়ার লিগে বিদেশি খেলানোর নিয়ম ফিরছে না। এ বছরও সম্পূর্ণ দেশি ক্রিকেটার নিয়ে হবে লিগের খেলা। সে কারণে আর্থিকভাবে সচ্ছল ক্লাবগুলো ঘর গোছাতে শুরু করেছে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনীতে তারকা ক্রিকেটার নেই, তা নয়। নাজমুল হোসেন শান্ত, আফিফ হোসেন, পারভেজ হোসেন ইমন, রাকিবুল হাসান, নাহিদ রানা, রিপন মণ্ডল, শেখ মেহেদিকে নিশ্চিত করার খবর জানান আবাহনীর নতুন কোচ হান্নান সরকার। বিগত বছরগুলোতে হান্নানের জায়গায় ছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন।

ক্রিকেটারদের দলে টানলেও দলবদল না হওয়া পর্যন্ত কোনো কিছুই নিশ্চিত নয়। ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশ (সিসিডিএম) থেকে জানা গেছে, ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি দলবদল অনুষ্ঠিত হবে। লিগের খেলা মাঠে গড়াবে ৩ মার্চ থেকে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম ও বিকেএসপিতে হবে খেলা। ৮ ফেব্রুয়ারি ক্লাবগুলোর সঙ্গে সিসিডিএম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। অর্থাৎ বর্তমান জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ছাড়াই লিস্ট-এ ক্রিকেট শুরু হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড প এল

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।  

প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।  কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।

মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।

নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ