১৪ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ ভালোবাসা দিবসের দিন দীর্ঘদিনের প্রেমিকা পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন বলিউড অভিনেতা প্রতীক বব্বর। এই বিয়েতে ছিল না কোনো জাঁকজমক। গোপনে, অনাড়ম্বরভাবে প্রতীক আর প্রিয়া চিরবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু প্রতীকের বাবা তথা বলিউডের অভিনেতা রাজ বব্বর ছেলের বিয়েতে হাজির ছিলেন না। হাজির ছিলেন না প্রতীকের দুই সৎভাই–বোন। তাই এই বিয়ে নিয়ে এখন জোর আলোচনা বিটাউনে। সম্প্রতি নববধূ পূজা আর এদিকে প্রতীকের সৎভাই আরিয়া বব্বর এ নিয়ে মুখ খুলেছেন। এদিকে চুপ আছেন রাজ বব্বর।

প্রতীক নিজের নাম বদলে প্রতীক স্মিতা পাতিল করে ফেলেছেন। বলিউডের প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেত্রী স্মিতা পাতিলের ছেলে প্রতীক। প্রতীক আর পূজা পাঁচ বছর ধরে ‘লিভ ইন’ সম্পর্কে আছেন। ভালোবাসা দিবসের দিন তাঁরা তাঁদের সম্পর্ককে নতুন নাম দিয়েছেন। তবে প্রতীকের বিয়েতে বব্বর পরিবার থেকে কাউকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জোর আলোচনা সর্বত্র।

সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসকে এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আমরা যেমনটা ভেবেছিলাম, আমাদের বিয়ে সে রকমভাবেই হয়েছে। আমাদের বিয়েটা ব্যক্তিগত ছিল। আর এই বিয়েতে তাঁরাই উপস্থিত ছিলেন, যাঁরা আমাদের ভালোবাসেন। আমাদের বিয়েটা আরও বিশেষ ছিল; কারণ, আমরা প্রতীকের মায়ের বাড়িতে বিয়ে করেছি। তিনি এই বাড়িটা কিনেছিলেন, যাতে প্রতীকের সঙ্গে বাড়িটাতে থাকতে পারেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এমনটা ঘটেনি। আমাদের বিশ্বাস যে এটা আমাদের জন্য ওনার উপহার। তিনি চাইতেন যে এই বাড়িটাতে আমরা বিয়ে করি, আমরা তাই-ই করেছি।’

বিয়ের আসরে পূজা ও প্রতীক। ইনস্টাগ্রাম থেকে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম দ র ব

এছাড়াও পড়ুন:

নোবিপ্রবির আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা স্থায়ী বহিষ্কার 

আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী পরিচালক জিয়াউর রহমান ভূঁইয়াকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অশ্লীল ও শিষ্টাচার বহির্ভূত মন্তব্য করায় স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আরো পড়ুন:

জুলাই বিরোধিতা: ইবির ৩০ শিক্ষক-কর্মচারী ও ৩৩ ছাত্রলীগ নেতার ‘শাস্তি’

আ.লীগে যোগ দেওয়া মুবিনকে আইনজীবী ফোরাম থেকে বহিষ্কার 

সোমবার (৩ নভেম্বর) নোবিপ্রবির রেজিষ্টার (ভারপ্রাপ্ত) মো. তামজীদ হোসাইন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের  রিজেন্ট বোর্ডের ৬৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  

নোটিশে বলা হয়েছে, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী পরিচালক জিয়াউর রহমান ভূঁইয়া অননুমোদিতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত বিদেশে গমন করেন, যা সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল ) বিধিমালা ২০১৮ এর ধারা ২(চ) অনুযায়ী ‘পলায়ন’ ।

এছাড়া একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়েও রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রকাশ করায় ‘নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ,২০০১’ এর ধারা ৪৭(৫) এর স্পষ্ট লঙ্ঘন। 

নোটিশে আরো বলা হয়েছে, গত ২৮ মে  আপনাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হলে সেটির জবাব যথাযথ হয়নি। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটি আপনাকে পুনরায় ৭ জুলাই বিজ্ঞ আইনজীবীর মতামত এবং ৩১ জুলাই প্রেরিত নোটিশের জবাব না দেয়ায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর নোবিপ্রবি রিজেন্ট বোর্ডের ৬৭ তম সভার আলোচ্যসূচি-১৮ এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১ এর ৪৭(৮) ধারা অনুযায়ী এবং সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল ) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ৩ (খ) ও (গ) অনুযায়ী নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর সহকারী পরিচালক (সামরিক বরখাস্ত) পদ থেকে চূড়ান্ত বা স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোনো লেনদেন থাকলে সেটি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও বিধি অনুযায়ী নিষ্পত্তি করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে জিয়াউর রহমান ভূঁইয়া আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়ামী রাজনীতির বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে থাকেন এই কর্মকর্তা।

ঢাকা/শফিউল্লাহ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ