ট্যাব ব্যবস্থাপনায় অ্যান্ড্রয়েডের জন্য গুগল ক্রোমে নতুন সুবিধা
Published: 18th, February 2025 GMT
অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন দুটি সুবিধা চালু করেছে গুগল ক্রোম। নতুন সুবিধার ফলে ব্রাউজারে ট্যাব ব্যবস্থাপনা আরও সহজ হবে। নতুন আপডেটে ট্যাব সার্চ ও ট্যাব গ্রুপ সিঙ্ক সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে।
গুগল ক্রোমের নতুন আপডেটে ট্যাব সুইচার অংশে ‘সার্চ ইউর ট্যাবস’ নামে একটি সার্চবার যোগ করা হয়েছে। এটি চালু থাকা ওয়েবসাইটগুলোর তালিকার ওপরে থাকবে এবং স্ক্রিনের উপরে দেখা যাবে। ফলে ব্যবহারকারীরা সহজেই প্রয়োজনীয় ট্যাব খুঁজে নিতে পারবেন। সার্চ অপশনে ক্লিক করলে প্রথমে সাম্প্রতিক ট্যাবগুলোর তালিকা দেখা যাবে। এরপর নির্দিষ্ট কোনো শব্দ লিখলে সেটির সঙ্গে মিল থাকা ট্যাব, বুকমার্ক, ব্রাউজিং ইতিহাস ও ওয়েব অনুসন্ধান থেকে সংশ্লিষ্ট ফলাফল দেখাবে। ব্যবহারকারী সরাসরি কাঙ্ক্ষিত ট্যাবে যেতে পারবেন। নতুন এই সুবিধা ব্যক্তিগত মোডেও কাজ করবে। ডেস্কটপ সংস্করণে আগে থেকেই এই সুবিধা চালু ছিল। তবে এবার অ্যান্ড্রয়েডের জন্য ক্রোমের সর্বশেষ সংস্করণে এটি চালু করা হয়েছে।
ট্যাব ব্যবস্থাপনাকে আরও সহজ করতে ট্যাব গ্রুপ সিঙ্ক নামে আরেকটি সুবিধা চালু করেছে গুগল। এতে ব্যবহারকারী একাধিক ডিভাইসে একই ট্যাব গ্রুপ ব্যবহার করতে পারবেন। ট্যাব গ্রিডের ওপরে নতুন একটি চিহ্ন যুক্ত হয়েছে, যেখানে ব্যবহারকারীর অন্যান্য ডিভাইসে খোলা ট্যাব গ্রুপগুলোর তালিকা দেখা যাবে। অর্থাৎ, যদি কেউ ডেস্কটপে কোনো ট্যাব গ্রুপ তৈরি করেন, সেটি তার ক্রোমে সাইন ইন করা অন্য ডিভাইসেও পাওয়া যাবে। এই সুবিধা নিয়ন্ত্রণের জন্য সেটিংস মেনুতে একটি অপশন রয়েছে। এটি ডিফল্টভাবে চালু থাকবে। তবে ব্যবহারকারী চাইলে এটি বন্ধ করতে পারবেন।
গুগল আরও কিছু নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে। ২১ দিন ধরে ব্যবহৃত না হলে সেই ট্যাব ‘ইনঅ্যাকটিভ ট্যাব’ নামে নতুন একটি বিভাগে স্থানান্তরিত হবে। ব্যবহারকারীরা চাইলে এই সুবিধাটি সম্পূর্ণ বন্ধ করতে পারবেন অথবা ৭ বা ১৪ দিন পর নিষ্ক্রিয় ট্যাব সরানোর জন্য নির্ধারণ করতে পারবেন। একই ওয়েবসাইট যদি একাধিকবার খোলা থাকে, তবে শুধুমাত্র সর্বশেষ ব্যবহৃত ট্যাবটি সংরক্ষিত থাকবে, বাকিগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে আর্কাইভ হয়ে যাবে। এছাড়া, ৬০ দিন ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা ট্যাবগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। তবে ব্যবহারকারী চাইলে ব্রাউজিং ইতিহাস থেকে সেই ট্যাব পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।
সূত্র: ৯টু৫গুগল ডটকম
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এই স ব ধ ব যবহ র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মন্তব্যে ভারতে ক্ষোভ, কী বলেছেন তিনি
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সাধারণত আলোচনার কেন্দ্রে আসেন না। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে খবরের শিরোনাম হয়ে উঠেছেন তিনি—শুধু পাকিস্তানে নয়, সীমানা পেরিয়ে ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন কূটনৈতিক কেন্দ্রেও।
ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর কয়েক দিন আগে কাশ্মীর নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন আসিম মুনির। তাঁর এসব মন্তব্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থান ও আঞ্চলিক উত্তেজনায় তাদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীরকে পুরোপুরি নিজেদের বলে দাবি করে। কিন্তু তারা এটির একেক অংশ শাসন করে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে এ ভূখণ্ড।
জেনারেল মুনিরের বক্তব্য যদিও প্রত্যক্ষভাবে পেহেলগামের হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, তবু তাঁর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এটিকে বেশি আগ্রাসী মনোভাবের হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল আসিম মুনিরকে বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। দেশটির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ, সরকারকে ক্ষমতায় বসানো ও অপসারণে দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনী নানা ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ করা হয়ে থাকে। এখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী প্রতিবেশী এ দুই দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছেন তিনি।
ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’২০২২ সালের নভেম্বরে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেন জেনারেল মুনির। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁকে প্রকাশ্যে তেমন কথা বলতে শোনা যায়নি। তবে তাঁর একটি বক্তব্য ব্যাপকভাবে মনোযোগ কেড়েছে।
আরও পড়ুনভারতে অনলাইনে ছড়ানো হচ্ছে মুসলিমবিদ্বেষী গান, কনটেন্ট২৯ এপ্রিল ২০২৫ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’
জেনারেল মুনিরের এ বক্তব্যের সঙ্গে পেহেলগামে হামলার কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকতে পারে। কেননা পাকিস্তানের নেতারা অনেক বছর ধরেই এমন ধরনের আদর্শিক বক্তব্য–বিবৃতি দিয়ে আসছেন।
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার স্থলে ছড়িয়ে আছে চেয়ার–টেবিল