কোয়ান্টাম চিপ তৈরি করেছে মাইক্রোসফট
Published: 24th, February 2025 GMT
কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের জন্য নতুন ধরনের চিপ তৈরি করেছে মাইক্রোসফট। ‘মেজোরানা ১’ নামের চিপটি ১০ লাখ টপোলজিক্যাল কিউবিটসহ একটি কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির জন্য বেশ সহায়ক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মাইক্রোসফট কয়েক বছর আগে মেজোরানা কোয়াসিপার্টিকলস ব্যবহার করে টপোলজিক্যাল কিউবিট তৈরির কাজ শুরু করে। এই কিউবিট ছোট ও সহজাতভাবে স্থিতিশীল বলে কোয়ান্টাম কম্পিউটারের জন্য বেশ উপযোগী।
কোয়ান্টাম কম্পিউটার পারমাণবিক ফিউশনসহ বড় কাজে ব্যবহারের সুযোগ আছে। যদিও এমন কম্পিউটারের স্থিতিশীলতা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। কোয়ান্টাম ইঞ্জিনিয়াররা কোয়ান্টাম কম্পিউটারের ত্রুটি কমানোর জন্য কিউবিটকে স্থিতিশীল করার উপায় খুঁজছেন। সেই উপায়ের অংশ হিসেবে মাইক্রোসফট মেজোরানা ১ নামের চিপ তৈরি করেছে। এই চিপ বর্তমানের এক হাজার কিউবিটের মাত্রাকে অতিক্রম করেছে।
অন্যান্য কোয়ান্টাম কম্পিউটারে যে কিউবিট ব্যবহার করা হয়, তার পরিবর্তে মাইক্রোসফটের প্রকৌশলীরা টপোলজিক্যাল কিউবিট নামে পরিচিত একটি কিউবিট তৈরির জন্য একটি ভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন। তাত্ত্বিকভাবে নতুন চিপ স্থিতিশীল ও আরও মাপযোগ্য। মেজোরানা কোয়াসিপার্টিকল নামে পরিচিত এই কণা আসলে কোনো কণা নয়। কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে এরা উদ্ভূত হয়। এই নতুন কাঠামোকে মাইক্রোসফট টপোকন্ডাক্টরস হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। নেচার জার্নালে এই প্রসেসর নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।
মাইক্রোসফটের টেকনিক্যাল ফেলো ক্রিস্টা সোভোর বলেন, ‘আমরা একটি চিপের নকশা করেছি, যা মেজোরানার উপস্থিতি পরিমাপ করতে সক্ষম ও মেজোরানা আমাদের একটি টপোলজিক্যাল কিউবিট তৈরি করে দেয়। এই টপোলজিক্যাল কিউবিট নির্ভরযোগ্য, ছোট ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য। কিউবিটের যে ত্রুটি দেখা যায়, তার সমাধান করে এই কাঠামো। যদিও বর্তমানে মেজোরানা ১ মাত্র আটটি বিশেষ কিউবিট ধারণ করে।’
কয়েকজন বিজ্ঞানী অবশ্য এমন প্রযুক্তি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। টপোলজিক্যাল কিউবিট নিয়ে বিস্তারিত কোনো গবেষণাপত্র নেই বলে সন্দেহ করেন বিজ্ঞানীরা। সমালোচনার বিষয়ে মাইক্রোসফটের টেকনিক্যাল ফেলো চেতন নায়েক বলেন, নতুন চিপের মাধ্যমে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং যুগ শুরু হতে পারে, যা আগে কয়েক দশক দূরে মনে করা হতো।
সূত্র: পপুলার মেকানিকস
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
রংপুর-৩: জাতীয় পার্টির আসন দখলে নিতে প্রচারণা শুরু বিএনপির
কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন রংপুর-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পার্টির কব্জায় থাকা এ আসনটি দখলে নিতে অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
রংপুর-৩ আসনটি মূলত নগরীর কোতোয়ালি, সদর ও সিটি করপোরেশনের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত। প্রায় চার লাখের বেশি ভোটারের এ আসনে দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পার্টি শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে। এই আসনে সর্বশেষ নির্বাচনে জয় পেয়েছিলেন জি এম কাদের।
আরো পড়ুন:
এটাই হয়তো আমার শেষ নির্বাচন: মির্জা ফখরুল
কিশোরগঞ্জ-৪, নতুন করে আলোচনায় ফজলুর রহমান
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর নগরীর ঐতিহ্যবাহী কেরামতিয়া মসজিদে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নামাজ পড়েন সামু। এরপর কেরাম মতিয়া এলাকা, কোর্ট চত্বর ও নগরীর সিটি বাজার এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। এলাকাবাসীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি।
সামু বলেন, “জনগণ এবার পরিবর্তন চায়। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ভোটের মাঠে নামছি। বিএনপির নিরঙ্কুশ বিজয় নিশ্চিত হবে।”
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দলীয় মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সামসুজ্জামান সামুর নাম ঘোষণার পর থেকেই বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। তারা জানান, স্থানীয় নেতৃত্ব ঐক্যবদ্ধ থাকলে জাতীয় পার্টির এই ঘাঁটিতে বিএনপি প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যাবধানে জয়ী হতে পারবে।
রংপুর-৩ আসনটিতে সামসুজ্জামান সামুর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের প্রার্থী ও দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, বাংলাদেশ ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন (চরমোনাই) প্রার্থী ও দলটির রংপুর মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিরুজ্জামান পিয়াল। আলোচনায় রয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির রংপুর মহানগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়ক আলমগীর হোসেন নয়ন।
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেলে এই আসনে প্রার্থী হতে পারেন জাতীয় পার্টির জি এম কাদের।
ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ