ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সংগঠনটির তিন শিক্ষকের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাঁরা সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে একই নামে কমিটি ঘোষণা করে নিজেদের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে পরিচয় দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

আজ সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে সংগঠনটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড.

মোর্শেদ হাসান খান প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।

এই তিন শিক্ষক হলেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম, তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মেজবাহ-উল-ইসলাম এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আল মোজাদ্দেদী আলফেছানী।

গত ডিসেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের ২০২৫-২৬ সালের আহ্বায়ক কমিটি গঠন হয়। তখনই এ কমিটি প্রত্যাখ্যান করে রাতে আলাদা কমিটি ঘোষণা করে পদ না পাওয়া অংশ।

আজকের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে একই নামে সংগঠনের যে তিনজন নিজেদের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে সাদা দলের কোনো ধরনের সম্পর্ক থাকবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সাদা দল’ নামে একটিই সংগঠন আছে, দুটি নয়, এ বিষয়টিও জানানো হয়।

সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান সভাপতিত্ব করেন। আরও উপস্থিত ছিলেন সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক আবদুস সালাম, অধ্যাপক আবুল কালাম সরকার, অধ্যাপক আখতার হোসেন খান, অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, অধ্যাপক মহিউদ্দিন প্রমুখ।

আরও পড়ুনঢাবিতে সাদা দলের নতুন কমিটি, পদ না পেয়ে আলাদা কমিটি একাংশের৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

পরে অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান প্রথম আলোকে বলেন, যেহেতু তাঁরা দল থেকে বের হয়ে গিয়ে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে, তাই বিষয়টি আগেই উত্থাপিত হয়েছিল। আজকে সাধারণ সভায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সর্বসম্মতিক্রমে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তবে এ বিষয়ে ওই তিন শিক্ষকের একজন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি জানি না। তবে কার সঙ্গে কে সম্পর্ক রাখল বা ছিন্ন করল, সেটা তাদের বিষয়।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল ইসল ম স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

বিজিএমইএর নতুন সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, সহসভাপতি হলেন যাঁরা

তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন রাইজিং ফ্যাশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহমুদ হাসান খান। তাঁর নেতৃত্বাধীন নবনির্বাচিত পর্ষদ ২০২৫-২৭ সাল মেয়াদে পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ এই সংগঠনটি পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন।

রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কার্যালয়ে আজ শনিবার সংগঠনটির নতুন সভাপতিসহ সাতজন সহসভাপতি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। বিজিএমইএর নির্বাচন বোর্ডের এক আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন বোর্ড জানায়, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রতিটি পদে কেবল একটি করে বৈধ মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে এবং কোনো আপিল দায়ের হয়নি। এ কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট গ্রহণের প্রয়োজন না হওয়ায় সব প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।

নতুন কমিটিতে বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কেডিএস গ্রুপের এমডি সেলিম রহমান। জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন অনন্ত গার্মেন্টসের এমডি ইনামুল হক খান। সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সফটেক্স সোয়েটারের এমডি মো. রেজওয়ান সেলিম, ফেব্রিকা নিট কম্পোজিটের এমডি মিজানুর রহমান (অর্থ), দেশ গার্মেন্টসের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক বা ডিএমডি ভিদিয়া অমৃত খান, এমিটি ডিজাইনের এমডি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী এবং ফ্যাশন ওয়্যারের এমডি মোহাম্মদ রফিক চৌধুরী।

২০২৫-২৭ সাল মেয়াদে বিজিএমইএর পরিচালনা কমিটির নতুন সদস্য

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তারুণ্যের ভাবনায় লাল সবুজ সোসাইটি
  • বিজিএমইএর নতুন সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, সহসভাপতি হলেন যাঁরা
  • ‘রক্ত দিয়ে যে আনন্দ পাওয়া যায়, তা আর অন্য কিছুতেই নেই’
  • চামড়াশিল্প ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে