Samakal:
2025-04-30@23:58:43 GMT

এই নাকি অভিজ্ঞতা!

Published: 25th, February 2025 GMT

এই নাকি অভিজ্ঞতা!

স্লগ-সুইপে যে তিনিই দলের সেরা, সে দাবি নিয়ে কোনো তর্ক থাকতে পারে না। এই শট খেলেই যে তিনি অনেকবার সফল হয়েছেন, সেটাও অনস্বীকার্য। কিন্তু গতকাল ম্যাচ পরিস্থিতিতে তিনি যখন এই শটটি খেললেন, আর যেভাবে উইকেট দিয়ে এলেন; তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। কুড়ি বছরের মতো তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা। ওয়ানডে আর টি২০ মিলিয়ে প্রায় ১৪টি আইসিসির আসর খেলা মুশফিকুর রহিমের কাছে অন্তত এমন শট আশা করেননি কেউ। ধারাভাষ্যকার ইয়ান স্মিথ তো বলেই দিলেন, ‘এত অভিজ্ঞতা নিয়ে এমন শট.

..’। 

হয়তো তা শুনতে পাননি মুশফিক, কিন্তু যেভাবে মাথা নিচু করে বাইশ গজ ছাড়লেন তিনি, তাতে লজ্জা পেয়েছে বাংলাদেশি সমর্থকরা। শুধু মুশফিকুর রহিমই নন, দলের আরেক অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই বা কী করলেন এদিন। কিউই স্পিনার ব্রেসওয়েলকে ডাউন দ্য উইকেটে চালাতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে বসলেন। শুধু বাংলাদেশ দলেরই নয়, এই আসরে মোহাম্মদ নবিকে বাদ দিলে এরা দু’জনই সবচেয়ে বেশি বয়সী ক্রিকেটার। দু’জনে মিলে পাঁচশর বেশি ওডিআই খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে অথচ তাদের একজন এদিন করলেন ২ আরেকজনের রান ৪।

ভারতের বিপক্ষে শূন্য করার পর মুশফিকুর রহিমের কাছে এদিন দলের প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। বাংলাদেশ দলের শুরুটাও নেহাত মন্দ ছিল না। ৪৫ রানের ওপেনিং জুটি এসেছিল। মিরাজ আউট হওয়ার পর দলের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৬৪। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান তাওহিদ হৃদয় এসে কিছুটা যেন অস্বস্তিতে ছিলেন এদিন। তিনি ব্রেসওয়েলের বলে আউট হয়ে যাওয়ার পর শান্তকে নিয়ে যেখানে ইনিংস গড়ে তোলার দায়িত্ব ছিল মুশফিকের ওপর, সেখানে কিনা হৃদয় আউট হওয়ার ১৪টি বল পরই মুশফিকের আত্মঘাতী শট। যেখানে কিউই অধিনায়ক একপাশ থেকে টানা ব্রেসওয়েলকে বোলিং করিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁর টার্ন দেখে। সেখানে কিনা তাঁর ওপরই চড়াও হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন মুশফিক। 

পিচ কন্ডিশন ও ম্যাচ পরিস্থিতিতে যে কৌশল বদলে নিতে হয়, সে কথা কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করার পর বলেছিলেন ভারতীয় ওপেনার শুভমান গিল। বলেছিলেন প্রথমে পেসারদের খেলেছিলেন তিনি ফ্রন্টফুটে গিয়ে এবং স্পিনারদের খেলেছিলেন ব্যাকফুটে। বিরাট কোহলিও পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর বলেছিলেন কন্ডিশনের কারণে মাঝে তাঁকে শ্লথ খেলতে হয়েছিল। ৩৬ বছর বয়সে তাঁর এই সেঞ্চুরি ইনিংসের স্ট্রাইক রেট ঠিকই আছে। মুশফিক নিশ্চিত এসব সবার চেয়েও ভালো জানেন, কিন্তু তার পরও ভুল হয় তাঁর। তাহলে কি আটত্রিশ ছুঁইছুঁই বয়সই তাঁর দুর্বলতার কারণ। কেননা, যে শটটি তিনি এই বয়সে খেলেছিলেন, তা হয়তো বছর দশেক আগে হলে ছক্কা হয়ে যেত!

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাপারটাও কি ঠিক তাই। তিনিও সদ্য চল্লিশে পা দিয়েছেন। রিফ্লেক্স তাঁরও কি কমে যায়নি। এদিন সাত নম্বরে নেমে যেভাবে আউট হলেন, তা নিশ্চয় কোনো একাডেমিতে ক্রিকেট শিখতে যাওয়া কিশোরের কাছে উদাহরণ হতে পারে না। টানা বোলিং করে যাওয়া ব্রেসওয়েলের সেটাই ছিল কোটার শেষ ওভার। আর সেই ওভারের প্রথম বলেই কিনা চড়াও হলেন তিনি। যেখানে ১০৬ রানে ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছে, একদিক আগলে রেখেছেন শান্ত, সেখানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ঠিক কী চাইছিলেন তখন? ক্যামেরার সামনে কখনও এই প্রশ্ন করলে হয়তো সৌজন্যমাখা উত্তর দেবেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তিনি কিংবা মুশফিকুর রহিম; তারা দু’জনই তাদের স্বর্ণসময় পার করে এসেছেন বহু বছর আগেই।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র সওয় ল উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। 

দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।   

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ