পটুয়াখালীতে এ বছর এসএসসিতে গড় পাসের হার ৫৫.৭২ শতাংশ। তবে, জেলার ৪টি বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেনি কেউ। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) শিক্ষাবোর্ড থেকে ফলাফল ঘোষণার পর জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বিদ্যালয়গুলো হলো- দশমিনা উপজেলার পূর্ব আলীপুর হাই স্কুল, মির্জাগঞ্জ উপজেলার কিসমতপুর গার্লস স্কুল, সদর উপজেলার মিয়াবাড়ি মডেল হাই স্কুল ও দুমকি উপজেলার জলিশা গার্লস স্কুল।

জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় মিয়াবাড়ি মডেল হাই স্কুল থেকে ১ জন, কিসমতপুর গার্লস স্কুল থেকে ২ জন, পূর্ব আলীপুর হাই স্কুল থেকে ৮ জন এবং জলিশা গার্লস স্কুল থেকে ১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন।

আরো পড়ুন:

কাদির মোল্লা স্কুলের ৩২০ শিক্ষার্থীর সবার জিপিএ-৫ অর্জন

দিনাজপুর বোর্ডে ১৩ বিদ্যালয়ের কেউ পাস করেনি

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘‘শতভাগ ফেল করা বিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনিক অবস্থা, পাঠদানের পরিবেশ ও শিক্ষকদের দায়বদ্ধতা খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়া, বোর্ড নীতিমালা অনুযায়ী এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিলে আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব।’’

ঢাকা/ইমরান/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এসএসস র ফল এসএসস গ র লস স ক ল উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফল দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে

গত সাত বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড। এবার এই বোর্ডের পাশের হার ৬৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। মাত্র এক বছরে এই শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার পাশের হার কমেছে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৬২ জন শিক্ষার্থী, যা গত বছরের তুলনায় ৩ হাজার কম।

দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মীর সাজ্জাদ আলী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এবারে এই শিক্ষাবোর্ডের অধীনে রংপুর বিভাগের আটটি জেলার ২ হাজার ৭৮২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট এক লাখ ৮৫ হাজার ৬৭ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে এক লাখ ২২ হাজার ১৪৬ জন। ৬৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ পাশের হারের মধ্যে ছাত্রীর পাশের হার ৬৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ ও ছাত্রদের পাশের হাজার ৬৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি বছর এই বোর্ডের পাশের দাঁড়িয়েছে ৬৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। গত বছর এসএসসি পাশের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এক বছরে পাশের হার কমেছে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। চলতি বছর ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১ লাখ ২২ হাজার ১৪৬ জন। এছাড়া বহিষ্কার হয়েছে ৫৯ জন পরীক্ষার্থীকে।

বিজ্ঞান বিভাগে মোট ৯৯ হাজার ৩০০ জনের পাশ করেছে ৯৮ হাজার ৩০৯ জন। এর মধ্যে ৫২ হাজার ৮৭১ জন ছাত্র ও ৪৫ হাজার ৪৩৮ জন ছাত্রী। মানবিক বিভাগে মোট ৮৩ হাজার ৫২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছেন ৮১ হাজার ৬০১ জন। এর মধ্যে ৩৮ হাজার ৪৬৬ জন ছাত্র ও ৪৩ হাজার ১৩৫ জন ছাত্র। ব্যবসা বাণিজ্য বিভাগে ২ হাজার ২৫২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২ হাজার ৩২৪ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৬০৫ জন ছাত্র ও ৭১৯ জন ছাত্রী।

এবারে এই শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো শিক্ষার্থী পাশ করতে পারেনি, গত বছর যা ছিল চারটি। আর শতভাগ পাশকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪৮টি, গত বছরে যা ছিল ৭৭টি।

এছাড়াও গত বছরে এই শিক্ষাবোর্ডের এসএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ, ২০২৩ সালে ছিল ৭৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ, ২০২২ সালে ছিল ৮১ দশমিক ১৬ শতাংশ, ২০২১ সালে ছিল ৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ, ২০২০ সালে ছিল ৮২ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ছিল ৮৪ দশমিক ১০ শতাংশ। 

১৩ বিদ্যালয়ের কেউই পাশ করতে পারেনি
পরীক্ষায় শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রংপুর বিভাগের আটটি জেলার মোট ১৩টি বিদ্যালয়ের পাশের হার শূন্য। এই বিদ্যালয়গুলো থেকে ৯৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও কেউ পাশ করতে পারেনি।

বিদ্যালয়গুলো হলো- রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার রতনপুর হাই স্কুলের ৪ জন পরীক্ষার্থী, পীরগঞ্জ উপজেলার ছোট উজিরপুর হাই স্কুল ৯ জন পরীক্ষার্থী, গাইবান্ধা জেলার গাঘাটা উপজেলার গুড়িদাহা হাই স্কুল ২৪ জন পরীক্ষার্থী, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিশ্বনাথপুর আদর্শ হাই স্কুল ৪ জন পরীক্ষার্থী, নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাই স্কুল ৪ জন পরীক্ষার্থী, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পূর্ব কুমারপুর আদর্শ হাই স্কুল ১ জন পরীক্ষার্থী, নাগেশ্বরী উপজেলার পেইরাডাঙ্গা হাই স্কুল ১১ জন পরীক্ষার্থী, কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার নাজির মামুদ আদর্শ হাই স্কুল ৯ জন পরীক্ষার্থী, লালমনিরহাট সদর উপজেলার পশ্চিমবড়ুয়া রোটারী হাই স্কুল ৮ জন পরীক্ষার্থী, দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার সাতখামার হাই স্কুল ৮ জন পরীক্ষার্থী, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সেনুয়া হাইস্কুল ২ জন পরীক্ষার্থী, জগন্নাথপুর হাই স্কুল ৪ জন পরীক্ষার্থী, পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ডাবোর ভাঙ্গা হাই স্কুল ১০ জন পরীক্ষার্থী।

কথা হলে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মহা. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এবার সব বোর্ডের ফলাফল খারাপ। এরপরও এই বিষয়টি যাচাই করে দেখা হচ্ছে। তবে পরীক্ষায় পাশের হার কম হওয়ার পেছনে রয়েছে গণিত। এই বিষয়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থী খারাপ ফলাফল করেছে; যা মোট হারের ওপর প্রভাব ফেলেছে। আর যেসব বিদ্যালয় থেকে কেউই পাশ করতে পারেনি সেসব বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গণিত ও ইংরেজি প্রভাব ফেলেছে ফলাফলে
  • মানবিকে কম মেধাবীরা ভর্তি হওয়ায় ফল খারাপ হয়েছে: কুমিল্লার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক
  • কুড়িগ্রামের ৩ বিদ্যালয়ে কেউ পাস করেনি 
  • এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য ও অপ্রত্যাশিত ফল, ৫ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
  • কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজের শতভাগ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে
  • সিংড়ার বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে শতভাগ পাস
  • মাধ্যমিকের স্বাভাবিক ফল, অস্বাভাবিক ফেল
  • লক্ষ্মীপুরে ফলাফলে এগিয়ে রায়পুর, পিছিয়ে রামগতি
  • ৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফল দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে