৬০ টাকার কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়
Published: 10th, July 2025 GMT
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে হাতে ব্যাগ নিয়ে বাজারে যান ক্রেতা হোসেন জয়। দোকানির কাছে কাঁচা মরিচের দাম শুনেই আঁতকে ওঠেন তিনি। এই ক্রেতা বলেন, এক সপ্তাহ আগে আঁধা কেজি কাঁচা মরিচ কিনেছি ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। সপ্তাহ ব্যবধানে এক পোয়ার দাম হয়েছে ৭০ টাকা। এই হিসাবে ২৮০ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ।
হোসেন জয়ের বাড়ি সাটুরিয়া বাজার এলাকায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাপ্তাহিক সাটুরিয়া হাটের খুচরা বাজারে কেনাকাটা করতে যান তিনি। এ সময় তার সঙ্গে কথা হলে বলেন, সবজি ও কাঁচা মরিচ কিনতে বাজারে এসেছেন। কিন্তু হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম শুনেই চমকে ওঠেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সাটুরিয়া হাটে গিয়ে দেখা যায়, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে কাঁচা মরিচের সরবারহ কম। এতে কাঁচা মরিচসহ কয়েকটি সবজির দাম বেড়ে গেছে। ক্রেতারা বলেছেন, এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৫০-৬০ টাকায়। সপ্তাহ ব্যবধানে সেই কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে হয়েছে তিনগুণ। ২০০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এক কেজি কাঁচা মরিচ।
ব্যবসায়ীরা বলেছেন, কয়েকদিনে টানা বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের চাহিদার চেয়ে সরবারহ কম হয়েছে। এতে খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচসহ সব ধরনের সবজির দাম বেশি। বৃষ্টির কারণেই বাজারে সব ধরনের কাঁচা পণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা।
সাটুরিয়া উপজেলার পল্লী হাটের কাঁচা বাজারের আঁড়তের কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃষ্টির কারণে ক্ষেত থেকে কাঁচা মরিচ তুলতে পারছেন না কৃষক। এতে বাজারে মরিচ ও সবজির সরবারহ কমে গেছে। ফলে কাঁচা মরিচের দাম তিনগুণ হয়ে গেছে। বেড়েছে সব ধরণের সবজির দামও। কাঁচা মরিচের দাম হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় অস্বস্থিতে পড়েছেন ক্রেতারা।
সাটুরিয়া হাটে আসা পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, গত সপ্তাহে এই হাটে ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে কাঁচা মরিচ। সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন ২০০ থেকে ২৮০ টাকায়। বৃহস্পতিবার ভোরে পল্লী হাট আঁড়ত থেকে কাঁচা মরিচ পাইকারি কিনতে হয়েছে ২০০ টাকার ওপরে। এছাড়া বৃষ্টির দিনে কাঁচা মরিচ পানি পেলে পচে নষ্ট হয়ে যায়। সব মিলিয়ে প্রকার ভেদে ২০০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করা হচ্ছে।
উপজেলার খুচরা বাজারগুলোতে সপ্তাহ ব্যবধানে কয়েকটি সবজির দাম কেজি প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। খুচরা বাজারে বেগুন এক সপ্তাহ আগে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি ঢেড়সে ১০ টাকা, পটোলে ২০ টাকা, লাউয়ে ৩০ টাকা, করলায় ২০ টাকা দাম বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দামও বেড়েছে কিছুটা। প্রতি কেজি পেঁয়াজে দাম বেড়েছে ৫ টাকা।
পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাঁচা মরিচ ও সবজির দাম ওঠানামা করে। আগের দিন এক দাম ও পরের দিন আরেক দামে বিক্রি হয়ে থাকে। মূলত সরবারহ বাড়লে দাম কমে যায়। আর সরবারহ কমে গেলে দাম বেড়ে যায়।
সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইকবাল হোসেন বলেন, পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে প্রায়ই অভিযান চালানো হয়। খুচরা ও পাইকারি বাজারে কাঁচামাল বেশি দরে বিক্রি করলে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক চ মর চ ম ন কগঞ জ সবজ র দ ম ২৮০ ট ক ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
সখীপুরে স্কুলছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
টাঙ্গাইলের সখীপুরে জিহাদ (১০) নামের এক স্কুলছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, তুচ্ছ ঘটনায় মায়ের বকুনি খেয়ে অভিমানে সে আত্মহত্যা করেছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সখীপুর উপজেলার বেতুয়া গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে জিহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
জিহাদ ওই এলাকার প্রবাসী আনিস মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত।
জিহাদের চাচাত ভাই জনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বাড়িতে একই বয়সের চাচাত ভাইয়ের সঙ্গে জিহাদের ঝগড়া হয়। এতে রাগ করে জিহাদের মা তাকে বকাঝকা করেন। এরপর সে দৌড়ে নিজের ঘরে যায়। রাত ৮টার দিকে ওই ঘরে ঢুকে জিহাদকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, জিহাদের মা বিলাপ করছেন। স্বজনরা তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
আরিফুর রহমান নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি আক্ষেপ করে বলেন, “ঘটনাটি মর্মান্তিক। এটি বর্তমান সময়ে যারা বাবা-মা আছেন, তাদের জন্য শিক্ষণীয়। শিশুর প্রতি কেমন আচরণ করতে হবে, এ বিষয়ে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।”
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবু বকর সিদ্দিক জানিয়েছেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশকে তা জানানো হয়েছে।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ভূঞা বলেছেন, মরদেহ থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। পরিবারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা/কাওছার/রফিক