সাকুরা সায়েন্স এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশ নিতে জাপান গেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। জাপান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এজেন্সির (জেএসটি) আমন্ত্রণ ও অর্থায়নে তাঁরা ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত জাপানের টোকিওতে কোগাকুইন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মশালায় অংশ নিচ্ছেন।

প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্বে দিচ্ছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খোরশেদ আলম। গত সোমবার দুপুরে তাঁরা জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন।

প্রতিনিধিদলের সদস্যরা জাপানের কোগাকুইন ও তোহোকু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গবেষণাগার পরিদর্শন করবেন। পাশাপাশি তাঁরা লেকচার প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ, গবেষণা উপস্থাপন এবং মতবিনিময় সভা করবেন। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও জাপানের কোগাকুইন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতামূলক গবেষণা সহযোগিতা ও যৌথ গবেষণা প্রকল্পের সম্ভাবনা নিয়েও তাঁরা আলোচনা করবেন।

প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক লোকমান হোসেন ও মো.

আসাদুজ্জামান। এ ছাড়া শিক্ষার্থী হিসেবে রয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার ইমন, আল আমিন, আতিকুর রহমান, মৃত্তিকা ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাওনূর রহমান ও পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী কেয়া আলম।

আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স-২০২১–এর বিশ্বসেরা বিজ্ঞানী ও গবেষকদের তালিকায় মর্যাদাপূর্ণ স্থান লাভ করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও গবেষক খোরশেদ আলম। আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা এই সংস্থা সারা বিশ্বের ৭ লাখেরও বেশি বিজ্ঞানীর ও গবেষকের সাইটেশন এবং অন্যান্য ইনডেক্সের ভিত্তিতে প্রতিবছর এই তালিকা প্রকাশ করে। ২০২৪ সালেও তিনি এই তালিকায় সেরাদের মধ্যে রয়েছেন। এ ছাড়া ২০২১ সালে বায়োমেমব্রেন নিয়ে গবেষণা করে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বেস্ট পোস্টার অ্যাওয়ার্ড জেতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদল। এর নেতৃত্বে ছিলেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খোরশেদ আলম।

২০২৩ সালে টেকসই উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিবিষয়ক দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন তাঁর তত্ত্বাবধানে আরেকটি গবেষণা প্রবন্ধ বেস্ট পেপারের স্বীকৃতি পেয়েছিল। সেরা হিসেবে ‘বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করা গবেষণাটির শিরোনাম ছিল ‘সিমুলেশন অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্ট ডেটা মাইনিং ফর মলিকুলার ট্রান্সপোর্ট থ্রু মাল্টিপোল ন্যানোপোরস ইন অ্যান ইলেকট্রোপোরেটেড জায়ান্ট ইউনিলামেলার ভেসিকেল’। গবেষণাটি পরিচালনা করেছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শোভন সাহা।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

নাসির-তামিমার মামলার শুনানি বিব্রত আদালত, বদলির আদেশ 

অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুনানিতে বিব্রত বোধ করেছেন আদালত। মামলাটি অন্য আদালতে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান এ আদেশ দেন।

সোমবার এ মামলায় নাসির হোসেন এবং তামিমা সুলতানার আত্মপক্ষ শুনানির দিন ধার্য ছিল। নাসির হোসেন এবং তামিমা সুলতানা আদালতে হাজির হন।

তাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান দুলু আদালতে দুটি আবেদন করেন। এর মধ্যে বাদীপক্ষের আইনজীবী ইসরাত হাসানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে একটি আবেদন করা হয়। কারণ হিসেবে আজিজুর রহমান দুলু বলেন, “এ মামলার বিচার চলছে। এ অবস্থায় বাদীপক্ষের আইনজীবী গত ১৬ এপ্রিল মিডিয়াতে বলেন, নাসির হোসেন ব্যাভিচার করে তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে গেছেন। বিচার শেষে আদালত নির্ধারণ করবেন, নাসির তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে গেছেন কি না এবং ব্যাভিচার করেছেন কি না।” 

একই সঙ্গে আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলার পুরো অভিযোগ না শুনিয়ে সারসংক্ষেপ পড়ে শোনানোর আবেদন করেন নাসির ও তামিমার আইনজীবী।

এদিকে, বাদীপক্ষের আইনজীবী আদালতে অভিযোগ করেন, আসামিপক্ষের আইনজীবী আগে বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেছেন। আইন অনুযায়ী তিনি এখন আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করতে পারেন না।

দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত বলেন, উভয় পক্ষেরই আবেদন দেওয়ার অধিকার আছে। এটা বিজি কোর্ট। একটা মামলার শুনানি করতে যে ধৈর্য দরকার, এত সময় এই আদালতের নেই। এতে অন্য মামলায় ইফেক্ট পড়ে। আমি বিব্রত বোধ করে মামলাটা অন্য কোর্টে পাঠিয়ে দিই। এতে আপনারা কি নাখোশ হবেন?

তখন আইনজীবীরা জানান, এতে তাদের আপত্তি নেই। তখন আদালত বলেন, মামলাটা বদলি করে সিএমএম বরাবর পাঠিয়ে দিই। সিএমএম মামলাটি একটা কোর্টে পাঠিয়ে দেবেন।

এর আগে গত ১৬ এপ্রিল এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা সুলতানা তাম্মির স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা করেন। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক (নিরস্ত্র) শেখ মো. মিজানুর রহমান তিন জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি আদালত নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। তবে, এ মামলার অপর আসামি তামিমার মা সুমি আক্তারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। 

ঢাকা/এম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অকার্যকর সিসি ক্যামেরা, পানি নেই ছয় মাস
  • ক্রিকেটার নাসির ও তামিমার মামলায় শুনানিতে আদালত বিব্রত
  • নাসির-তামিমার মামলায় বিব্রত আদালত, অন্য আদালতে বদলি
  • নাসির-তামিমার মামলার শুনানি বিব্রত আদালত, বদলির আদেশ