আবহাওয়ার কারণে নির্ধারিত ম্যাচ মাঠে না গড়ানোয় হতাশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি বলেন, ‘আমি খুবই হতাশ। আমরা সত্যিই ম্যাচটি খেলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আবহাওয়ার কারণে কিছুই করার ছিল না।’

তবে সামনের চ্যালেঞ্জের জন্য আশাবাদী শান্ত। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে শান্ত বলেন, ‘আমরা যেভাবে দুটি ম্যাচে দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই করেছি, তা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক। আমাদের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আমরা সঠিক পরিকল্পনা করব এবং তা কার্যকর করার চেষ্টা করব।’

বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অধিনায়ক জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের পেস বোলিং বিভাগ উন্নতি করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময়ই ফাস্ট বোলিং নিয়ে লড়াই করেছি, তবে এখন অনেক পেসার উঠে আসছে। ঘরোয়া ক্রিকেটেও বেশ কয়েকজন ভালো পারফর্ম করছে। তাসকিন, রানা ভালো করছে, মুস্তাফিজ তো রয়েছেই। আমাদের একটি শক্তিশালী বোলিং আক্রমণ রয়েছে, আশা করি তারা দলের জন্য সেরাটা দেবে।’

ব্যাটিংয়ে স্ট্রাইক রোটেশন নিয়ে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে শান্ত বলেন, ‘আমাকে নেটে আরও ভালো অনুশীলন করতে হবে। স্ট্রাইক রোটেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, দলের সবাই বুঝতে পারবে যে আমাদের কী করা প্রয়োজন।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রী ও প্রেমিক মিলে হত্যা করে জহুরুলকে: পুলিশ

পরকীয়ার কারণে স্ত্রী শামীমা বেগম এবং তার প্রেমিক বিপুল হোসেন বগুড়ার বেকারি ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম (৪৫) কে হত্যা করে বলে জানিয়েছেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোস্তফা মঞ্জুর। 

হত্যায় জড়িত শামীমা বেগম ও বিপুল হোসেনকে গ্রেপ্তার এবং হত্যার রহস্য উদঘাটনের পর বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে বিষযটি সাংবাদিকদের জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা। 

আরো পড়ুন:

ভোররাতে মাছ ধরতে ডাকাডাকি, বের হতেই হত্যা

চালক মজিবলকে হত্যার পর অটোরিকশা ৯৫ হাজারে বিক্রি করা হয়: পুলিশ

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ভোরে বগুড়া সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নের হাজরাদীঘি তালুকপাড়ার ধানক্ষেত থেকে জহুরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

বাবা ও মার মধ্যে বিচ্ছেদের পর ছোটবেলা থেকে জহুরুল ওই এলাকায় তার মামার বাড়িতে বসবাস করতেন। পরে মামাত বোনের সঙ্গে জহুরুলের বিয়ে হয়। জহুরুলের মামা তার বাড়ির পাশে মেয়ের বাড়ি বানিয়ে দেন। সেখানে জহুরুল বসবাস করে আসছিলেন।

সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, ‘‘মোবাইল  ফোনের কল রেকর্ডের সূত্র ধরে আমরা আসামিদের ধরতে সক্ষম হয়েছি। গ্রেপ্তারের পর তারা প্রাথমিকভাবে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন।’’ 

তিনি বলেন, ‘‘আসামিরা জানিয়েছেন, জহুরুলের সঙ্গে বিয়ের আগে থেকে শামীমার সঙ্গে বিপুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু শামীমার বাবা তাকে জহুরুলের সঙ্গে বিয়ে দেন। বিয়ের পর কিছু দিন তাদের মধ্যে সম্পর্ক না থাকলেও তারা পুরনো সম্পর্কে ফিরে আসে এবং অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে থাকে।’’ 

জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘‘কয়েক দিন আগে জহুরুল তার স্ত্রী শামীমাকে নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে যান। সেখানে গিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।  এতে শামীমা রাগান্বিত হয়ে প্রেমিক বিপুলকে দিয়ে জহুরুলকে হত্যার পর পরিকল্পনা করেন। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী গত সোমবার (৩ নভেম্বর) শামীমা ১৫টি ঘুমের ওষুধ গুড়ো করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে জহুরুলকে পান করান। জহুরুল ঘুমিয়ে পড়লে মোবাইল ফোনে বিপুলকে ডেকে নেন শামীমা। এরপর তারা দুইজন জহুরুলকে ঘুমন্ত অবস্থায় ধানক্ষেতে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেন।’’

আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।  

ঢাকা/এনাম/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ