মাত্রই ঢাকায় শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-নেপাল পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। তাতে স্বাগতিকেরা জিতেছে ৪-১ ব্যবধানে। তবে ঘরের মাঠে নেপালকে হারিয়ে আত্মতৃপ্তির সুযোগ নেই, বলছেন কাবাডিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কারণ, এশিয়ান গেমসের পদক এখন সোনার হরিণ হয়ে আছে।

নারী কাবাডিতেও পদক জয় কঠিন হয়ে পড়েছে। গত এশিয়ান গেমসে নেপালের কাছে হেরে পদকশূন্য ছিল বাংলাদেশ। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ নারী কাবাডি দল ষষ্ঠ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে তেহরানে যাচ্ছে আগামীকাল রোববার রাতে বা সোমবার সকালে।

এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ পাঁচবার হয়েছে। চারবারই চ্যাম্পিয়ন ভারত। একবার দক্ষিণ কোরিয়া, সেটি টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসরে। দীর্ঘ ৭ বছর বিরতি দিয়ে টুর্নামেন্টটা হচ্ছে আবার। ৪-৯ মার্চ ইরানের রাজধানীতে আয়োজিত টুর্নামেন্টে খেলছে ৭ দেশ—ইরান, ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল , ইরাক ও বাংলাদেশ।

১০ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ প্রস্তুতি শুরু করে। তাই প্রস্তুতি নিয়ে একটু অতৃপ্তি আছে। আরেকটু সময় পেলে ভালো হতো, মনে করছেন খেলোয়াড়েরা। কাবাডি ফেডারেশন বলছে, তারা বেশি দিন হয়নি দায়িত্বে এসেছে। দ্রুততম সময়ে গুছিয়ে উঠতে সময় লেগেছে।

বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত দুবার খেলেছে এশিয়ান নারী কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপে। ২০০৫ সালে প্রথম টুর্নামেন্ট আর ২০০৮ সালে তৃতীয় টুর্নামেন্টে। ভারতের হায়দরাবাদের পর ভারতেরই তামিনাড়ুতে অংশ নেয় বাংলাদেশ। প্রথমবার শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ ব্রোঞ্জ পায়। ২০০৭, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে বাংলাদেশ অংশ নেয়নি।

২০০৫ ও ২০০৮ সালে খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন মালেকা। দ্বিতীয়বার ছিলেন অধিনায়ক। এবার সহকারী কোচ হিসেবে গেলেও ম্যাচের সময় ডাগআউটে মূল কোচের ভূমিকায় তাঁকে দেখা যাবে। কারণ, ইরানে নিয়মই হলো, মেয়েদের খেলায় ছেলেরা থাকতে পারবেন না। ফলে বাংলাদেশ নারী দলের পুরুষ কোচ সুবিমল দাসকে বাইরেই থাকতে হবে।

শাহনাজ পারভীনের প্রত্যাশা এবার বাংলাদেশ পদক নিয়ে ফিরবে, ‘এখন পদক জেতা কঠিন। তবে আমরা সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে আশা করি ব্রোঞ্জ নিয়ে ফিরব।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ য ম প য়নশ প

এছাড়াও পড়ুন:

আত্মসমর্পণের পর কারাগারে খালেদা জিয়ার ভাগ্নে তুহিন

দুর্নীতি ও কর ফাঁকির পৃথক দুই মামলায় খালেদা জিয়ার ভাগ্নে শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন আদলাতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছেন। আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন। 

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার পৃথক দুই বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন। মামলার শুরু থেকে পলাতক ছিলেন তিনি। রায় ঘোষণার ১৭ বছর পর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তুহিন। 

দুই মামলার মধ্যে প্রথমে কর ফাঁকির মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক কবির উদ্দিন প্রামাণিকের আদালতে তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

এরপর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায়ের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে এ আদালতও তার জামিন নামঞ্জুর করেন। 

এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তার চিকিৎসা ও ডিভিশন চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে তিনি হৃদরোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন বলে জানান আদালতকে। এ জন্য ব্যক্তিগত খরচে তাকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করা হয়। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন ও চিকিৎসার নির্দেশ দেন।

জানা যায়, কর ফাঁকির অভিযোগ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনের সময় তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমশিন (দুদক)। 

এর মধ্যে কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে পৃথক দুই ধারায় তিন বছর ও পাঁচ বছর করে মোট আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বিধায় তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।

এছাড়া, অবৈধ সম্পদের মামলায় ২০০৮ সালে তাকে পৃধক দুই ধারায় তিন বছর এবং ১০ বছর অর্থাৎ ১৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। 

ঢাকা/এম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নীলফামারীর সাবেক এমপি তুহিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ
  • দুদকের দুই মামলায় তুহিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ
  • তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ
  • আত্মসমর্পণের পর কারাগারে খালেদা জিয়ার ভাগ্নে তুহিন
  • দেশে পাওয়া পাকু মাছই কি নিষিদ্ধ পিরানহা, কতটা ক্ষতিকর
  • কেন ভেঙে গিয়েছিল অক্ষয়-প্রিয়াঙ্কার জুটি