দেশের জ্বালানি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দুই কার্গো এলএনজি আমদানি করবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির অনুমোদন পেয়েছে। আমদানিতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৮৯ কোটি ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ৩০৫ টাকা।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা সূত্রে জানা গেছে, ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণ করে স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যা আগস্টের ৩০-৩১ তারিখে (৩৭তম কার্গো) সরবরাহ করা হবে।

পেট্রোবাংলা থেকে মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমসিপিএ) স্বাক্ষরকারী ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হয়, যেখান থেকে ৮টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব জমা দেয়। সব প্রস্তাব কারিগরি ও আর্থিকভাবে গ্রহণযোগ্য ছিল। দরপত্র মূল্যায়ন শেষে সর্বনিম্ন দরদাতা গানভর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ ১১.

৯৭ মার্কিন ডলারে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানি করতে মোট ব্যয় হবে ৫০২ কোটি ৯৪ লাখ ৯১ হাজার ৩৯৮ টাকা।

তবে একইভাবে, ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণ করে সেপ্টেম্বরের ২১-২২ তারিখে (৩৯তম কার্গো) দ্বিতীয় কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।

এবার পেট্রোবাংলার আহ্বানে ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দেয়। প্রস্তাব মূল্যায়ন শেষে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে সাউথ কোরিয়ার মেসার্স পোসকো ইন্টারন্যশনাল করপোরেশন। এখানে প্রতি এমএমবিটিইউ ১১.৯৫ মার্কিন ডলারে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানি করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮৬ কোটি ৪১ লাখ ৭৮ হাজার ৯০৭ টাকা।

ঢাকা/হাসনাত/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রস ত ব আমদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

পিটার হাস কোন কোম্পানিতে আছেন, ভালো করে জানি না: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করা হয় আন্তর্জাতিক বাজার যাচাই করে। যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, চীন, সিঙ্গাপুর—যে দেশ থেকেই আনা হয় না কেন, তুলনামূলক দর দেখা হয়। বিষয়টি এত সহজ নয় যে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কোম্পানিকে কাজ দিয়ে দেওয়া হবে। আর পিটার হাস কোন কোম্পানিতে আছেন, তা ভালো করে জানিও না আমরা।’

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এ কথাগুলো বলেন।

অর্থ উপদেষ্টার কাছে প্রশ্ন ছিল, এলএনজি আমদানিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের কোম্পানিকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে কি না।

মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি অ্যাকসিলারেট এনার্জির স্ট্র্যাটেজিক উপদেষ্টা পদে গত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে যোগ দিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। এর আগে তিনি ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৭তম রাষ্ট্রদূত হিসেবে ২০২২ সালের মার্চ থেকে গত এপ্রিল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

অ্যাকসিলারেট এনার্জি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের উডল্যান্ডে অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এলএনজি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এলএনজি সরবরাহের পাশাপাশি এলএনজি রূপান্তরের ভাসমান টার্মিনাল ও অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে তারা।

বিভিন্ন দেশের ২৩টি কোম্পানি থেকে বাংলাদেশ এলএনজি আমদানি করছে। এর মধ্যে অ্যাকসিলারেট এনার্জিও রয়েছে।

কর্মসংস্থানকে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বেশি কর্মসংস্থান হয় বেসরকারি খাতে। ব্যবসা–বাণিজ্য যদি একটু মন্থর হয়ে যায়, সেটা অবশ্যই প্রভাব পড়ে। ব্যবসাটা মাঝখানে একটু মন্থর ছিল, এখন একটু ভালো হয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা পাল্টা শুল্কের হার ২০ শতাংশ থেকে আরও কমবে কি না জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা নির্ভর করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওপর। তারা ঘাটতিটা কমানোর জন্য কী কী আমদানি করতে পারে, দেখছে। সেখানে মোটামুটি আমরা ভালো অবস্থানে আছি।’

সার আমদানি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেবেন কি না জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা বিষয়টা দেখছি। চট করে ব্যবস্থা নেব না। বিস্তারিত জানি না, সার আনে বেশির ভাগ কৃষি ও শিল্প মন্ত্রণালয়। এটা তাদের দায়িত্ব। বিষয়টা আরও খতিয়ে দেখব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আন্তর্জাতিক দর যাচাই করে আমদানি হচ্ছে এলএনজি
  • পিটার হাস কোন কোম্পানিতে আছেন, ভালো করে জানি না: অর্থ উপদেষ্টা