ম্যানসিটির দারুণ প্রত্যাবর্তন, কোয়ার্টার ফাইনালে সিটিজেনরা
Published: 2nd, March 2025 GMT
এফএ কাপে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে শঙ্কার মধ্যে পড়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। আগের রাউন্ডে লিভারপুলকে হারিয়ে চমক দেখানো প্লাইমাউথ আরগাইল এবারও শুরুতেই তাদের জালে বল পাঠিয়ে চাপে ফেলে দিয়েছিল পেপ গার্দিওলার দলকে।
তবে এবার অঘটন এড়াতে দারুণ প্রত্যাবর্তন দেখিয়েছে সিটি। টিনএজার নিকো ও’রেইলির জোড়া গোল ও কেভিন ডি ব্রুইনার নির্ভরযোগ্য ফিনিশিংয়ে ৩-১ ব্যবধানে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে ম্যানসিটি।
খেলার ৩৮ মিনিটে মাকসিম তালোভিয়েরোভের গোল প্লাইমাউথ সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে দেয়। তবে বিরতির ঠিক আগে, স্টপেজ টাইমে ডি ব্রুইনার ক্রসে ও’রেইলি হেড করে সমতা ফেরান সিটি। ৭৬ মিনিটে ফিল ফোডেনের কর্নারে আরও একটি দুর্দান্ত হেডে সিটিকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন ও’রেইলি। এরপর নির্ধারিত সময়ের শেষ মুহূর্তে গোল করে সব শঙ্কা উড়িয়ে দেন ডি ব্রুইনা।
এর আগে তৃতীয় স্তরের ক্লাব লেইটন অরিয়েন্টের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও জয় পেয়েছিল সিটি। এবারও শুরুর ধাক্কা সামলে দারুণ প্রত্যাবর্তনে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল ইংলিশ জায়ান্টরা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে
বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।
বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।
ঢাকা/নাজমুল/রফিক