সফল ব্যক্তিরা রাতে যে ৫ কাজের চর্চা করেন
Published: 10th, March 2025 GMT
দক্ষতা শাণিয়ে নেওয়া
সফল মানুষেরা একটা কর্মব্যস্ত দিনের শেষে নিজের দক্ষতাকে আরও একটু শাণিয়ে নেন। এমনই এক চর্চা বই পড়া। তাই রোজ রাতে একটু হলেও পড়তে পারেন আপনি। জ্ঞান হালনাগাদ করতে পারবেন এভাবে। জানার পরিধিটা একটু একটু করে বাড়িয়ে নিতে পারবেন। বই পড়া ছাড়াও পেশাগত দক্ষতার জন্য সহায়ক বিভিন্ন বিষয়ের চর্চা করতে পারেন আপনি।
কাছের মানুষদের সময় দেওয়াদিন শেষে আপনজনদের জন্য খানিকটা সময় রাখেন সফল মানুষেরা। কাজের চাপ যতই থাকুক না কেন, এই চর্চা ধরে রাখেন তাঁরা। কাছের মানুষদের বঞ্চিত করে আর যা-ই হোক, জীবনে সত্যিকার সাফল্যের দেখা মেলে না। তাই সময় দিন আপনজনদের। তাতে আপনি থাকবেন প্রফুল্ল, সম্পর্কগুলো থাকবে সতেজ।
আরও পড়ুনবেডরুম পরিবার নাকি লিভিংরুম পরিবার, কোন ধরনের চর্চা ভালো?০৮ জানুয়ারি ২০২৫পরের দিনের জন্য পরিকল্পনাসফল মানুষেরা পরবর্তী দিনের জন্য কিছু বিষয় ঠিক করে রাখেন রাতেই। তা হতে পারে পরদিনের কাজের তালিকা। পরদিন কোন পোশাক পরে কাজে যাবেন, সেটাও ঠিক করে রাখেন কেউ কেউ। তাহলে সকালবেলায় এসবের জন্য সময় বা শ্রম কোনোটিরই অপচয় হয় না।
‘মি টাইম’ বা নিজের সময়যে কাজ করলে নিজের ভালো লাগে এবং মানসিক চাপ কমে, সেই কাজের জন্যও রোজ রাতে কিছুটা সময় বরাদ্দ রাখেন সফল মানুষেরা। আপনি খানিকটা সময়ের জন্য ধ্যানমগ্ন হতে পারেন রাতে। নিজের পছন্দের অডিও ক্লিপ শুনতে পারেন। ডায়েরিতে লিখতে পারেন নিজের মনের কথা। কিংবা করতে পারেন অন্য যেকোনো কাজ, যাতে আপনি প্রশান্তি খুঁজে পান।
আরও পড়ুনঅজান্তেই নিজের সঙ্গে টক্সিক আচরণ করছেন না তো?০২ অক্টোবর ২০২৪ভালো ঘুমসফল হতে হলে আপনাকে কেবল কাজ করলেই চলবে না। ঘুমাতেও হবে ঠিকঠাক। সফল মানুষেরা সেই দিকটি খেয়াল রাখেন। তাঁরা গভীর রাত পর্যন্ত ডিজিটাল স্ক্রিনে সময় কাটান না। তাই এমন অভ্যাস থাকলে তা থেকে বেরিয়ে আসুন। দিনের শেষে চা-কফি গ্রহণ করলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। এই দিকটিও খেয়াল রাখুন। ঘুমের আগে হালকা আমেজের বই পড়তে পারেন। মোট কথা, ভালো ঘুমের জন্য আপনার যা যা প্রয়োজন, সবটাই চর্চা করুন আজ থেকে।
সূত্র: সিএনএন
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সফল ম ন ষ র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মন্তব্যে ভারতে ক্ষোভ, কী বলেছেন তিনি
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সাধারণত আলোচনার কেন্দ্রে আসেন না। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে খবরের শিরোনাম হয়ে উঠেছেন তিনি—শুধু পাকিস্তানে নয়, সীমানা পেরিয়ে ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন কূটনৈতিক কেন্দ্রেও।
ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর কয়েক দিন আগে কাশ্মীর নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন আসিম মুনির। তাঁর এসব মন্তব্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থান ও আঞ্চলিক উত্তেজনায় তাদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীরকে পুরোপুরি নিজেদের বলে দাবি করে। কিন্তু তারা এটির একেক অংশ শাসন করে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে এ ভূখণ্ড।
জেনারেল মুনিরের বক্তব্য যদিও প্রত্যক্ষভাবে পেহেলগামের হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, তবু তাঁর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এটিকে বেশি আগ্রাসী মনোভাবের হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল আসিম মুনিরকে বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। দেশটির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ, সরকারকে ক্ষমতায় বসানো ও অপসারণে দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনী নানা ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ করা হয়ে থাকে। এখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী প্রতিবেশী এ দুই দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছেন তিনি।
ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’২০২২ সালের নভেম্বরে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেন জেনারেল মুনির। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁকে প্রকাশ্যে তেমন কথা বলতে শোনা যায়নি। তবে তাঁর একটি বক্তব্য ব্যাপকভাবে মনোযোগ কেড়েছে।
আরও পড়ুনভারতে অনলাইনে ছড়ানো হচ্ছে মুসলিমবিদ্বেষী গান, কনটেন্ট২৯ এপ্রিল ২০২৫ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’
জেনারেল মুনিরের এ বক্তব্যের সঙ্গে পেহেলগামে হামলার কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকতে পারে। কেননা পাকিস্তানের নেতারা অনেক বছর ধরেই এমন ধরনের আদর্শিক বক্তব্য–বিবৃতি দিয়ে আসছেন।
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার স্থলে ছড়িয়ে আছে চেয়ার–টেবিল