ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কিংবদন্তি ফুটবলার রোনাল্ডো নাজারিও। ফুটবলের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে সিবিএফের নেতৃত্বে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন তিনি। মূলত আঞ্চলিক ফেডারেশনগুলোর প্রত্যাশিত সমর্থন না পাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাবেক এই তারকা স্ট্রাইকার।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে রোনাল্ডো জানান, ‘‘আমি সভাপতি পদপ্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলাম, তবে এখন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। যারা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতায় আছেন, তাদের বেশিরভাগই মনে করেন ব্রাজিলের ফুটবল এখন ভালো হাতেই রয়েছে।’’

দুইবারের বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা খেলোয়াড়ি জীবন শেষে ফুটবল প্রশাসনে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। বর্তমানে তিনি স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল ভায়োদালিদের মালিক এবং আগে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ক্রুজেইরোর মালিকানায়ও ছিলেন। দেশীয় ফুটবলে স্বচ্ছতা ও উন্নতির জন্য কাজ করতে চাইলেও নির্বাচনী কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। গত ডিসেম্বরে, তিনি সিবিএফের নির্বাচন নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোর কাছে চিঠি দিয়ে স্বচ্ছতা এবং ফিফা ও কনমেবলের সরাসরি তত্ত্বাবধানের দাবি জানান।

আরো পড়ুন:

আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের দল ঘোষণা, ফিরলেন নেইমার

আমাজনের এক শহরে বিশাল সিঙ্কহোল, জরুরি অবস্থা জারি

সিবিএফ নির্বাচনে অংশ নিতে হলে প্রার্থীদের অন্তত চারটি আঞ্চলিক ফেডারেশন এবং চারটি ক্লাবের সমর্থন পেতে হয়। এই নির্বাচন পরিচালিত হয় ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতিতে, যেখানে ২৭টি প্রাদেশিক ফেডারেশন এবং দুটি স্তরের (সিরি ‘এ’ ও সিরি ‘বি’) ক্লাব প্রতিনিধিরা ভোট দেন।

বর্তমান সভাপতি এডনাল্দো রদ্রিগেজ পুনরায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং রোনাল্ডো সরে দাঁড়ানোয় তার বিজয়ের পথ আরও সুগম হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২৫ সালের মার্চ থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে সিবিএফের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল স ব এফ ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ