নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন রোনাল্ডো নাজারিও
Published: 13th, March 2025 GMT
ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কিংবদন্তি ফুটবলার রোনাল্ডো নাজারিও। ফুটবলের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে সিবিএফের নেতৃত্বে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন তিনি। মূলত আঞ্চলিক ফেডারেশনগুলোর প্রত্যাশিত সমর্থন না পাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাবেক এই তারকা স্ট্রাইকার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে রোনাল্ডো জানান, ‘‘আমি সভাপতি পদপ্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলাম, তবে এখন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। যারা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতায় আছেন, তাদের বেশিরভাগই মনে করেন ব্রাজিলের ফুটবল এখন ভালো হাতেই রয়েছে।’’
দুইবারের বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা খেলোয়াড়ি জীবন শেষে ফুটবল প্রশাসনে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। বর্তমানে তিনি স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল ভায়োদালিদের মালিক এবং আগে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ক্রুজেইরোর মালিকানায়ও ছিলেন। দেশীয় ফুটবলে স্বচ্ছতা ও উন্নতির জন্য কাজ করতে চাইলেও নির্বাচনী কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। গত ডিসেম্বরে, তিনি সিবিএফের নির্বাচন নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোর কাছে চিঠি দিয়ে স্বচ্ছতা এবং ফিফা ও কনমেবলের সরাসরি তত্ত্বাবধানের দাবি জানান।
আরো পড়ুন:
আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের দল ঘোষণা, ফিরলেন নেইমার
আমাজনের এক শহরে বিশাল সিঙ্কহোল, জরুরি অবস্থা জারি
সিবিএফ নির্বাচনে অংশ নিতে হলে প্রার্থীদের অন্তত চারটি আঞ্চলিক ফেডারেশন এবং চারটি ক্লাবের সমর্থন পেতে হয়। এই নির্বাচন পরিচালিত হয় ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতিতে, যেখানে ২৭টি প্রাদেশিক ফেডারেশন এবং দুটি স্তরের (সিরি ‘এ’ ও সিরি ‘বি’) ক্লাব প্রতিনিধিরা ভোট দেন।
বর্তমান সভাপতি এডনাল্দো রদ্রিগেজ পুনরায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং রোনাল্ডো সরে দাঁড়ানোয় তার বিজয়ের পথ আরও সুগম হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২৫ সালের মার্চ থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে সিবিএফের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল স ব এফ ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসু নির্বাচন কমিশন ও তফসিল ঘোষণা দাবিতে প্রশাসনকে ‘সালাম’
‘২ জুন কি পেলাম? কি পাওয়ার কথা ছিল? সালাম প্রশাসন!’- লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি- অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচনের কমিশন গঠন করতে হবে এবং নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে।
রবিবার (১৫ জুন) দুপুর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
সোমবার (১৬ জুন) বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠিতব্য হতে যাওয়া সিন্ডিকেট সভায় ডাকসু নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়টি এজেন্ডাভূক্ত রয়েছে বলে জানা গেছে। আগামীকালের এ সভায় যেকোনোভাবে যেন ডাকসু নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলো পাশ হয়, সেজন্যই তাদের এমন তোড়জোড়।
আরো পড়ুন:
ঢাবিতে নামাজের কক্ষ নিয়ে বিতর্ক
ছাত্রদলের ফ্যাসিবাদী মনোভাবের প্রতিবাদ ডুজার
ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের আশঙ্কা, একটি পক্ষ ডাকসু নির্বাচন চায় না এবং এই পক্ষ বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে।
অনশনরত শিক্ষার্থী ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “ডাকসু নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে শক্তিশালী ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বিভিন্ন গোষ্ঠী বলার চেষ্টা করছে যে ডাকসু নির্বাচনের পরিবেশ নেই, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা নেই, বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের দোসর আছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে পুরোপুরি সক্ষম নয়; সুতরাং ডাকসু নির্বাচন দেওয়া যাবে না।”
তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব কি কেবল প্রশাসন-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের? কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ এবং হল সংসদে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরাসহ প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ব্যর্থতাগুলো লক্ষণীয়, সেগুলো ঘোচানোর জন্যই ডাকসু নির্বাচন প্রয়োজন।”
তিনি আরো বলেন, “আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল, ছাত্রলীগ যেভাবে হল নিয়ন্ত্রণ করা, দখলদারিত্ব কায়েম করা, টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করা এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভিতর ক্ষমতার বলয় তৈরি করত-ঠিক এখনো আমরা এই প্রক্রিয়া দেখছি। আর এই প্রক্রিয়ার যারা এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে, তারাই মূলত ডাকসু নির্বাচনে বাঁধা দিতে চায়।”
এর আগে, ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবিতে বিন আমিন মোল্লার নেতৃত্বে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কয়েকজন শিক্ষার্থী।
গত ২৩ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা ও প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ ২ জুনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠনের ওয়াদা করলে অনশন ভাঙ্গেন তারা। সে সময় অনশন শেষে ইয়ামিনসহ দুই শিক্ষার্থীকে হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছিল।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী