সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রে কাজ করতে হবে
Published: 15th, March 2025 GMT
সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে রাজনৈতিক দলগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। রাজনৈতিক সংকট নিরসনে গণপরিষদ নির্বাচনের জন্য ঐকমত্য গঠন করে সেকেন্ড রিপাবলিক হিসেবে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে।
শনিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বৃহত্তর মোহাম্মদপুর জোনের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বক্তারা এ কথা বলেছেন। ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনীতিবিদ, শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্য, ছাত্র-শ্রমিক, পেশাজীবী, অ্যাকটিভিস্ট, ওলামায়ে কেরাম এবং বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে এই ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ খবর জানানো হয়।
ইফতার মাহফিল সঞ্চালনা করেন দলের কেন্দ্রীয় সংগঠক এম এম শোয়াইব ও সদস্য মীর হাবীব আল মানজুর।
বক্তব্য কেন্দ্রীয় মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘একটা সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রে কাজ করতে হবে। মোহাম্মদপুরের মতো সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যময় এলাকাকে চাঁদামুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত মহল্লা হিসাবে গড়ে তুলতে আমাদের সবার একত্রে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই।’
যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘স্বৈরাচার পতন পরবর্তী রাজনৈতিক সংকট নিরসনে গণপরিষদ নির্বাচনের জন্য আমাদের মধ্যে ঐকমত্য গঠন করে সেকেন্ড রিপাবলিক হিসেবে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে।’
যুগ্ম সদস্যসচিব আকরাম হুসেইন বলেন, ‘সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত মোহাম্মদপুর গড়ে তোলাই আমাদের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। এ জন্য আমরা সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একত্রে কাজ করতে বদ্ধপরিকর।’
আরও বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহ, মোহাম্মদপুরের শহীদ রাকিবের বাবা, শহীদ সৈকতের বোন এবং আহত যোদ্ধা শাহীন।
অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মোল্লা রহমতুল্লাহ, সাকিব মাহাদী, সংগঠক মোস্তাক আহমেদ শিশির, মনসূর আবদুল্লাহ, মুনতাসির মাহমুদ প্রমুখ।
ইফতার মাহফিলে বৃহত্তর মোহাম্মদপুর জোনের এনসিপির বিভিন্ন ওয়ার্ড, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, ইসলামী ছাত্রশিবির, হেফাজতে ইসলামের মোহাম্মদপুর জোনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা অংশ নেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ম হ ম মদপ র ক জ করত ন র জন আম দ র ক জ কর ইসল ম একত র স গঠক
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা
‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’
এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন।
এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’
প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।