ব্রাজিলের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে থাকছেন না আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। চোটের কারণে সুপার ক্লাসিকো থেকে আগেই বাদ পড়েছিলেন ব্রাজিলের তারকা নেইমার। এবার একই কারণে বাদ পড়লেন মেসিও।

আগামী সপ্তাহে উরুগুয়ে (২২ মার্চ) ও পরে ব্রাজিলের (২৬ মার্চ) বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। তবে দুটি ম্যাচের কোনোটিতেই মাঠে নামতে পারবেন না বিশ্বকাপ জয়ী মেসি।

আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশন অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে তার অনুপস্থিতি কিংবা ইনজুরির বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানায়নি। তবে রবিবার ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলার সময় চোট পান মেসি। এর আগে তিনটি ম্যাচে বিশ্রামে ছিলেন। কিন্তু মাঠে ফিরেই নতুন করে চোটে পড়েন।

আরো পড়ুন:

সাকিব-হামজাকে ঘিরে ‘অহেতুক’ বিভাজন রেখা

ক্যারিয়ারের ৩০তম লাল কার্ড দেখলেন রামোস

মেসির শারীরিক অবস্থা নিয়ে ইন্টার মায়ামির কোচ জাভিয়ের মাসচেরানো আগেই সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন। তার মতে, “আমরা চেয়েছিলাম মেসিকে বাড়তি চাপ না দিতে। কারণ, এতে তার চোটের ঝুঁকি আরও বেড়ে যেত। আর্জেন্টিনার মেডিক্যাল টিমই তার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে পারবে।’’

তবে মেসির চোটই আর্জেন্টিনার একমাত্র দুশ্চিন্তা নয়। ব্রাজিল ও উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে পাওলো দিবালা, গঞ্জালো মন্তিয়েল ও জিয়োভানি লো সেলসোও খেলতে পারবেন না। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে নামতে হবে বেশ কয়েকজন তারকা খেলোয়াড় ছাড়াই। তাদের ছাড়া উরুগুয়ের মাঠে ও ঘরের মাঠে ব্রাজিলের বিপক্ষে কেমন কি করে আলবিসিলেস্তারা সেটাই এখন দেখার বিষয়।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল আর জ ন ট ন র

এছাড়াও পড়ুন:

এনসিপির উদ্বেগ আদালত অবমাননার শামিল: ইশরাক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদ নিয়ে ইশরাক হোসেনের মামলা, রায় এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তৎপরতা নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উদ্বেগ প্রকাশের বিষয়টিকে আদালত অবমাননার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন। তিনি বলেছেন, এনসিপি আইনের ব্যাখ্যা এবং আইন সম্পর্কে অজ্ঞ থাকায় ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। একই সঙ্গে বিজ্ঞ আদালতের আদেশকে অবমাননা করেছে।

বুধবার রাতে এক প্রতিবাদলিপিতে ইশরাক হোসেনের পক্ষে তাঁর আইনজীবী রফিকুল ইসলাম এ কথা বলেছেন। এর আগে গতকাল বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছিল এনসিপি।

দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি হওয়া নিয়ে এনসিপির উদ্বেগের বিষয়টি উল্লেখ করে ইশরাক হোসেনের পক্ষে পাঠানো প্রতিবাদলিপিতে তাঁর আইনজীবী বলেন, মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির কারণ নিয়ে এনসিপির বক্তব্য একেবারেই শিশুসুলভ। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় যেকোনো মামলায় দ্রুত নিষ্পত্তির বিজ্ঞ আদালতের একটি সহজাত ক্ষমতা। তা ছাড়া ২০২০ সালে দায়ের করা মামলাটি ২০২৫ সালে নিষ্পত্তি হয়েছে। এটি দীর্ঘ পাঁচ বছরের অধিক সময় অতিক্রান্ত হয়েছে, যা মোটেও সংক্ষিপ্ত সময় নয়; বরং মোকদ্দমাটি আরও আগেই নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন ছিল।

নির্বাচনী মামলার নিষ্পত্তি সংক্ষিপ্ত সময়ে হওয়া উচিত উল্লেখ করে প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, এনসিপির এ জাতীয় বক্তব্য আদালত অবমাননার শামিল। এ ছাড়া এ-সংক্রান্ত যে বক্তব্য দিয়েছে, তার সম্পূর্ণ আইনি অজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ। মামলার তদবিরকারক বাদীর ইচ্ছা অনুযায়ী যে কেউ হতে পারে বিধায় বিজ্ঞ আদালত হলফনামা গ্রহণ করেছেন, যা সম্পূর্ণ আইন মেনেই করা হয়েছে। এ ছাড়া আদালত কোনো প্রকার বিচার-বিশ্লেষণ করেননি বলে যে বক্তব্য এনসিপি দিয়েছে, তা এককথায় তাদের জ্ঞানের স্বল্পতারই বহিঃপ্রকাশ এবং আদালত অবমাননার শামিল।

প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, ‘আদালত যথাযথ আইন মেনেই রায় প্রদান করেন। এ ক্ষেত্রে কেউ যদি ন্যায়বিচার হয়নি বলে মনে করে, তাহলে উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ আছে এবং তার বক্তব্য ওই উচ্চ আদালতে রাখারও সুযোগ আছে। এভাবে প্রেসনোট দিয়ে বক্তব্য প্রদান দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করা ও বিজ্ঞ আদালতকে অবমাননা ছাড়া কিছুই নয়।’

২০২০ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ফল বাতিল করে সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বিএনপি নেতার ইশরাক হোসেনকে গত ২৭ মার্চ মেয়র ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত। এর এক মাস পর আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গেজেট প্রকাশের পর এটি বর্তমানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এই মন্ত্রণালয় থেকে শপথ গ্রহণের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা। তবে কবে নাগাদ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে, সে বিষয়টি নিয়ে এখন ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।

নির্বাচনের হিসাব অনুযায়ী আগামী ১৫ মে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ