নেইমারের পর ছিটকে গেলেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক মেসিও
Published: 18th, March 2025 GMT
ব্রাজিলের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে থাকছেন না আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। চোটের কারণে সুপার ক্লাসিকো থেকে আগেই বাদ পড়েছিলেন ব্রাজিলের তারকা নেইমার। এবার একই কারণে বাদ পড়লেন মেসিও।
আগামী সপ্তাহে উরুগুয়ে (২২ মার্চ) ও পরে ব্রাজিলের (২৬ মার্চ) বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। তবে দুটি ম্যাচের কোনোটিতেই মাঠে নামতে পারবেন না বিশ্বকাপ জয়ী মেসি।
আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশন অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে তার অনুপস্থিতি কিংবা ইনজুরির বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানায়নি। তবে রবিবার ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলার সময় চোট পান মেসি। এর আগে তিনটি ম্যাচে বিশ্রামে ছিলেন। কিন্তু মাঠে ফিরেই নতুন করে চোটে পড়েন।
আরো পড়ুন:
সাকিব-হামজাকে ঘিরে ‘অহেতুক’ বিভাজন রেখা
ক্যারিয়ারের ৩০তম লাল কার্ড দেখলেন রামোস
মেসির শারীরিক অবস্থা নিয়ে ইন্টার মায়ামির কোচ জাভিয়ের মাসচেরানো আগেই সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন। তার মতে, “আমরা চেয়েছিলাম মেসিকে বাড়তি চাপ না দিতে। কারণ, এতে তার চোটের ঝুঁকি আরও বেড়ে যেত। আর্জেন্টিনার মেডিক্যাল টিমই তার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে পারবে।’’
তবে মেসির চোটই আর্জেন্টিনার একমাত্র দুশ্চিন্তা নয়। ব্রাজিল ও উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে পাওলো দিবালা, গঞ্জালো মন্তিয়েল ও জিয়োভানি লো সেলসোও খেলতে পারবেন না। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে নামতে হবে বেশ কয়েকজন তারকা খেলোয়াড় ছাড়াই। তাদের ছাড়া উরুগুয়ের মাঠে ও ঘরের মাঠে ব্রাজিলের বিপক্ষে কেমন কি করে আলবিসিলেস্তারা সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল আর জ ন ট ন র
এছাড়াও পড়ুন:
২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির
জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর
দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”
তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী