তাপপ্রবাহের মধ্যে দেশজুড়ে বৃষ্টির কথা জানাল আবহাওয়া অফিস
Published: 1st, April 2025 GMT
তাপপ্রবাহের মধ্যেই দেশের কয়েকটি স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। উত্তর–পূর্বাঞ্চলের সিলেটে গতকাল সোমবার বৃষ্টি হয়েছে। আবার গতকালই দেশের অন্তত আট জেলায় বয়ে গেছে মৃদু তাপপ্রবাহ। রাজধানীতেও তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী তিন থেকে চার দিন তাপপ্রবাহ থাকতে পারে দেশের বিভিন্ন স্থানে। তবে এখনো তীব্র তাপপ্রবাহের আশঙ্কা কম।
আজ সকাল থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের আকাশ ছিল মেঘলা। তবে গরম কমেনি। গত প্রায় তিন থেকে চার দিন তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। তবে রোববার থেকে তাপপ্রবাহের পরিধি কমে আসে। এরপরও গতকাল দেশের সাত স্থানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এসব এলাকা হলো ঢাকা, ফরিদপুর, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, নীলফামারী, রাঙামাটি ও যশোর। এর মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে, ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। তবে এই তাপপ্রবাহের মধ্যে গতকাল সিলেটে বৃষ্টি হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, গতকাল সিলেটে ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রী ও প্রেমিক মিলে হত্যা করে জহুরুলকে: পুলিশ
পরকীয়ার কারণে স্ত্রী শামীমা বেগম এবং তার প্রেমিক বিপুল হোসেন বগুড়ার বেকারি ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম (৪৫) কে হত্যা করে বলে জানিয়েছেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোস্তফা মঞ্জুর।
হত্যায় জড়িত শামীমা বেগম ও বিপুল হোসেনকে গ্রেপ্তার এবং হত্যার রহস্য উদঘাটনের পর বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে বিষযটি সাংবাদিকদের জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
আরো পড়ুন:
ভোররাতে মাছ ধরতে ডাকাডাকি, বের হতেই হত্যা
চালক মজিবলকে হত্যার পর অটোরিকশা ৯৫ হাজারে বিক্রি করা হয়: পুলিশ
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ভোরে বগুড়া সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নের হাজরাদীঘি তালুকপাড়ার ধানক্ষেত থেকে জহুরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাবা ও মার মধ্যে বিচ্ছেদের পর ছোটবেলা থেকে জহুরুল ওই এলাকায় তার মামার বাড়িতে বসবাস করতেন। পরে মামাত বোনের সঙ্গে জহুরুলের বিয়ে হয়। জহুরুলের মামা তার বাড়ির পাশে মেয়ের বাড়ি বানিয়ে দেন। সেখানে জহুরুল বসবাস করে আসছিলেন।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, ‘‘মোবাইল ফোনের কল রেকর্ডের সূত্র ধরে আমরা আসামিদের ধরতে সক্ষম হয়েছি। গ্রেপ্তারের পর তারা প্রাথমিকভাবে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন।’’
তিনি বলেন, ‘‘আসামিরা জানিয়েছেন, জহুরুলের সঙ্গে বিয়ের আগে থেকে শামীমার সঙ্গে বিপুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু শামীমার বাবা তাকে জহুরুলের সঙ্গে বিয়ে দেন। বিয়ের পর কিছু দিন তাদের মধ্যে সম্পর্ক না থাকলেও তারা পুরনো সম্পর্কে ফিরে আসে এবং অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে থাকে।’’
জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘‘কয়েক দিন আগে জহুরুল তার স্ত্রী শামীমাকে নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে যান। সেখানে গিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এতে শামীমা রাগান্বিত হয়ে প্রেমিক বিপুলকে দিয়ে জহুরুলকে হত্যার পর পরিকল্পনা করেন। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী গত সোমবার (৩ নভেম্বর) শামীমা ১৫টি ঘুমের ওষুধ গুড়ো করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে জহুরুলকে পান করান। জহুরুল ঘুমিয়ে পড়লে মোবাইল ফোনে বিপুলকে ডেকে নেন শামীমা। এরপর তারা দুইজন জহুরুলকে ঘুমন্ত অবস্থায় ধানক্ষেতে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেন।’’
আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
ঢাকা/এনাম/বকুল