মোনালিসার সঙ্গে সম্পর্কের জেরেই পরিচালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রেমিকার
Published: 3rd, April 2025 GMT
সিনেমা শুরুর আগেই ব্যক্তি জীবনেও নাটকীয় ঘটনা ঘটে গেল। ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল মোনালিসার ছবির পরিচালক সনোজ মিশ্রের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে ৩১ মার্চ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই ঘটনাই এ বার অন্য দিকে মোড় নিল। অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন, সনোজের সঙ্গে তিনি নাকি একত্রবাস করতেন। ধর্ষণের অভিযোগও ফিরিয়ে নিয়েছেন।
আনন্দবাজার জানায় পুলিশি জেরায় অভিযোগকারী জানিয়েছেন, মোনালিসার সঙ্গে সনোজের ঘনিষ্ঠতা সহ্য করতে পারছিলেন না। ঈর্ষান্বিত হয়েই সনোজের বিরুদ্ধে এই মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি।
মহাকুম্ভের মেলা থেকে রাতারাতি জনপ্রিয়তা পেয়েছিল মোনালিসা। সেখানে রঙিন মালা বিক্রি করত সে। মুহূর্তে ‘ভাইরাল গার্ল’ তকমা পেয়েছিল মোনালিসা। তার পরই সনোজ মিশ্রের ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ মেলে। পরিচালকের সঙ্গেই ভিন্রাজ্যে পাড়ি দেয় মোনালিসা।
ধর্ষণের অভিযোগ ফিরিয়ে নেওয়ার পরে অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন, সনোজের প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাঁকে ইন্ধন দিয়েছিলেন। তাই ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগকারিণী বলেছেন, ‘সনোজ মিশ্রের সঙ্গে আমি টানা পাঁচ বছর একত্রবাস করেছি। দু’জনের সম্মতিতেই সবটা হয়েছে। আমি কখনওই বলিনি, তিনি আমাকে ধর্ষণ করেছেন। দু’টি মানুষ একসঙ্গে থাকলে, হাতাহাতি ঝগড়া তো হবেই।’
অভিযোগকারী আরও বলেন, “মণিপুরে ছবির রেকি করতে গিয়েছিলেন সনোজ। তখন তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা ওর বিরুদ্ধে আমাকে ইন্ধন দেন। এমনকি মোনালিসার সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়েও আমাকে প্ররোচনা দেওয়া হয়। ইন্ধন পেয়ে আমি এফআইআর দায়ের করেছিলাম। আসলে সনোজের ভাগ্যটাই খারাপ।”
কয়েক মাস আগে সনোজ জানিয়েছিলেন, তিনি ‘মণিপুর ডায়েরি’ নামে একটি ছবি তৈরি করছেন। সেই ছবিতে মোনালিসাকে সুযোগ দিচ্ছেন। এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন রাজ্যে অনুষ্ঠান করাতে মোনালিসাকে নিয়ে যাচ্ছিলেন সনোজই।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের
নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা/রূপায়ন/বকুল