মুস্তাফিজের ইংরেজি-ভীতি নিয়ে বিড়ম্বনায় ছিলেন টম মুডি
Published: 5th, April 2025 GMT
ক্যারিয়ারের শুরুতে মুস্তাফিজুর রহমানের স্লোয়ার কাটার ছিল যেন এক রহস্যময় অস্ত্র। তার সেই জাদুকরী ডেলিভারিতে নাস্তানাবুদ হয়েছেন বিশ্বের বড় বড় ব্যাটাররা। তবে মাঠে প্রতিপক্ষকে ফাঁদে ফেলার মুস্তাফিজের দক্ষতা যতটা প্রশংসা কুড়িয়েছে, মাঠের বাইরে ইংরেজি ভাষা নিয়ে তার ভয় ততটাই ছিল আলোচনার বিষয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিষয়টি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়নি। তবে ২০১৬ সালে আইপিএলে প্রথমবার খেলতে গিয়ে বিপাকে পড়েন বাঁহাতি এই পেসার। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলেছিলেন তিনি, যেখানে দলের কোচ ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান টম মুডি এবং অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে টম মুডি বলেন, 'শুরুর দিকে মুস্তাফিজকে নিয়ে আমরা সত্যিই সমস্যায় পড়েছিলাম।' ভাষাগত জটিলতা বোঝাতে গিয়ে মুডি উদাহরণ দেন, একবার ওয়ার্নার মাথার দিকে ইশারা করে বুঝাতে চেয়েছিলেন 'বুদ্ধি খাটিয়ে বল করো', কিন্তু মুস্তাফিজ সেটা বুঝেছিলেন ব্যাটারকে মাথার দিকে বাউন্সার দিতে হবে! সঙ্গে সঙ্গেই ছুড়ে দেন এক জোরালো বাউন্সার।
এই পরিস্থিতি সামাল দিতে হায়দরাবাদ দল ভরসা রেখেছিল বাংলা জানা ক্রিকেটার রিকি ভুইয়ের ওপর। তিনি কাজ করতেন মুস্তাফিজের দোভাষী হিসেবে। এক সাক্ষাৎকারে রিকি বলেছিলেন, 'মুস্তাফিজের সবচেয়ে ভয় দুই জিনিস, ব্যাটিং করা আর ইংরেজিতে কথা বলা!'
তবে ভাষা নিয়ে সমস্যার প্রভাব পড়েনি পারফরম্যান্সে। সেই আসরে মুস্তাফিজ ১৬ ম্যাচে শিকার করেন ১৭ উইকেট, যার বদৌলতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ জিতে নেয় শিরোপা। সেই সঙ্গে বিদেশিদের মধ্যে প্রথম উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জেতেন তিনি।
মজার বিষয় হলো, শুধু মুস্তাফিজ নন, ভাষাগত সমস্যায় পড়েছেন আরও অনেকেই। ভারতীয় পিযূষ চাওলা নিজেও অস্ট্রেলিয়ানদের ইংরেজি বুঝতে দোভাষীর সাহায্য নিয়েছিলেন। আফগান ক্রিকেটার রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবীও একে অপরের দোভাষী ছিলেন হায়দরাবাদে খেলার সময়। এমনকি গুজরাট টাইটান্সে নূর আহমেদের জন্য দোভাষীর ভূমিকায় ছিলেন রশিদ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম স ত ফ জ র রহম ন হ য়দর ব দ সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ শুরু
কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ। মহান মে দিবস উপলক্ষে ঢাকার নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত এ সমাবেশে হাজার হাজার নেতকর্মী উপস্থিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কারী গোলাম মোস্তফার কোরআন তেলাওয়াত শুরু করেন।
এর আগে দুপুর ১২টা থেকে সমাবেশ মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন।
দুপুর আড়াইটায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের জেলা থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা যোগ দেন সমাবেশে।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত আছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা। সমাবেশে শ্রমিক দলের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হবে ১২ দফা দাবি।
সমাবেশ স্থলে দেখা যায়, নেতাকর্মীরা ব্যানার, মাথায় নানা রঙের ক্যাপ, দলীয় টি-শার্ট পরে নয়পল্টনে আসছেন। জায়গায় জায়গায় চলছে স্লোগান, দলীয় সংগীত আর ঢাক-ঢোলের বাদ্য।
সমাবেশস্থলে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আহ্বায়ক হেলাল খান, সদস্যসচিব জাকির হোসেন রোকন প্রমুখ।
এদিকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সমাবেশস্থলে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। জিরো পয়েন্ট থেকে পল্টনমুখী সড়ক সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা রাখা হয়েছে।
টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রথম এতো বড় সমাবেশ করছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।
এর আগে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট প্রথম বাধাহীন সমাবেশ করে বিএনপি। এতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। পুরো এলাকায় ছিল উচ্ছ্বল নেতাকর্মীদের ভিড়।
ঢাকা/এএএম/ইভা