Samakal:
2025-11-05@13:13:57 GMT

আমি ঠিকঠাক আছি: বাবর আলী

Published: 9th, April 2025 GMT

আমি ঠিকঠাক আছি: বাবর আলী

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অন্নপূর্ণা পর্বতশৃঙ্গ জয় করে নিরাপদে বেজক্যাম্পে (৪১৩০ মিটার) নেমে এসেছেন বাবর আলী। সেখান থেকেই মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটায় তিনি বললেন, ‘আমি ঠিকঠাক আছি। বিকেলে বেজক্যাম্পে পৌঁছেছি।’

সোমবার সকালে পর্বতশৃঙ্গে পৌঁছান বাবর আলী। ৮০৯১ মিটার পর্বতের চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান। সেখানে তার সঙ্গে আছেন গাইড ফূর্বা অংগেল শেরপা।

বাবর আলী বলেন, অন্নপূর্ণা ১-এর ক্যাম্প ২ ও ৩-এর পথ অনিশ্চয়তায় ভরা। সেখানে প্রতি মুহূর্তে তুষারধস আর ওপর থেকে পাথর পড়ার ঝুঁকি থাকে। আমার অভিযানের সময়ই দুজন শেরপার মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি।

তিনি বলেন, ঝুঁকি বিবেচনায় অন্নপূর্ণা–১-কে আমি ১০–এ ১০ দেব। যেখানে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টকে দেব ১০-এ দুই, আর লোৎসের ক্ষেত্রে ১০-এ চার। আসলে এটি সত্যিই ‘মাউন্টেনিয়ারস মাউন্টেইন’, যা সবকিছুকে চ্যালেঞ্জ করে।

পর্বতারোহী বাবর আলী পেশায় চিকিৎসক। তিনি চট্টগ্রামভিত্তিক পর্বতারোহণ ক্লাব ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক। গত বছর প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে একই অভিযানে বিশ্বের সর্বোচ্চ উচ্চতার মাউন্ট এভারেস্ট এবং চতুর্থ সর্বোচ্চ উচ্চতার লোৎসে পর্বত জয় করেন।

অন্নপূর্ণা-১ বিশ্বের দশম সর্বোচ্চ উচ্চতার পর্বত হলেও পর্বতারোহীদের মৃত্যুর হার বিবেচনায় বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক পর্বত হিসেবে পরিচিত। দুর্গম এই পর্বত জয় করতেই গত ২৪ মার্চ বাংলাদেশ থেকে নেপালে যান বাবর আলী। প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ করে কাঠমান্ডু থেকে পোখারা হয়ে ২৮ মার্চ পৌঁছান অন্নপূর্ণা বেজক্যাম্পে। সেখানে এক দিন বিশ্রাম নেন। এরপর উচ্চতার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে ক্যাম্প–১–এ (৫২০০ মিটার) দুই রাত এবং ক্যাম্প–২–এ (৫৭০০ মিটার) এক রাত কাটিয়ে আবার ২ এপ্রিল নেমে আসেন বেজক্যাম্পে।

বাবর আলীর সংগঠন এবং এই অভিযানের আয়োজক পর্বতারোহণ ক্লাব ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উচ্চতার সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়ানোর পর পর্বতারোহীরা অনুকূল আবহাওয়ার জন্য বেজক্যাম্পে অপেক্ষা করেন। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বাবর আলী জানতে পারেন, সেই অনুকূল আবহাওয়া থাকবে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত। তাই পরিকল্পনা মোতাবেক ৩ এপ্রিল আবার চূড়ার দিকে উঠতে শুরু করেন তিনি। ওই দিন ক্যাম্প–১–এ থেকে পরদিন উঠে যান ক্যাম্প–২–এ। এর মধ্যেই শুরু হয় তুষারঝড়। প্রতিকূল আবহওয়ার মধ্যেও বাবর পৌঁছে যান ক্যাম্প–৩–এ (৬৫০০ মিটার)। সাধারণত ৭ হাজার ৪০০ মিটার উচ্চতায় ক্যাম্প তৈরি করে পর্বতারোহীরা চূড়ায় আরোহণের চূড়ান্ত পদক্ষেপ (সামিট পুশ) নেন। কিন্তু আবহাওয়া বিবেচনায় বাবর আলী ক্যাম্প-৩ থেকেই সেই পদক্ষেপ নেন ৬ এপ্রিল রাতে।

সোমবার পর্বত জয় করে ক্যাম্প ২–এ নামার পরিকল্পনা থাকলেও দলের অন্য পর্বতারোহীদের কারণে ক্যাম্প ৩–এ অবস্থান করেন বাবর আলী। মঙ্গলবার সেখান থেকে সকালে নামতে শুরু করেন। ক্যাম্প–২ ও ১ হয়ে নেপালের স্থানীয় সময় বিকেলে নেমে আসেন বেজক্যাম্পে।

অভিযানের ব্যবস্থাপক ফরহান জামান জানান, টানা কয়েক দিনের অভিযানে বাবর আলী অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছেন। আজ বিশ্রাম নেবেন। বুধবার সকালে শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন বাবর।


 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রী ও প্রেমিক মিলে হত্যা করে জহুরুলকে: পুলিশ

পরকীয়ার কারণে স্ত্রী শামীমা বেগম এবং তার প্রেমিক বিপুল হোসেন বগুড়ার বেকারি ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম (৪৫) কে হত্যা করে বলে জানিয়েছেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোস্তফা মঞ্জুর। 

হত্যায় জড়িত শামীমা বেগম ও বিপুল হোসেনকে গ্রেপ্তার এবং হত্যার রহস্য উদঘাটনের পর বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে বিষযটি সাংবাদিকদের জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা। 

আরো পড়ুন:

ভোররাতে মাছ ধরতে ডাকাডাকি, বের হতেই হত্যা

চালক মজিবলকে হত্যার পর অটোরিকশা ৯৫ হাজারে বিক্রি করা হয়: পুলিশ

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ভোরে বগুড়া সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নের হাজরাদীঘি তালুকপাড়ার ধানক্ষেত থেকে জহুরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

বাবা ও মার মধ্যে বিচ্ছেদের পর ছোটবেলা থেকে জহুরুল ওই এলাকায় তার মামার বাড়িতে বসবাস করতেন। পরে মামাত বোনের সঙ্গে জহুরুলের বিয়ে হয়। জহুরুলের মামা তার বাড়ির পাশে মেয়ের বাড়ি বানিয়ে দেন। সেখানে জহুরুল বসবাস করে আসছিলেন।

সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, ‘‘মোবাইল  ফোনের কল রেকর্ডের সূত্র ধরে আমরা আসামিদের ধরতে সক্ষম হয়েছি। গ্রেপ্তারের পর তারা প্রাথমিকভাবে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন।’’ 

তিনি বলেন, ‘‘আসামিরা জানিয়েছেন, জহুরুলের সঙ্গে বিয়ের আগে থেকে শামীমার সঙ্গে বিপুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু শামীমার বাবা তাকে জহুরুলের সঙ্গে বিয়ে দেন। বিয়ের পর কিছু দিন তাদের মধ্যে সম্পর্ক না থাকলেও তারা পুরনো সম্পর্কে ফিরে আসে এবং অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে থাকে।’’ 

জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘‘কয়েক দিন আগে জহুরুল তার স্ত্রী শামীমাকে নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে যান। সেখানে গিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।  এতে শামীমা রাগান্বিত হয়ে প্রেমিক বিপুলকে দিয়ে জহুরুলকে হত্যার পর পরিকল্পনা করেন। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী গত সোমবার (৩ নভেম্বর) শামীমা ১৫টি ঘুমের ওষুধ গুড়ো করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে জহুরুলকে পান করান। জহুরুল ঘুমিয়ে পড়লে মোবাইল ফোনে বিপুলকে ডেকে নেন শামীমা। এরপর তারা দুইজন জহুরুলকে ঘুমন্ত অবস্থায় ধানক্ষেতে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেন।’’

আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।  

ঢাকা/এনাম/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ