লালপুরে ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত, রেললাইনে ফাটল
Published: 12th, April 2025 GMT
নাটোরের লালপুর উপজেলার আব্দুলপুর রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে বাওড়া ব্রিজ এলাকায় ঈশ্বরদী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী ফাইভ আপ ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়েছে। এছাড়া একই লাইনে ফাটলও সৃষ্টি হয়েছে। তবে ডাবল লাইন হওয়ায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাত সোয়া ১০টার দিকে ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাতেই উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থল থেকে ট্রেনের বগিগুলো উদ্ধার করে বিকল্প লাইনে গন্তব্যে নিয়ে গেছে। তবে আজ শনিবার সকাল ৯টায়ও লাইনচ্যুত ইঞ্জিন সরাতে পারেনি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী ফাইভ আপ ট্রেনটি আব্দুলপুর স্টেশনে পৌঁছার আগে বাওড়া ব্রিজের কাছে ট্রেনের ইঞ্জিনের একটি চাকা ভেঙে লাইনচ্যুত হয়। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থেকে উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতেই লাইনচ্যুত ট্রেনের বগি সরিয়ে বিকল্প লাইন দিয়ে গন্তব্যে নিয়ে যায়। তবে লাইনচ্যুত ইঞ্জিন ঘটনাস্থলেই পড়ে থাকে।
উদ্ধারকারী দল আজ সকালে লাইনচ্যুত ইঞ্জিন উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। এদিকে সকাল সাতটার দিকে একই লাইনের বিষ্টপুর এলাকায় রেললাইনে ফাটল দেখা দেয়। খবর পেয়ে রেললাইন মেরামতকর্মীরা লাইনটি মেরামতের কাজ শুরু করেছে।
আব্দুলপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার শেখ জিয়াউদ্দিন মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গত রাত সোয়া ১০টার দিকে আব্দুলপুর আজিনগর স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থান বাউরা রেল ব্রিজের আগে ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী ফাইভ আপ ট্রেনের ইঞ্জিনের একটি চাকা ভেঙ্গে লাইনচ্যুত হয়। এতে ট্রেনের যাত্রীদের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থেকে উদ্ধারকারী ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতেই লাইনচ্যুত ট্রেনের বগি সরিয়ে বিকল্প লাইন দিয়ে গন্তব্যে নিয়ে যায়। লাইনচ্যুত ইঞ্জিন উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। লাইনটি ডাবল লাইন হওয়ায় বিকল্প লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ট র ন ল ইনচ য ত খবর প য়
এছাড়াও পড়ুন:
কৌশলগত নেতৃত্ব বিকাশে জোর সেনাপ্রধানের
কৌশলগত নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে জাতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেছেন, এই নেতৃত্বই দেশকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে তিন সপ্তাহব্যাপী স্ট্র্যাটেজিক লিডারশিপ প্রশিক্ষণ ক্যাপস্টোন কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সেনাপ্রধান ক্যাপস্টোন ফেলোদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন।
এই কোর্সে জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, সিনিয়র চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, কূটনীতিক, সাংবাদিক এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ সর্বমোট ৪৫ জন ফেলো অংশগ্রহণ করেন।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জাতি গঠনের সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৌশলগত নেতৃত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি দেশের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও কার্যকর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার জন্য গতিশীল ও সংস্কারমুখী নেতৃত্বের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।
দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আলোকপাত করে সেনাপ্রধান বলেন, বিদ্যমান পরিবর্তনশীল ভূরাজনীতি, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও নতুন জাতীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ক্যাপস্টোন কোর্স কৌশলগত অন্তর্দৃষ্টি, সহযোগিতা ও জ্ঞানভিত্তিক নেতৃত্ব গড়ে তুলতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এনডিসি কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক বলেন, ‘ক্যাপস্টোন কোর্স জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বস্তুনিষ্ঠ সংলাপ ও একীভূত চিন্তাধারার বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। এতে অংশগ্রহণকারীদের সক্রিয়, চিন্তাশীল ও সশ্রদ্ধ অংশগ্রহণ তাদের কৌশলগত ও মননশীল চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটিয়েছে এবং বিভিন্ন সংস্থার নেতৃবৃন্দের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ের মেলবন্ধন তৈরি করতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।’
ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ক্যাপস্টোন কোর্স ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ পরিচালিত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কোর্স। এই কোর্সের লক্ষ্য কৌশলগত সচেতনতা বৃদ্ধি, সূক্ষ্ম চিন্তাভাবনার বিকাশ, আন্তসংস্থার সহযোগিতা বৃদ্ধি করা এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থার নেতৃত্ব পর্যায়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও উন্নয়নবিষয়ক সমন্বিত ধারণা গড়ে তোলা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সশস্ত্র বাহিনী ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, এনডিসির ফ্যাকাল্টি ও স্টাফ অফিসার এবং জাতীয় পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।