বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
Published: 21st, April 2025 GMT
দেশে আট হাজার চিকিৎসকের সংকট রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেন, শিগগির বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। আজ সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ অনুষ্ঠানে রেলওয়ে হাসপাতালগুলো সুষ্ঠু ও যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালনায় রেলপথ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়। এ সময়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ১০টি হাসপাতাল পরিচালনায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সঙ্গে এ চুক্তি হয়েছে। এ হাসপাতালগুলো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন৬০০ বৃত্তির সুযোগ গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ স্কলারশিপে, জেনে নিন বিস্তারিত৭ ঘণ্টা আগেএই চুক্তি অনুযায়ী অবকাঠামো ও স্বাস্থ্যসেবা–সংক্রান্ত উন্নয়ন শেষে সাধারণ মানুষ দেশের ১০টি রেল হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা গ্রহণের সুযোগ পাবেন। চুক্তি শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলা হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি টিম আগামী সপ্তাহে রেলের হাসপাতালগুলো পরিদর্শন করে কী ধরনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন দরকার, সে ব্যাপারে রিপোর্ট দেবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্টের পর অবকাঠামোগত উন্নয়ন করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, এ মুহূর্তেই রেলের হাসপাতালগুলো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে দ্রুত জনসাধারণকে চিকিৎসা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ–সংক্রান্ত একটি নীতিমালা প্রণয়ন করবে। দেশে আট হাজার চিকিৎসকের সংকট রয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসকের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুনইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম মুসলিম দেশ-মঙ্গল শোভাযাত্রা-রেডিও বেগম জেনে নিন বিস্তারিত১৭ এপ্রিল ২০২৫উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, সারা দেশে ১০টি রেলওয়ে হাসপাতাল রয়েছে। এসব হাসপাতালে বর্তমানে বেডের সংখ্যা ৪৩১। এত দিন সেগুলো রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ ছিল। তাদের পাশাপাশি সর্বসাধরণের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি কী করতে হবে, সেটা ঠিক করা হবে জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা, মানতে হবে যে ৪ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা৭ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ জ র চ ক ৎসক উপদ ষ ট ব স এস
এছাড়াও পড়ুন:
কৌশলগত নেতৃত্ব বিকাশে জোর সেনাপ্রধানের
কৌশলগত নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে জাতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেছেন, এই নেতৃত্বই দেশকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে তিন সপ্তাহব্যাপী স্ট্র্যাটেজিক লিডারশিপ প্রশিক্ষণ ক্যাপস্টোন কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সেনাপ্রধান ক্যাপস্টোন ফেলোদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন।
এই কোর্সে জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, সিনিয়র চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, কূটনীতিক, সাংবাদিক এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ সর্বমোট ৪৫ জন ফেলো অংশগ্রহণ করেন।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জাতি গঠনের সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৌশলগত নেতৃত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি দেশের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও কার্যকর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার জন্য গতিশীল ও সংস্কারমুখী নেতৃত্বের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।
দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আলোকপাত করে সেনাপ্রধান বলেন, বিদ্যমান পরিবর্তনশীল ভূরাজনীতি, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও নতুন জাতীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ক্যাপস্টোন কোর্স কৌশলগত অন্তর্দৃষ্টি, সহযোগিতা ও জ্ঞানভিত্তিক নেতৃত্ব গড়ে তুলতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এনডিসি কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক বলেন, ‘ক্যাপস্টোন কোর্স জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বস্তুনিষ্ঠ সংলাপ ও একীভূত চিন্তাধারার বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। এতে অংশগ্রহণকারীদের সক্রিয়, চিন্তাশীল ও সশ্রদ্ধ অংশগ্রহণ তাদের কৌশলগত ও মননশীল চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটিয়েছে এবং বিভিন্ন সংস্থার নেতৃবৃন্দের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ের মেলবন্ধন তৈরি করতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।’
ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ক্যাপস্টোন কোর্স ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ পরিচালিত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কোর্স। এই কোর্সের লক্ষ্য কৌশলগত সচেতনতা বৃদ্ধি, সূক্ষ্ম চিন্তাভাবনার বিকাশ, আন্তসংস্থার সহযোগিতা বৃদ্ধি করা এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থার নেতৃত্ব পর্যায়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও উন্নয়নবিষয়ক সমন্বিত ধারণা গড়ে তোলা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সশস্ত্র বাহিনী ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, এনডিসির ফ্যাকাল্টি ও স্টাফ অফিসার এবং জাতীয় পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।