দুই কন্যার বাইরে পড়ানো নিয়ে অনেক কথা শুনেছি: অভিনেত্রী ছন্দা
Published: 21st, April 2025 GMT
দুই মেয়ে তখন ঢাকার একটি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। ব্যস্ততায় তাদের দেখাশোনা নিয়ে বেশ বিপাকেই পড়ে যান অভিনেত্রী গোলাম ফরিদা ছন্দা। অনেক সময় শুটিং বাতিল করতে হতো। কখনো শুটিং থেকে বিরতি নিয়ে স্কুলে যেতে হতো বাচ্চাদের আনতে। এমনও হয়েছে, মায়ের শুটিংয়ের জন্য যমজ বাচ্চা দুটি নানির বাড়িতে। এভাবে মেয়েদের নিজের মনের মতো সময় দিতে পারছিলেন না। তাই সিদ্ধান্ত নেন, তাদের দেশের বাইরের কোনো বোর্ডিং স্কুলে পড়াশোনা করাবেন। সেই সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে পরিবার, সহকর্মীসহ অনেকের মুখে নানা কথা শুনতে হয়েছে।
অভিনেত্রী ছন্দার দুই মেয়ে টাপুর ও টুপুর। তাঁরাও মায়ের মতো অভিনয়ের জগতে এসেছেন। নাম লিখিয়েছেন সিনেমায়। তবে শখের বসে এই অভিনয় শুধুই পড়াশোনার ফাঁকে। ছুটিতে দেশে এলেই তাঁদের বড় বা ছোট পর্দায় পাওয়া যেত। পড়াশোনায় ব্যস্ত সেই টাপুর ও টুপুর এবার ভারত থেকে পড়াশোনা শেষ করে এখন অপেক্ষা রয়েছেন ফলাফলের। বর্তমানে তাঁরা দেশেই রয়েছেন। তাঁদের মা ছন্দা জানালেন, তাঁদের আপাতত ভারতে পড়াশোনার পর্ব শেষ। এই সময় তিনি ফিরে গেলেন মেয়েদের দেশের বাইরে পড়াশোনা করানোর ‘কঠিন’ দিনগুলোতে।
অভিনয়শিল্পী টাপুর–টুপুর। ছবি: ফেসবুক.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রুয়া নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এর আগে তাঁরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রুয়া অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মে পুনর্মিলনী এবং ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপিপন্থী সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুই পক্ষের নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি যুক্তি চলতে থাকে।
এদিকে গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ জারি করেন রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘সিলেকশন না ইলেকশন, ইলেকশন ইলেকশন’, ‘প্রশাসন জবাব দে, রুয়া কি তোর বাপের রে’, ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে চলবে না’, ‘অ্যাডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’, ‘সিন্ডিকেট না রুয়া, রুয়া রুয়া’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
এ সময় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদেরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। পরে জামায়াত ইসলামীর কয়েকজন নেতাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। বিকেল ছয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ মে রুয়া নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ সেই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। যারা রুয়া নির্বাচন দিতে পারে না, তারা রাকসু নির্বাচন কীভাবে বাস্তবায়ন করবে? ১০ মের নির্বাচন সেই একই তারিখে হতে হবে। এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’