বৈশাখের শুরু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহের ফাঁকে ফাঁকে দেখা মিলছে বৃষ্টির। গতকাল সোমবার ভোরে বৃষ্টি হয়েছে দেশের প্রায় সব কটি বিভাগে। দেশের তিনটি বিভাগে এবার এ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে আগামী তিন দিন। আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এ আভাস দেওয়া হয়েছে।

গত রোববার ভোরে বরিশাল ছাড়া দেশের সব জেলায় কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার ভোর থেকে বরিশাল ছাড়া দেশের সব বিভাগে বৃষ্টি হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে। আগামী তিন দিন ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেটের কিছু জায়গায় বৃষ্টি হবে। পরিমাণেও বাড়তে পারে বৃষ্টি।

‘মার্চ, এপ্রিল ও মে—এ তিন মাস প্রি–মনসুন পিরিয়ড (বর্ষাপূর্ব সময়কাল)। এ সময় দেশে নানা প্রান্তে কালবৈশাখী, দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হয়ে থাকে। বর্ষাকাল শুরু হলে বজ্রপাত কমে যায় আর বৃষ্টি বাড়তে থাকে’, বলেন তরিফুল নেয়াজ।

বৃষ্টির সময় তাপমাত্রা কমলেও বৃষ্টি কমার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনের তথ্যে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬.

৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে খুলনা জেলায়। সর্বনিম্ন ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রী ও প্রেমিক মিলে হত্যা করে জহুরুলকে: পুলিশ

পরকীয়ার কারণে স্ত্রী শামীমা বেগম এবং তার প্রেমিক বিপুল হোসেন বগুড়ার বেকারি ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম (৪৫) কে হত্যা করে বলে জানিয়েছেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোস্তফা মঞ্জুর। 

হত্যায় জড়িত শামীমা বেগম ও বিপুল হোসেনকে গ্রেপ্তার এবং হত্যার রহস্য উদঘাটনের পর বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে বিষযটি সাংবাদিকদের জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা। 

আরো পড়ুন:

ভোররাতে মাছ ধরতে ডাকাডাকি, বের হতেই হত্যা

চালক মজিবলকে হত্যার পর অটোরিকশা ৯৫ হাজারে বিক্রি করা হয়: পুলিশ

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ভোরে বগুড়া সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নের হাজরাদীঘি তালুকপাড়ার ধানক্ষেত থেকে জহুরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

বাবা ও মার মধ্যে বিচ্ছেদের পর ছোটবেলা থেকে জহুরুল ওই এলাকায় তার মামার বাড়িতে বসবাস করতেন। পরে মামাত বোনের সঙ্গে জহুরুলের বিয়ে হয়। জহুরুলের মামা তার বাড়ির পাশে মেয়ের বাড়ি বানিয়ে দেন। সেখানে জহুরুল বসবাস করে আসছিলেন।

সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, ‘‘মোবাইল  ফোনের কল রেকর্ডের সূত্র ধরে আমরা আসামিদের ধরতে সক্ষম হয়েছি। গ্রেপ্তারের পর তারা প্রাথমিকভাবে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন।’’ 

তিনি বলেন, ‘‘আসামিরা জানিয়েছেন, জহুরুলের সঙ্গে বিয়ের আগে থেকে শামীমার সঙ্গে বিপুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু শামীমার বাবা তাকে জহুরুলের সঙ্গে বিয়ে দেন। বিয়ের পর কিছু দিন তাদের মধ্যে সম্পর্ক না থাকলেও তারা পুরনো সম্পর্কে ফিরে আসে এবং অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে থাকে।’’ 

জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘‘কয়েক দিন আগে জহুরুল তার স্ত্রী শামীমাকে নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে যান। সেখানে গিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।  এতে শামীমা রাগান্বিত হয়ে প্রেমিক বিপুলকে দিয়ে জহুরুলকে হত্যার পর পরিকল্পনা করেন। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী গত সোমবার (৩ নভেম্বর) শামীমা ১৫টি ঘুমের ওষুধ গুড়ো করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে জহুরুলকে পান করান। জহুরুল ঘুমিয়ে পড়লে মোবাইল ফোনে বিপুলকে ডেকে নেন শামীমা। এরপর তারা দুইজন জহুরুলকে ঘুমন্ত অবস্থায় ধানক্ষেতে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেন।’’

আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।  

ঢাকা/এনাম/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ