জাতীয় নির্বাচনে নিজ দলের বিজয়ের ঘোষণা দিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, তাঁর দেশ কখনো যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নতিস্বীকার করবে না।

এ নিয়ে টানা চতুর্থবার কানাডার ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে লিবারেল পার্টি। তবে কার্নির দল একক সরকার গঠন করতে সক্ষম হবে, নাকি জোট সরকার গঠন করতে হবে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

কানাডার ৩৪৩ আসনের হাউস অব কমন্সে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ১৭২ আসনে জিততে হবে।

আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় গভীর রাতে লিবারেল পার্টির নেতা কার্নি বলেন, ‘আমি কয়েক মাস ধরে যে বিষয়ে সতর্ক করে যাচ্ছি—যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ভূমি, আমাদের সম্পদ, আমাদের পানি, আমাদের দেশ নিয়ে নিতে চায়। এগুলো কেবল নিষ্ক্রিয় হুমকি নয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাদের ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছেন, যেন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের কিনে নিতে পারে। এমনটা কোনো দিনই হবে না।’

যেসব মানুষ কানাডাকে নিজেদের বাড়ি মনে করেন, তাঁদের সবার নেতা হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কার্নি।

কানাডার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কারোপ এবং দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য বানানোর ইচ্ছা প্রকাশ করার পর থেকে দুই মিত্র প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়।

কানাডার সাধারণ নাগরিকদের মধ্যেও ট্রাম্পের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তাদের মধ্যে তীব্র দেশপ্রেমের জোয়ার ওঠে। এতে ভোটের আগমুহূর্তে কানাডার নির্বাচনী পরিবেশ পুরোপুরি বদলে যায়। ভোটের আগে ট্রাম্পের বক্তব্য এবং তাঁর কর্মকাণ্ড কানাডায় প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠে।

ট্রাম্পের বক্তব্যের জেরে নিজের নির্বাচনী প্রচারে কার্নি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডার সম্পর্কের ব্যাপক পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এতে লিবারেল পার্টির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী কার্নির প্রতি জনসমর্থন বেড়ে যায়। ভোটের দিনও যার প্রতিফলন দেখা গেছে।

মঙ্গলবার কার্নি বলেছেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসঘাতকতার ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছি। কিন্তু আমাদের কখনই এ থেকে পাওয়া শিক্ষা ভুলে যাওয়া উচিত হবে না। আমাদের নিজেদের দিকে নজর দিতে হবে। সর্বোপরি আমাদের একে অপরের যত্ন নিতে হবে।’

সিএনএনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিটিভি সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠনের পূর্বাভাস দিয়েছে। যদিও সিবিসি বলেছেন, এখনো এ বিষয়ে কথা বলার সময় আসেনি।

কানাডার প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী পিয়েরে পলিয়েভর নিজের হার মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, খুবই সামান্য ব্যবধানে হলেও কার্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট আসনে জিতে গেছেন।

আরও পড়ুনকানাডায় ভোটগ্রহণ শুরু১৯ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনকানাডায় নির্বাচন: মার্ক কার্নির লিবারেল সদর দপ্তরে উৎসব শুরু৪ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র গঠন বল ছ ন আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

যারা খেলে খেলুক, আমরা শুধু রেফারি হয়ে কাজ করব: সিইসি

আগামী জাতীয় নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ এগিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, ‘যতটুকু কাজ বাকি রয়েছে, সেগুলো আমাদের সবাইকে নিয়ে শেষ করতে হবে। আইন অনুযায়ী বিবেক রেখে কাজ করব। যারা খেলে, তারা খেলুক। খেলে তারা জিতলে জিতুক। আমরা শুধু রেফারি হয়ে কাজ করব।’

আজ রোববার সকালে ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসে ঈদ পরবর্তী মতমিনিময় সভায় সিইসি এ কথা বলেন। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় এ মতবিনিময় সভা আয়োজিত হয়।

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়াই ইসির লক্ষ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকের দিনে ইসির শপথ হবে একটা সুষ্ঠু সুন্দর নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করার। কোনো দলের জন্য লেজুরবৃত্তি না করার।’

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে সিইসি বলেন, রমজানের সময়ও ওয়াদা করেছেন সুন্দরভাবে কাজ করবেন। আজকেও পুনর্ব্যক্ত করব, দয়া করে আজকের শপথ হবে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার, কোনো দলের জন্য লেজুড়বৃত্তি না করার, আইন অনুযায়ী কাজ করার ও ন্যায়সঙ্গতভাবে কাজ করার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ