যুদ্ধবিরতি আলোচনায় ‘উভয় পক্ষের সঙ্গে খেলা বন্ধ করা’ দরকার—ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর এমন মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে মধ্যস্ততাকারী দেশ কাতার। দেশটি বলেছে, নেতানিয়াহুর এমন মন্তব্য উসকানিমূলক।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক্স পোস্টে লিখেন, ‘কাতার উসকানিমূলক বক্তব্যকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে.

.. এ ধরনের বক্তব্য রাজনৈতিক ও নৈতিক দায়িত্বের ন্যূনতম মানদণ্ড পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ।’

এ বছর জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। গত মার্চে যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর ইসরায়েল আবার গাজায় হামলা শুরু করে। যুদ্ধবিরতির মধ্যস্ততা করে মিসর ও কাতার।

গত মাসের মাঝামাঝিতে এসে জানা যায়, গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। এটা নিয়ে আলোচনা চলছে। হামাস রাজি হলে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে যেতে হামাস এখনো তাদের মূল দাবিতে অটল আছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। হামাসের দাবি, গাজায় যুদ্ধ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হতে হবে এবং সেখান থেকে ইসরায়েলের সব সেনাকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে।

নতুন প্রস্তাবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে পরবর্তী পর্যায়ের আলোচনায় হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানানো হয়েছে। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, যুদ্ধ–পরবর্তী গাজা পুনর্গঠনে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকতে পারবে না।

আরও পড়ুনগাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব মিসর-কাতারের৩০ মার্চ ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

আবারো বন্ধ করে দেওয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের ১৬ জলকপাট

তৃতীয় দফায় কাপ্তাই বাঁধের গেট খুলে দেওয়ার ১১ দিন পর হ্রদের পানি কিছুটা কমে আসায় শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল আটটায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাঁধের সবকটি জলকপাট।

এর আগে কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছায় গত ৮ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটায় বাঁধের ১৬টি গেট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বাড়তে থাকায় পানি ছাড়ার পরিমাণ সর্বোচ্চ সাড়ে তিন ফুট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।

পরবর্তীতে পানির স্তর কিছুটা কমে আসায় শুক্রবার সকাল আটটায় সবকটি গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে এখনো কাপ্তাই হ্রদের তীরবর্তী এলাকার কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে রয়েছে। 

কর্ণফুলী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, “উজান থেকে পানির ঢল কমে আসায় এবং ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ সব বিষয় চিন্তা করে বাঁধের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”

বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর রয়েছে ১০৮.২২ এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। হ্রদে সবোচ্চ পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। তবে বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট চালু রেখে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে। তাই ধীরে ধীরে পানির স্তর আরো কমে আসবে।

প্রসঙ্গত, এর আগে প্রথম দফায় গত ৫ আগস্ট কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় সবকটি গেট এক সপ্তাহ পর্যন্ত খোলা রাখা হয়। এরপর ২০ আগস্ট আবারো হ্রদের পানি বিপৎসীমায় পৌঁছলে জলকপাট তিন দিন খোলা রাখা হয়।

ঢাকা/শংকর/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আবারো বন্ধ করে দেওয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের ১৬ জলকপাট
  • ৮ বছরেও শুরু হয়নি কুবির ২ বিভাগের কার্যক্রম
  • জামায়াতের প্রস্তাব কতটা বাস্তবসম্মত
  • চাঁদপুরে জীবন্ত নবজাতক দাফনের চেষ্টা, হাসপাতাল বন্ধ
  • ৪৫তম বিসিএসে ষষ্ঠ পর্যায়ে মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা, ১১ প্রার্থীর স্থগিত