হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিনেতা সিদ্দিক কারাগারে
Published: 7th, May 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর গুলশানে ভ্যানচালক জব্বার আলী হাওলাদারকে হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার সাত দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুস সালাম তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালত পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে ৩০ এপ্রিল তাকে এ মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ২৯ এপ্রিল বিকেলে বেইলি রোড দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু যুবক সিদ্দিককে আটক করে। পরে তাকে রমনা থানা থেকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত বছরের ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গুলশানের শাহজাদপুরে কনফিডেন্স টাওয়ারের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়। এতে জব্বার আলী হাওলাদার গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০৯ জনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন ভ্যানচালক জব্বার আলী হাওলাদার।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হত য চ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী ‘গুমের’ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে হামলার ১৩ বছর পর মামলা
বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী ‘গুম’ হওয়ার পর সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় প্রতিবাদী মিছিলে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার ১৩ বছর পর করা এ মামলায় ১০৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আসামিদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে পুলিশ সদস্যরাও রয়েছেন। এতে অজ্ঞাতনামা আসামি আরও ২০০-৩০০ জন।
গত মঙ্গলবার মামলাটি করেন বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান (৪৭)। তবে বিষয়টি গতকাল বুধবার রাতে জানাজানি হয়। সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে এ মামলা করা হয়েছে বলে বাদীর আইনজীবী হাসান আহমেদ পাটোয়ারী প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ-সংক্রান্ত ঘটনায় আর কোনো মামলা হয়েছে কি না, তা জানতে চেয়ে আদালত আগামী সাত দিনের মধ্যে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) একটি প্রতিবেদন আদালতে দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীকে। এ ছাড়া বিশ্বনাথ পৌরসভার সাবেক মেয়র মুহিবুর রহমান, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া, বিশ্বনাথ থানার তৎকালীন ওসি আবুল কালাম আজাদ ও পরিদর্শক (তদন্ত) চাঁন মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখকে আসামি করা হয়।
বাদী এজাহারে নিজেকে কৃষক এবং বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এজাহারে বলা হয়, ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল ইলিয়াস আলীকে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুম করে। এর প্রতিবাদে ২৩ এপ্রিল বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সশস্ত্র হামলা চালান। একই সময়ে পুলিশ সদস্যরাও মিছিলকারীদের ওপর গুলি ছোড়েন।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে তাঁর সরকারের পতনে বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় দেশে আইনের শাসনের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস ফিরে এসেছে। এ অবস্থায় ন্যায়বিচারের সুযোগ উন্মোচিত হওয়ায় মামলাটি করা হয়।
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকার বনানী থেকে গাড়িচালক আনসার আলীসহ নিখোঁজ হন ইলিয়াস আলী। বিএনপির অভিযোগ, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার তাঁকে ‘গুম’ করে। ওই সময় ইলিয়াস আলীর সন্ধানের দাবিতে টানা এক সপ্তাহ হরতাল পালিত হয় তাঁর উপজেলা সিলেটের বিশ্বনাথে। হরতাল চলাকালে পুলিশের সংঘর্ষে ছাত্রদল ও যুবদলের তিন কর্মী নিহত হন। এ ছাড়া বিএনপি ও ‘ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ’ একই দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।
সিলেট-২ (ওসমানীনগর ও বিশ্বনাথ) আসনে টানা তিনবার নির্বাচন করেছিলেন ইলিয়াস। এই নেতা জয়ী হয়েছিলেন দুইবার।