স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রী বললেন, ‘কাওসার আমার জীবন নষ্ট করে দিয়েছে’
Published: 8th, May 2025 GMT
পটুয়াখালীর দশমিনায় পারিবারিক কলহের জেরে কাওসার (৩০) নামের এক যুবকের পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছেন স্ত্রী। বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকেলে উপজেলার রনগোপালী ইউনিয়নের দক্ষিণ যৌতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত কাওসার ওই গ্রামের কামাল হাওলাদারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন মাস আগে ঢাকায় বিয়ে করেন কাওসার। এরপর বউকে নিয়ে গ্রামে চলে আসেন।
কাওসারের পরিবারের অভিযোগ, কাওসারের স্ত্রীর আগে দুই বিয়ে ও দুই সন্তান থাকলেও তা গোপন করা হয়েছে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ লেগেই থাকত।
আহত কাওসার বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার দুপুরে খাওয়া শেষে ঘুমাতে গেলে আমার স্ত্রী তাকে সময় দিতে বলে। কিন্তু, আমি ফুটবল খেলতে যাওয়ার কথা বললে সে আমার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। একপর্যায়ে ঘুমিয়ে পড়লে সে ধারালো কিছু দিয়ে আমার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে।’’
কাওসারের স্ত্রী বলেন, ‘‘তার সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর নানাভাবে প্রলোভন দেখিয়ে আমার আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে বাসার প্রায় ২ লাখ টাকার মালামাল বিক্রি করে। পরে আমাকে বিয়ে করে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসে। কিন্তু, এই বাড়িতে আসার পর থেকে কাওসার এবং তার পরিবারের সদস্যরা আমাকে ঘর থেকে বের হতে দেয় না। তার মা সবসময় আমাকে চোখে চোখে রাখে। কাওসার আমার জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে। তাই এই কাজ করেছি।’’
দশমিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মাদ আবদুল আলীম বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’
ঢাকা/ইমরান/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়র পদ নিয়ে নগর ভবনের ঘটনা নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে: ইসলামী আন্দোলন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ নিয়ে নগর ভবনে যা হচ্ছে তা ‘মূল্যায়ন অযোগ্য’ বলে মনে করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলটির মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, কোটি মানুষের সেবাদাতা নগর ভবন দিনের পর দিন তালাবদ্ধ করা ও থাকতে দেওয়ার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। রাজনীতি ও পদবির জন্য প্রতিষ্ঠান ও জনতাকে এভাবে জিম্মি করার ঘটনা একটি নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রের স্বার্থে সরকারি চাকরিজীবীদের অনেক ক্ষেত্রেই সীমিত মাত্রায় অবস্থান করতে হয়। একজন সরকারি চাকরিজীবী নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না, দলীয় রাজনীতি করতে পারেন না। একইভাবে তাঁরা কোনো দাবি আদায়ে বিক্ষোভ বা অচলাবস্থা তৈরি করতে পারেন না।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মচারীদের কর্মবিরতির বিষয়ে মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেন, আধুনিক ব্যবস্থাপনা দক্ষতা ও ফলাফলনির্ভর। এই মৌলিক নীতিকে সামনে রেখে চাকরিবিধি সংস্কার করা হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশে জিডিপি-কর অনুপাত খুবই খারাপ অবস্থায়। সেটা উন্নত করার জন্য রাজস্ব খাতের সংস্কার অপরিহার্য ছিল। সংস্কারে কারও কারও দ্বিমত থাকতে পারে কিন্তু কর্মবিরতি দিয়ে জনগণকে জিম্মি করা কোনোভাবে সমর্থনযোগ্য নয়।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পরে সামগ্রিক সংস্কারের অংশ হিসেবে রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় ও সরকারি চাকরিবিধিতে সংস্কার আনা হয়েছে। যেকোনো পরিবর্তন একধরনের অস্থিরতা তৈরি করে। সেই অস্থিরতা দূর করার জন্য আলোচনাই উত্তম পন্থা। কিন্তু রাজস্ব খাতের সংস্কার ও চাকরিবিধির পরে রাজস্ব খাত ও সচিবালয়সহ সরকারি অফিসে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তা নজিরবিহীন। একটি আধুনিক ও কার্যকর রাষ্ট্রে জনপ্রশাসনে এমন অচলাবস্থা রাষ্ট্রের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেন, ‘যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করুন। যৌক্তিক কোনো বিষয় থাকলে তা আমলে নিন। অযৌক্তিক কোনো কিছু নিয়ে কেউ গোঁ ধরলে তাঁকে আইনের আওতায় আনুন। কিন্তু জনগণের টাকায় বেতন নেবেন, কিন্তু তাঁদের সেবা না দিয়ে অযৌক্তিক দাবিতে কর্মবিরতি পালন করবেন, তা মেনে নেওয়া যায় না।’