ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, “আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচার করেই দেশে নির্বাচন করতে হবে। তাদের বিচারের আগে কোনো নির্বাচন এ দেশের জগণ মেনে নেবে না।”

সংস্কার ও নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, “সংস্কার ও নির্বাচন উভয়ই জরুরি। নির্বাচন যখনই হোক না কোনো তার পূর্বে সংস্কার জরুরি।”

শুক্রবার (৯ মে) বগুড়ার শহরে আয়োজিত এক গণসমাবেশে তিনি একথা বলেন। সাতমাথা মুক্ত মঞ্চে আয়োজিত এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলটির জেলা সভাপতি মাওলানা আ.

ন. ম মামুনুর রশীদ।

রেজাউল করীম বলেন, “নারী সংস্কার কমিশন ও নারী নীতিমালা কুরআন-হাদিসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার করতে হবে। তাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।”

তিনি ব‌লেন, “মিয়ানমারকে মানবিক করিডোরের প্রস্তাব প্রকৃতপক্ষে রাখাইন ও পার্বত্য অঞ্চলকে একটি খ্রিস্টান রাষ্ট্র বানানোর সাম্রাজ্যবাদীদের পায়তারা। এখন পর্যন্ত আমাদের দেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি জাতিসংঘ।”

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, “ফিলিস্তিনে ইসরায়েল বর্বরতা চালাচ্ছে। জাতিসংঘ কাগুজে বিবৃতি ছাড়া ইসরাইলকে বর্বরতা চালানো থেকে বিরত রাখতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ভারতে মোদি সরকার মুসলমানদের ওপর যে নির্যাতন চালাচ্ছে তাতে বিশ্ব সম্প্রদায় সম্পূর্ণভাবে নিরবতা পালন করছে।”

সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছি‌লেন- ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির আল্লামা আব্দুল হক আজাদ। অন্যদের মধ্যে উপ‌স্থিত ছিলেন- সংগঠনের রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ নূরুন নাবী, বগুড়া জেলার প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, জেলা সহ-সভাপতি প্রভাষক মীর মাহমুদুর রহমান (চুন্নু), জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সভাপতি মাওলানা আলতাব আলী, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মুহা. ফরহাদ হোসেন মন্টু, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মুহা. সোহরাব হোসেন।

ঢাকা/এনাম/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

‘সরকার প্রধান থেকে বিচার প্রধান দুর্নীতিতে রসগোল্লার মতো ডুবে ছিল

দেশের সরকার প্রধান থেকে শুরু করে বিচার প্রধান দুর্নীতিতে রসগোল্লার মতো ডুবে ছিল বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলী আকবর আজিজী। 

রবিবার (৯ নভেম্বর) পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়ামে দিনভর গণশুনানি আয়োজনে তিনি এ কথা বলেন। 

আরো পড়ুন:

৫২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ, মামলা হচ্ছে ৬ রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে

রোগী সেজে সাভার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান দুদকের 

দুদক কমিশনার বলেন, ‘‘আপনাদের যুবক সন্তানেরা জীবন বাজি রেখে পথে নেমেছিল এবং অন্যায়ের প্রতিকার করেছে। এত দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে যে এখন আমরা সন্ধ্যার আগে বাড়ি ফিরতে পারি না।’’ 

মিঞা মুহাম্মদ আলী আকবর আজিজী বলেন, ‘‘একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে, এটাকে সারানোর চাইতে দুর্নীতি যেন আর কেউ না করে, কোনো কর্মচারী যেন দুর্নীতি করার দুঃসাহস না দেখায়; সেই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সেবা গ্রহিতারা একটু পেছন থেকে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার প্রলোভন যেন না দেন।’’  

তিনি আরো বলেন, ‘‘যারা সেবা গ্রহণ করবার জন্য গিয়েছিন, তাদের অন্তত ওই নীতিবোধ থাকতে হবে; আমি অন্যের অধিকার ক্ষুণ্ন করছি বাড়তি কিছু দিয়ে। তাতে দুটি অপকার হচ্ছে। যার প্রাপ্যতা ছিল তাকে বঞ্চিত করলাম। আর যে মানুষটি এই সেবা দেওয়ার জন্য নিয়োজিত, তার ঈমানটা নিলামে তুলে দিলাম।’’ 

দুদকের এই কমিশনার আরো বলেন, ‘‘আমরা যারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, আমাদেরও লোভ সংবরণ করতে হবে। সেবা গ্রহিতাদের ট্যাক্সের টাকায় আমাদের বেতন হয়। আমরা এটি ভুলে যাই। কখনো কখনো মাথায় কারো হাত থাকলে আমরা লাইনচ্যুত হই। হতে পারেন তিনি বড় ভাই, রাজনীতিবিদ বা আর কেউ। কিন্তু আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত না, ওই বড় ভাই একদিন হাত সরিয়ে নিবেন বা তিনি একদিন থাকবেন না।’’ দুর্নীতি প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

গণশুনানিতে অন্যদের মধ্যে দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন, জেলা প্রশাসক সাবেত আলী, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সি, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ডা. খালেদ তৌহিদ পুলকসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

গণশুনানিতে সরকারি বেসরকারি ৪২টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১৮১টি অভিযোগ জমা হয়। তার মধ্য ১১৮টির শুনানি হয়। যার মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ নিষ্পত্তিও করা হয়। জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহযোগিতায় ঠাকুরগাঁও দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় গণশুনানির আয়োজন করে।

ঢাকা/নাঈম/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ