রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে আয়োজিত সমাবেশে আজ শুক্রবার স্প্রে ভেহিকেল ব্যবহার করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। এটিকে সরকারের পক্ষপাতমূলক আচরণ বলে সমালোচনা করেছেন কেউ কেউ। তবে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রচারণাকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলেছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘ঢাকায় গত কয়েকদিন ধরে হিট ওয়েভ চলছে; ফলে যেখানেই অতিরিক্ত মানুষের সমাগম ঘটছে, সেখানেই ওয়াটার স্প্রের ব্যবস্থা করছে ডিএনসিসি। গরমের তীব্রতা কমাতে শুধু সমাবেশস্থল নয়, বিভিন্ন বাজার এলাকা ও টার্মিনাল এলাকাতেও এই স্প্রে ভেহিকেল ব্যবহার করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি যখন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফিরেছেন। তখনও অপেক্ষমাণ নেতাকর্মীদের ওপর এই স্প্রে ভেহিকেল ব্যবহার করে পানি ছিটানো হয়েছিল।

প্রশাসক জানান, ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ ইস্যুতে আয়োজিত সমাবেশগুলোতেও একই ভেহিকেলটি ব্যবহার করা হয়েছে। মূলত হিট ওয়েভ থাকা অবস্থায় নাগরিকদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই এই ভেহিকেলটি ব্যবহার হয়, ওই জমায়েত রাজনৈতিক না অরাজনৈতিক তা সিটি কর্পোরেশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড এনস স এনস প সম ব শ ব যবহ র কর ড এনস স

এছাড়াও পড়ুন:

কঠোর অভিযানের মধ্যে কৌশলে পাথর ‘লুট’

নদীতে বড় বড় নৌযান সারিবদ্ধভাবে নোঙর করা, যা ‘বাল্কহেড’ নামে পরিচিত। শত শত শ্রমিক নদীর পাড়ে জমা করে রাখা পাথর টুকরিতে ভরে সেই সব নৌযানে ওঠাচ্ছেন। কাছেই নদীতে চলছে খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর), যা দিয়ে পানির নিচ থেকে পাথর ওঠানো হচ্ছে।

সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় পাথর লুটকারীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের মধ্যেও এই দৃশ্য দেখা গেল কানাইঘাট উপজেলার লোভা নদীতে। লোভা নদী সীমান্তের ওপার থেকে এসে সুরমায় মিশেছে। এই নদীতেও পানির স্রোতের সঙ্গে ওপার থেকে পাথর আসে।

লোভা নদীর বাংলাদেশ অংশের শুরুতে একটি পাথর কোয়ারি (যেখানে পাথর উত্তোলন করা হয়) রয়েছে। সেই কোয়ারিতে ২০২০ সাল পর্যন্ত পাথর উত্তোলন করা যেত। তারপর সরকার আর কোয়ারি ইজারা দেয়নি, মানে হলো পাথর তোলা নিষিদ্ধ। তবে নিলামে বিক্রি করা পাথর স্থানান্তরের নামে এখন সেখানে লুট চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা বলছেন, পাথর লুটের সঙ্গে জড়িত বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা, যাঁরা বিএনপির কোনো কোনো নেতার সঙ্গে মিলে কাজটি করছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের সঙ্গে নিলামে পাথর কেনা ঠিকাদারের যোগসাজশ রয়েছে।

লোভা নদী সিলেট শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে। কানাইঘাট উপজেলা শহর থেকে এর দূরত্ব আট কিলোমিটারের মতো। গতকাল রোববার বেলা একটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত নৌপথে সুরমা নদী হয়ে ভারতের সীমান্তবর্তী লোভা নদীর জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, সুরমা নদীর কানাইঘাট বাজারের বিপরীত অংশ স্টেশন এলাকায় একটি বাল্কহেডে অন্তত ১৫ জন শ্রমিক পাথর তুলছিলেন। আশপাশের অন্তত আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পাথরের এমন স্তূপ দেখা গেছে। পাশে ক্রাশার মেশিনে (পাথর ভাঙার কল) পাথর ভাঙার কাজও করছিলেন শ্রমিকেরা।

ভাঙার পর শ্রমিকেরা নৌকায় পাথর তুলছেন। গতকাল দুপুরে কানাইঘাটের লোভাছড়ায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ