রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে আয়োজিত সমাবেশে আজ শুক্রবার স্প্রে ভেহিকেল ব্যবহার করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। এটিকে সরকারের পক্ষপাতমূলক আচরণ বলে সমালোচনা করেছেন কেউ কেউ। তবে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রচারণাকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলেছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘ঢাকায় গত কয়েকদিন ধরে হিট ওয়েভ চলছে; ফলে যেখানেই অতিরিক্ত মানুষের সমাগম ঘটছে, সেখানেই ওয়াটার স্প্রের ব্যবস্থা করছে ডিএনসিসি। গরমের তীব্রতা কমাতে শুধু সমাবেশস্থল নয়, বিভিন্ন বাজার এলাকা ও টার্মিনাল এলাকাতেও এই স্প্রে ভেহিকেল ব্যবহার করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি যখন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফিরেছেন। তখনও অপেক্ষমাণ নেতাকর্মীদের ওপর এই স্প্রে ভেহিকেল ব্যবহার করে পানি ছিটানো হয়েছিল।

প্রশাসক জানান, ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ ইস্যুতে আয়োজিত সমাবেশগুলোতেও একই ভেহিকেলটি ব্যবহার করা হয়েছে। মূলত হিট ওয়েভ থাকা অবস্থায় নাগরিকদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই এই ভেহিকেলটি ব্যবহার হয়, ওই জমায়েত রাজনৈতিক না অরাজনৈতিক তা সিটি কর্পোরেশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড এনস স এনস প সম ব শ ব যবহ র কর ড এনস স

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার পাচ্ছেন আবদুল আউয়াল মিন্টু

বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্যখাতে দীর্ঘদিনের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ ফাউন্ডেশন ২০২৫ সালের জন্য পুরস্কৃত করেছে দেশের শীর্ষ কৃষি উদ্যোক্তা আবদুল আউয়াল মিন্টুকে।

প্রতিষ্ঠানটি গত মঙ্গলবার রাতে এক ঘোষণায় ২৭ দেশের ৩৯ জনকে ‘টপ এগ্রি ফুড পাইওনিয়ার’ হিসেবে মনোনীত করে। সেই তালিকায় রয়েছেন লাল তীর সীডস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিশিষ্ট রাজনীতিক আবদুল আউয়াল মিন্টু।

চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বীজ, সবজি ও প্রাণিসম্পদ খাতসহ কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তায় কাজ করছেন মিন্টু। ১৯৯৪ সালে মাত্র ২৫ একর জমির ওপর তিনি ‘লাল তীর সীডস লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করেন, যা আজ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শীর্ষ বেসরকারি কৃষি প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম। বর্তমানে এটি জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থাগুলোর পর্যবেক্ষণে আঞ্চলিকভাবে সপ্তম স্থানে রয়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশে তিনিই প্রথম আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন (আইএসটিএ স্বীকৃত) বীজ পরীক্ষাগার প্রতিষ্ঠা করেন, যা দেশে একমাত্র। মিন্টুর উদ্যোগে দেশে হাইব্রিড ও উন্নত বীজের ব্যবহার জনপ্রিয় হয় এবং সবজি উৎপাদনে বিপুল সাফল্য আসে।

উদ্যোক্তা হিসেবে সফলতার পাশাপাশি কৃষি অর্থনীতি, উন্নত কৃষি প্রযুক্তি ও প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় উচ্চতর ডিগ্রি ও গবেষণার মাধ্যমে দেশের কৃষি উন্নয়নে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তার গবেষণার মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো মহিষের জীবন রহস্য উন্মোচন হয়। পাশাপাশি উন্নত জাতের গরু মোটাতাজাকরণে সীমেন প্রযুক্তির প্রচলনও তারই হাত ধরে শুরু হয়।

পুরস্কার প্রসঙ্গে আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘আমি সবসময় কৃষকের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করার চেষ্টা করেছি। কৃষি, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় প্রযুক্তি ও গবেষণার মাধ্যমে অবদান রাখতে চাই। এই সম্মান আমাকে ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে।’

ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি বছর ৩৯তম বার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ২১–২৩ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যের ডেস মইনসে আয়োজিত নরম্যান ই. বোরলাগ আন্তর্জাতিক সংলাপে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।

ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাশাল হোসেন বলেন, ‘বিশ্ব এখন খাদ্য, পুষ্টি ও জলবায়ুভিত্তিক সংকটের সম্মুখীন। এই ৩৯ জন সম্মানিত ব্যক্তি সাহসী পরিবর্তনকারী, যারা বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থায় মৌলিক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছেন।’

এ বছর মনোনীতদের মধ্যে রয়েছেন বিজ্ঞানী, কৃষক, নীতিনির্ধারক, উদ্যোক্তা ও মানবতাবাদীরা। যারা বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ