দুই সপ্তাহ আগে বিয়ে করেন রুম্মান মিয়া ওরফে লিমন। ঘরে স্ত্রীকে রেখে বৃষ্টির মধ্যেই মা-বাবার সঙ্গে জমিতে শিম তুলতে যান তিনি। এসময় বজ্রপাত হলে তেইশ বছর বয়সী এই যুবক ঘটনাস্থলেই মারা যান। তবে, তার মা-বাবা অক্ষত রয়েছেন। 

মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের ধারাই তাজনগর (পশ্চিমপাড়া) গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। 

মারা যাওয়া রুম্মান তাজনগর (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে। তিনি ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর পাঠাগার সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। 

আরো পড়ুন:

কুড়িয়ে পাওয়া ককটেল বিস্ফোরণে আহত এক শিশুর মৃত্যু

পিকনিকের ট্রলারডুবি, নিখোঁজ চালকের লাশ উদ্ধার

এলাকাবাসী জানায়, আজ মঙ্গলবার সকালে রুম্মান তার মা-বাবার সঙ্গে বাড়ির পাশের জমিতে শিম তুললে যান। এ সময় বৃষ্টি শুরু হয়। তারা জমির পাশের একটি সেচ মেশিন ঘরে আশ্রয় নেন। বজ্রপাত হলে রুম্মান মারা যান। তবে, তার মা-বাবা অক্ষত আছেন। 

ইদিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মোকলেছুর রহমান বলেন, “দুই সপ্তাহ আগে রুম্মান বিয়ে করেন। নববধূকে বাড়িতে রেখে জমিতে শিম তুলতে যান তিনি। বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়েছে।”

ইদিলপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি শফিউল ইসলাম জানান, বাদ আছর চন্ডিপাড়া ঈদগাহ ময়দানে রুম্মানের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। রুম্মানের মৃত্যুতে জামায়াতের পক্ষ থেকে আমরা শোক প্রকাশ করছি।”

ঢাকা/মাসুম/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিএলআরআই নিয়োগবিধিতে বৈষম্যের অভিযোগে গবিতে মানববন্ধন

বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) নিয়োগবিধিতে সমন্বিত বিএসসি ডিগ্রি অন্তর্ভুক্ত না করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা।

আরো পড়ুন:

সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি ও জবিতে মানববন্ধন

ইবিতে ছাত্রীর পোশাক নিয়ে শিক্ষকের কটূক্তি, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘অধিকারের নামে কেন এই বৈষম্য?’, ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারী ছাত্র-ছাত্রী চাই ন্যায্য সম্মান’, ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রি অপরাধ নয়’, ‘ভেটেরিনারি একটাই পরিবার, কম্বাইন্ড ডিগ্রিতে সমান অধিকার’, ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারী ছাত্র-ছাত্রী চাই ন্যায্য সম্মান’, ‘ভেটেরিনারি পরিবারে সমান অধিকার’, ‘সমন্বিত শিক্ষা দেশের সম্মান’, ‘আদিম পশু পালনে নয়, বরং সমন্বিত ভেটেরিনারি শিক্ষা দেশের সম্মান’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগবিধি সংশোধন না হলে আরো কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।

এ সময় গবি ছাত্র সংসদের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. হুমায়ুন কবির বলেন, “বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউট কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারীদের নিয়োগে বৈষম্য করছে। এটি আমাদের প্রতি স্পষ্ট অবিচার। আমরা ইতোমধ্যে প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ম্যামসহ বিএলআরআই কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু তারা বারবার বিষয়টি উপেক্ষা করছে। আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই।”

আরেক শিক্ষার্থী মো. মাহিদুজ্জামান সিয়াম বলেন, “দেশের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের বৃহত্তর স্বার্থে ২০১৬ সালে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর উদ্যোগে কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও এই কোর্স চালু করা হয়। আমরা পশু চিকিৎসা ও পশু পালন—উভয় বিষয়ে সমন্বিত জ্ঞান অর্জন করি। অথচ বিএলআরআই আমাদের কোনো গবেষণা বা চাকরির সুযোগ দিচ্ছে না। এটি বৈষম্যমূলক ও স্বৈরাচারী আচরণ।”

মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেন এবং সমস্যার দ্রুত সমাধানে প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ দাবি করেন।

ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ