বৈশ্বিক স্বীকৃতি পেল চীনের সবুজ বিদ্যুৎ সনদ
Published: 21st, May 2025 GMT
চীনের সবুজ বিদ্যুতের সনদ এখন বৈশ্বিক স্বীকৃতি পেয়েছে। আরই১০০ নামের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা এই সনদ প্রক্রিয়াকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এতে করে চীনের নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ ব্যবহার আরো সহজ ও বিশ্বাসযোগ্য হবে বলে জানিয়েছে চীনের জাতীয় জ্বালানি প্রশাসন (এনইএ)।
এনইএ জানায়, এই স্বীকৃতির ফলে আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলো চীনের পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ কিনে সহজেই প্রমাণ করতে পারবে যে তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করছে।
এখন ২৭০টি আরই-১০০ সদস্য-কোম্পানি চীনের সবুজ বিদ্যুৎ কিনছে। তাদের বার্ষিক সবুজ বিদ্যুৎ ব্যবহার ৭৭ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা।
আরো পড়ুন:
শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে চান ট্রাম্প
৯০ দিনের জন্য পারস্পরিক শুল্ক প্রত্যাহারে সম্মত যুক্তরাষ্ট্র-চীন
এই সনদ পাওয়া যায় প্রতি ১,০০০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর। এটি চীনের একমাত্র সরকারিভাবে স্বীকৃত গ্রিন এনার্জি সনদ।
চীনের এই সনদ ব্যবস্থা চালু হয় ২০১৭ সালে। ২০২৩ সালে এটি সম্প্রসারণ করা হয় সব ধরনের নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ প্রকল্পে।
ঢাকা/হাসান/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সব জ ব দ য
এছাড়াও পড়ুন:
২২ অনাথ কাশ্মীরি শিশুর পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন রাহুল গান্ধী
অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানি গোলায় ভারত–নিয়ন্ত্রিত জম্মু–কাশ্মীরে যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারের ২২ অনাথ শিশুর লেখাপড়ার পুরো দায়িত্ব নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ওই শিশুরা পুঞ্চ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা।
স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে উঠে স্নাতক হওয়া পর্যন্ত ওই শিশুদের পড়াশোনার সব খরচ রাহুল গান্ধী বহন করবেন। সেই খরচের প্রথম কিস্তির টাকা বুধবার ওই পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন জম্মু–কাশ্মীরের কংগ্রেস সভাপতি তারিক হামিদ কাররা।
পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল পর্যটকদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছিল কয়েকজন জঙ্গি। সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন মোট ২৬ জন পর্যটক। প্রত্যাঘাতের জন্য ভারত শুরু করে অপারেশন সিঁদুর। চার দিনের সেই লড়াইয়ের সময় জম্মুর সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রবল গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান। সেই হামলায় মারা গিয়েছিলেন ২৭ জন গ্রামবাসী। আহত হয়েছিলেন ৭০ জনের বেশি। যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, ওই ২২ শিশু ওইসব পরিবারেরই সন্তান। তাদের কেউ বাবা, কেউ মা, কেউ–বা দুজনকেই হারিয়েছে। কারও পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
রাহুল গত মে মাসে ওইসব এলাকায় গিয়েছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। অনাথ শিশুদের স্কুলেও গিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন অনাথ শিশুদের তালিকা তৈরি করতে। সরকারি নথির সঙ্গে সেই নাম মিলিয়ে ২২ জনের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত হয়। পুঞ্চ জেলা সফরের সময় রাহুল তাঁর ইচ্ছার কথা জানিয়ে বলেছিলেন, ওই শিশুদের স্নাতক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনার সব খরচ তিনি দেবেন।
পাকিস্তানের গোলার আঘাতে মারা গিয়েছিলেন ১২ বছরের দুই যমজ ভাই–বোন জাইন আলি ও উরবা ফতিমা। রাহুল তাঁদের স্কুলে গিয়েছিলেন। সেই স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁদের বলেছিলেন, তোমরা তোমাদের বন্ধুদের হারিয়েছ। সে জন্য তোমাদের মন খারাপ। ওই মৃত্যু আমাকেও দুঃখ দিয়েছে। তোমাদের দুঃখ আমি বুঝি। কিন্তু তোমাদের জন্য আমি গর্বিত। তোমরা ভয়কে জয় করেছ। রাহুল ওই শিশুদের বলেছিলেন, ভয়কে জয় করতে হবে। সুদিন আসবে। সব আবার স্বাভাবিক হবে।
ওই ২২ জনের জন্য বছরে কত খরচ হবে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব তা জানাননি।