জার্মানির হামবুর্গ শহরের ব্যস্ততম সেন্ট্রাল স্টেশনে শুক্রবার ছুরি হামলায় অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া আরও ছয়জন গুরুতর আহত। হামলাটি হয়েছে স্টেশনের ১৩ ও ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে যেখানে একটি ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিল। খবর-রয়টার্স

হামবুর্গ পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন হামলাকারী হিসেবে ৩৯ বছর বয়সী এক জার্মান নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের ধারণা গ্রেপ্তার নারী একাই এ হামলার সঙ্গে জড়িত। এ হামলার পেছনে কোনো ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য’ নেই বলেই তাদের বিশ্বাস।

পুলিশের মুখপাত্র ফ্লোরিয়ান আবেনজেথ বলেন, ‌‘হামলাকারী সম্ভবত চরম মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন বলে আমরা মনে করছি। সাংবাদিকদের এমনটাই বলেছেন পুলিশের মুখপাত্র ফ্লোরিয়ান আবেনজেথ।’

জার্মান রেল পরিচালক ডয়েচে বান জানিয়েছে, ঘটনার পর স্টেশনের চারটি প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিথ এক ভিডিওতে দেখা গেছে, হাত পেছনে রাখা সন্দেহভাজন ওই নারীকে পুলিশের কর্মকর্তারা স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে বাইরে নিয়ে গাড়িতে তুলছেন।

জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিদরিশ মেয়াৎস বলেছেন, এ হামলার ঘটনায় তিনি ‘স্তম্ভিত’।

স্টেশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হামবুর্গ সেন্ট্রাল স্টেশনটি জার্মানির অন্যতম ব্যস্ত পরিবহন হাব। দিনে সাড়ে ৫ লাগের বেশি মানুষ এটি ব্যবহার করে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ র ক হত আহত

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদনের প্রতিবাদে সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যায়িত করে এ অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

আজ শনিবার এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।

অভিযোগ উঠেছে, সাড়ে চার দশক আগের বিশেষ বিধানের কিছু ‘নিবর্তনমূলক ধারা’ সংযোজন করে অধ্যাদেশের খসড়াটি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সহজেই শাস্তি, এমনকি চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে বলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে। অধ্যাদেশের খসড়াটিকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক আখ্যায়িত করে তা পুনর্বিবেচনারও দাবি করছেন কর্মচারীরা।

এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ আজ সচিবালয়ের ভেতরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে। এতে অনেক কর্মচারী অংশ নেন।

পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-তে সব আচরণবিধি ও অন্যান্য বিধান বিবৃত আছে। এখন অধ্যাদেশের মাধ্যমে নিবর্তনমূলক ধারা সংযোজন করা হচ্ছে। এটি কালাকানুন। তাঁরা দ্রুত এটি প্রত্যাহার চান।

আরও পড়ুনসংশোধন করা হচ্ছে সরকারি চাকরি আইন, অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন২২ মে ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ