প্রশান্ত মহাসাগর কি সত্যিই হারিয়ে যাবে
Published: 25th, May 2025 GMT
পৃথিবীর অন্যতম রহস্যময় মহাসাগর প্রশান্ত মহাসাগর। বিশাল এই মহাসাগরের আয়তন ধীরে ধীরে সংকুচিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয় ও চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। পানির ধীরগতির প্রবাহের ফলে প্রশান্ত মহাসাগরের স্থানে ভবিষ্যতে নতুন এক মহাদেশের জন্ম হবে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তাঁরা। বিজ্ঞানীদের অনুমান, ২০ কোটি থেকে ৩০ কোটি বছরের মধ্যে নতুন এ মহাদেশ তৈরি হতে পারে।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, প্রশান্ত মহাসাগর ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে শেষ পর্যন্ত হারিয়ে যাবে। প্রশান্ত মহাসাগরের নিচে থাকা পৃথিবীর টেকটোনিক প্লেট একত্রিত হয়ে বিশাল এক ভূমি তৈরি করবে তখন। সেই নতুন ভূমি গ্রহের কাঠামোকে নতুন আকার দেবে। নতুন এই মহাদেশের নাম রাখা হয়েছে অ্যামাসিয়া। সুপারকম্পিউটিং মডেল ব্যবহার করে এসব তথ্য জানা গেছে।
আরও পড়ুনপ্রশান্ত মহাসাগরের নিচে দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার চেয়ে চার গুণ লম্বা পর্বতের খোঁজ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী চুয়ান হুয়াং বলেন, ‘আমাদের নতুন আবিষ্কার বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। আগামী ২০ কোটি বছর পর পৃথিবীতে কী হতে পারে, সে সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছি আমরা। গত ২০০ বছর ধরে পৃথিবীর সব মহাদেশ একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত। এর ফলে প্রতি ৬০ কোটি বছর পর একটি অতিমহাদেশ তৈরি হচ্ছে। এটি অতিমহাদেশ চক্র নামে পরিচিত। বর্তমানে যে মহাদেশ দেখা যাচ্ছে, তা কয়েক শ কোটি বছরের মধ্যে আবার একত্রিত হবে। এর ফলে নতুন অতিমহাদেশ তৈরি হবে।’
বিজ্ঞানী হুয়াং আরও বলেন, একটি সুপারকম্পিউটার ব্যবহার করে পৃথিবীর টেকটোনিক প্লেট কীভাবে বিবর্তিত হবে, তা জানার কাজ করছি আমরা। আমরা দেখছি, ৩০ কোটি বছরের কম সময়ের মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগর হারিয়ে যাবে।’
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কৌশলগত নেতৃত্ব বিকাশে জোর সেনাপ্রধানের
কৌশলগত নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে জাতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেছেন, এই নেতৃত্বই দেশকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে তিন সপ্তাহব্যাপী স্ট্র্যাটেজিক লিডারশিপ প্রশিক্ষণ ক্যাপস্টোন কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সেনাপ্রধান ক্যাপস্টোন ফেলোদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন।
এই কোর্সে জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, সিনিয়র চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, কূটনীতিক, সাংবাদিক এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ সর্বমোট ৪৫ জন ফেলো অংশগ্রহণ করেন।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জাতি গঠনের সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৌশলগত নেতৃত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি দেশের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও কার্যকর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার জন্য গতিশীল ও সংস্কারমুখী নেতৃত্বের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।
দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আলোকপাত করে সেনাপ্রধান বলেন, বিদ্যমান পরিবর্তনশীল ভূরাজনীতি, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও নতুন জাতীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ক্যাপস্টোন কোর্স কৌশলগত অন্তর্দৃষ্টি, সহযোগিতা ও জ্ঞানভিত্তিক নেতৃত্ব গড়ে তুলতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এনডিসি কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক বলেন, ‘ক্যাপস্টোন কোর্স জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বস্তুনিষ্ঠ সংলাপ ও একীভূত চিন্তাধারার বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। এতে অংশগ্রহণকারীদের সক্রিয়, চিন্তাশীল ও সশ্রদ্ধ অংশগ্রহণ তাদের কৌশলগত ও মননশীল চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটিয়েছে এবং বিভিন্ন সংস্থার নেতৃবৃন্দের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ের মেলবন্ধন তৈরি করতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।’
ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ক্যাপস্টোন কোর্স ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ পরিচালিত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কোর্স। এই কোর্সের লক্ষ্য কৌশলগত সচেতনতা বৃদ্ধি, সূক্ষ্ম চিন্তাভাবনার বিকাশ, আন্তসংস্থার সহযোগিতা বৃদ্ধি করা এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থার নেতৃত্ব পর্যায়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও উন্নয়নবিষয়ক সমন্বিত ধারণা গড়ে তোলা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সশস্ত্র বাহিনী ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, এনডিসির ফ্যাকাল্টি ও স্টাফ অফিসার এবং জাতীয় পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।