দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে চলছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের ম্যাচ। বুধবার, ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ঘটে যায় এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।

প্রোটিয়া স্পিনার শেপো এনটুলি ও বাংলাদেশের রিপন মণ্ডলের মধ্যে শুরু হয় বাগবিতণ্ডা, যা পরে রূপ নেয় শারীরিক হেনস্তায়। রিপনের একটি ছক্কা থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। ক্রিজ ছেড়ে এসে এনটুলিকে উড়িয়ে মারেন তিনি। এরপরই উত্তেজিত হয়ে পড়েন অতিথি দলের এই অফস্পিনার।

তর্কে জড়িয়ে পড়ার পর এনটুলি রিপনের হেলমেট টেনে ধরেন ও ধাক্কা দেন। আম্পায়ার ও সতীর্থরা পরিস্থিতি শান্ত করতে এগিয়ে এলে কিছুক্ষণ তাদের কথাও অগ্রাহ্য করেন তিনি। পরে দক্ষিণ আফ্রিকার কয়েকজন খেলোয়াড় এসে এনটুলিকে সরিয়ে নিলেও তারাও রিপনকে উদ্দেশ করে আঙুল উঁচিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন।

আরো পড়ুন:

‘ফিয়ারলেস, নট কেয়ারলেস ক্রিকেট’, পাকিস্তান অধিনায়কের সতর্কবার্তা

আইপিএলের শেষ চার চূড়ান্ত: দেখে নিন প্লে-অফের সময়সূচি

এই ঘটনার পরও রিপনকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখে প্রতিপক্ষ। এক পর্যায়ে এনটুলি রিপনের শরীর বরাবর থ্রো করেন। দুই আম্পায়ারের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।

বিতর্কিত এই ঘটনার মাঝেও ব্যাট হাতে দলের হাল ধরেন পেসার রিপন মণ্ডল। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৮১ বলে ৪৩ রানের কার্যকর ইনিংস খেলেন তিনি। এছাড়া মেহেদী হাসান করেন ৪৪ রান এবং রাকিবুল হাসান করেন ৩১ রান।

৭ উইকেটে ২৪২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করা বাংলাদেশ দিন শেষে পৌঁছে যায় ৩৭১ রানে — এক শক্ত ভিত।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এনট ল

এছাড়াও পড়ুন:

৬৫ শিল্পীর কর্ম নিয়ে 'রবীন্দ্রনামা'

দেশের ৬৫ জন শিল্পীর কর্ম নিয়ে ঢাকায় শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শনী- ‘রবীন্দ্রনামা’। বৃহস্পতিবার ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এ প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন।

প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু একজন কবি, চিত্রশিল্পী, দার্শনিক, নাট্যকার, সুরকার, শিক্ষাবিদ এবং সমাজ সংস্কারকই ছিলেন না, তিনি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি চিরন্তন সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধও ছিলেন। আমাদের দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা হিসেবে তার উত্তরাধিকার আমাদের ঐক্যের প্রতীক।

প্রদর্শনীর কিউরেটর সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, শুধু শ্রদ্ধা নিবেদন নয়, রবীন্দ্রনামা হচ্ছে রবীন্দ্রনাথকে নবপ্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটি প্রয়াস। আমরা চাই, রবীন্দ্রচেতনা হোক সকলের জন্য উন্মুক্ত ও বিশ্লেষণযোগ্য।

প্রদর্শনীর উদ্বোধন পর্ব শেষে সংগীতানুষ্ঠানে অংশ নেন ধ্রুপদী ও রবীন্দ্রসংগীতের বিশিষ্ট শিল্পী দম্পতি ড. ঋতুপর্ণা চক্রবর্তী ও ড. সুভীর কুমার চক্রবর্তী।

এতে অংশ নেন রফিকুন নবী, আবুল বারাক আলভী, জামাল আহমেদ, রঞ্জিত দাস, শহিদ কবীর, ঢালী আল মামুন, মুস্তাফা খালিদ পলাশ, বিপাশা হায়াত সহ আরও বহু গুণী শিল্পী। প্রদর্শনীটি কিউরেট করা হয়েছে প্রফেসর হামিদুজ্জামান খান, প্রফেসর আবুল বারক আলভী ও প্রফেসর নিসার হোসেনের দিকনির্দেশনায়।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে রবীন্দ্রনাথের ১৫০তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে যাত্রা শুরু করা ‘রবীন্দ্রনামা’ প্রজেক্টটি ১৪ বছর পরে আজ নতুন করে প্রাণ পেয়েছে। শিল্পী ও শিক্ষক ওয়াকিলুর রহমান, প্রফেসর নিসার হোসেন ও রশিদ আমিনের সহায়তায় এটি প্রথমে একটি প্রিন্ট ফোলিও আকারে প্রকাশ পায়। সময়ের সঙ্গে এই প্রজেক্টটি হয়ে উঠেছে রবীন্দ্র ভাবনার এক দৃষ্টিনন্দন দালিলিক নিদর্শন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ