ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় পুড়ল কৃষকের ফসল, ক্ষতিপূরণ দাবি
Published: 31st, May 2025 GMT
ঝিনাইদহের মহেশপুরে ইটভাটা থেকে নির্গত বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় (কার্বন মনোক্সাইড) কৃষকের প্রায় ৫০০ বিঘা জমির ফসল পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৩০ মে) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অভিযোগ, ‘স্টোন ব্রিক্স’ নামের ওই ইটভাটা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দিনের পর দিন কালো ধোঁয়া ছাড়ছিল। প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে এসব করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি ইটভাটা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন তারা।
আব্দুল আলিম নামের এক চাষি বলেন, ‘‘ঋণ নিয়ে প্রায় ১০ বিঘা জমিতে আবাদ করেছিলাম। শনিবার মাঠে এসে দেখি, ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় সব নষ্ট হয়ে গেছে। এখন পথে বসা ছাড়া উপায় নেই।’’
আরো পড়ুন:
পাবনায় চরে চাষে যাওয়া ৮ কৃষককে পিটিয়ে আহত
রংপুরে বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত, শঙ্কায় চাষি
শরিফুল ইসলাম নামের আরেক কৃষক বলেন, ‘‘ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় ২০০ কৃষকের প্রায় ৫০০ বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। বিভিন্ন এনজিও ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে চাষিরা আবাদ করেছিলেন। এখন দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।’’
এ বিষয়ে মহেশপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছিলাম। ক্ষতির পরিমাণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’’
ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দুই জাতীয় প্রতিযোগিতায় বিইউবিটির গৌরবোজ্জ্বল সাফল্য
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি) সাম্প্রতিক সময়ে দুটি জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অসাধারণ সাফল্য অর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়েছে। শনিবার অনুষ্ঠিত ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’ ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিইউবিটির ডিবেটিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। ফাইনাল পর্বে বিইউবিটি আনন্দ মোহন কলেজকে পরাজিত করে।
বিতর্কের বিষয় ছিল- ‘রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করা আসন্ন বাজেটের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।’ এই বিতর্কে বিইউবিটি বিরোধী দলের ভূমিকায় অংশগ্রহণ করে যুক্তিনিষ্ঠ বিশ্লেষণ, শক্তিশালী উপস্থাপন এবং বুদ্ধিদীপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে।
অন্যদিকে, শুক্রবার অনুষ্ঠিত ৭ম ওয়ার্ল্ড ইনভেনশন কমপিটিশন অ্যান্ড এক্সিবিশনের জাতীয় পর্বে বিইউবিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী প্রকল্প ‘এগ্রো ডক্টর’ আইটি ও রোবোটিকস বিভাগে রৌপ্য পদক অর্জন করে।
৫১তম ব্যাচের তিনি শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বী, কামরুল ইসলাম ও মো. সাকিলের উদ্ভাবিত প্রকল্প ‘এগ্রো ডক্টর’ প্রযুক্তিনির্ভর এমন একটি সমাধান, যা কৃষকদের ফসলের রোগ নির্ণয়ে সহায়তা করে। এটি অটোমেশন ও মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে, টেকসই কৃষি ও সফল ফলনের নিশ্চয়তা প্রদান করে।
এই সাফল্যের পর বিইউবিটির উভয় দল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ বি এম শওকত আলীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। উপাচার্য তাঁদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘এই অর্জনসমূহ শুধুমাত্র ব্যক্তিগত নয়, বরং বিইউবিটির সম্মান এবং বাংলাদেশের শিক্ষার গৌরব। আশা করি, বিইউবিটির তরুণেরা দেশ ও জাতির জন্য আরও সৃজনশীল ও দক্ষ নেতৃত্ব গড়ে তুলবে।’
ডিবেটিং ক্লাবের সদস্যরা বলেন, ‘এই জয় আমাদের যুক্তিবোধ, দলগত কাজ ও নেতৃত্বের একটি অনন্য প্রমাণ। আমরা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও নিজেদের জায়গা করে নিতে চাই।’ অপরদিকে টিম ‘এগ্রো ডক্টর’- এর সদস্যরা বলেন, ‘আমাদের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি দেশের কৃষি খাতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। এই সাফল্য আমাদের আরও উদ্ভাবনে উৎসাহিত করবে।’
বিইউবিটি ভবিষ্যতেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করে বাংলাদেশকে গর্বিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি